পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ
প্রকল্প বাস্তবায়নে কর্মীদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে: অংসুইপ্রু চৌধুরী
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের গতিধারা বৃদ্ধি পেয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও এ অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি এবং জন মানুষের উন্নয়নে কাজ শুরু করে। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এসআইডি-সিএইচটি প্রকল্পের “শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে মেয়েশিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন” কম্পোনেন্টের অধীনে স্কুল বোট চাহিদা নিরূপণ বিষয়ক এক কর্মশালা উদ্বোধনে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী এসব কথা বলেন।
পরিষদের শিক্ষা কমিটির আহ্বায়ক এবং পরিষদ সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সদস্য ঝর্না খীসা, সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, রাঙ্গামাটি সদরের সহকারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রবিউল হোসেন, এসআইডি-সিএইচটি প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার ঐশ^র্য চাকমা, বরকল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সুলতান আহমেদ, বিলাইছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিখিলেশ চাকমা, লংগদু উপজেলা শিক্ষা অফিসার এম কে ইমাম উদ্দিন, বরকল উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবদুস সামাদ, রাঙ্গামাটি সদরের উপজেলা শিক্ষা অফিসার দীপিকা খীসা, রাঙ্গামাটি সদরের উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রতন চাকমা, বিলাইছড়ি উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার বিভীষণ চাকমা এবং জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারি পরিদর্শক অনুতোষ চাকমা।
চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় ইউএনডিপি পরিচালিত ২০০টি স্কুল সরকারিকরণ হয়েছে। এরমধ্যে রাঙ্গামাটি জেলায় ৮১টি স্কুল এবং ৩২৪ জন শিক্ষকের চাকুরী জাতীয়করণ করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ম্যালেরিয়া রোগ দমনেও তাদের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে তারা বৈশি^ক উঞ্চতা প্রতিরোধে জলবায়ু প্রকল্পেও অর্থায়ন করছে। তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা তাদের সাথে নারীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার উন্নয়নেও যৌথভাবেই কাজ করছি। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে বলে। এ প্রকল্পগুলো আমাদের, এ প্রকল্পগুলোর পরিকল্পনা থেকে শুরু করে বাস্তবায়ন পর্যন্ত জেলা পরিষদ জড়িত আছে। সুতরাং এ প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে আন্তরিক হলে এলাকার মানুষের সামগ্রিক উন্নয়নে এর বিরাট প্রভাব পড়বে।
উল্লেখ্য, কর্মশালাটি মূূলত শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে মেয়েশিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্পের অধীনে জেলা-উপজেলায় নদীকেন্দ্রিক স্কুলসমূহের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত সুবিধার্থে ২০টি বিদ্যালয়ে ৬জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ২০ টি সোলারচালিত বোট প্রদানের অগ্রাধিকার তালিকা নির্ধারণ করা হয়।