রাঙ্গামাটিতে বধিরদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসুন
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাঙ্গামাটিতেও পালন হয়েছে ‘জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক ইশারা ভাষা দিবস ও আন্তর্জাতিক বধির সপ্তাহ-২০২১’। এ উপলেক্ষ্যে রাঙ্গামাটি বধির কল্যাণ সমিতির আয়োজনে ও বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার সহযোগিতায় র্যালি, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশে বধির এর সংখ্যা অস্পস্ট কিন্তু দেশের অধিকাংশ স্থানেই বধিররা তাদের ন্যার্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বধির নিয়ে একটি জাতীয় বধির সংস্থা রয়েছে। কিন্তু এ সংস্থার তাদের সদস্যদের জন্য সহযোগীতার ব্যাপকতা তেমন লক্ষ্যনীয় নয়।
আমরা দেখছি দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সহ মানুষের কল্যাণে কাজ করে এমন অনেক সংস্থা সংগঠন সরকার থেকে যথেষ্ট সহযোগীতা ভোগ করছে। রাঙ্গামাটিতেও অনেক সংগঠন ও সংস্থা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে যতঠুকু সম্ভব সহযোগীতা নিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও আন্তরিকভাবে সহযোগীতা করছে। কিন্তু সমাজের অসহায় একটি অংশ বধিরদের জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা খুব প্রয়োজন। রাঙ্গামাটিতে বধিরদের সংগঠন রাঙ্গামাটি বধির কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দরা আকুত জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় বধির প্রতিবন্ধীদের নামে জায়গা, বিদ্যালয়, ভবন, অফিস ছাত্রাবাস থাকলেও দুঃখের বিষয় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় বধিরদের নামে সেই সব কিছুই নেই। তাই প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান বধিরদের জন্য যাতে ১টি জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং সে জায়গায় বিদ্যালয় বা ছাত্রাবাস নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়।
আমরা লক্ষ্য করছি যে, রাঙ্গামাটি বধির কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দর তেমন আহামরি কছিুর নিবেদন করেননি। তারাও সমাজের অন্যান্য প্রতিবন্ধীদের মতো সুন্দরভাবে বসবাস করতে চায়। তাদের নিজ উদ্যোগে আয়ের উৎস বের করে জীবন ধারন করতে চায়। দেশের অন্যান্য স্থানে বধিরদের জন্য সরকারিভাবে সকল সুযোগ সুবিধা থাকার পরেও রাঙ্গামাটি বধির কল্যাণ সমিতির সদস্যরা কেন বঞ্চিত থাকবে। পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি শহরের যে কোন স্থানে তাদের জন্য এক খন্ড জমি এবং সেখানে আয় করতে পারে এমন স্থাপনা করে দিতে পারলে তারা পিছিয়ে থাকবে না।
শহরের বশে কিছু এলাকা এবং স্থানে হ্রদের জায়গা দখল করে বড় বড় দালান করা হচ্ছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে যার ইচ্ছেমতই দখলে নিচ্ছে সরকারকারের খাস জমি। স্তানীয় প্রশাসন বিশেষ করে জেলা প্রশাসন রাঙ্গামাটি বধির কল্যাণ সিমিতর সদস্যদের জন্য শহরের যে কোন স্থানে তাদের জন্য এ খন্ড জায়গা দিলে সে জায়গায় বিদ্যালয় বা ছাত্রাবাস নির্মাণের ব্যবস্থা করে দিলে তারাও তাদের মত করে নিজেদের উন্নয়নে এগিয়ে যাবে। রাঙ্গামাটি বধিরদের জন্য আমর প্রশাসনের আশ্বাস নয়, পুরো বাস্তবায়ন চাই।