॥ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥
মুজিববর্ষে রাজস্ব বাজেটের আওতায় দেশীয় প্রজাতির প্রদর্শনী মৎস্য খামার শিং- মাগুর মাছের প্রদর্শনী খামার পরিদর্শন করেছেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা মডেল মাছ চাষি হিসেবে খ্যাত কবাখালী ইউনিয়নের মোঃ শাহজাহানের দেশীয় প্রজাতির প্রদর্শনী মৎস্য খামার শিং- মাগুর মাছের প্রদর্শনী খামার পরিদর্শন করেছেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক কাজী শামস আফরোজ।
এই সময় মহা পরিচালকের সফর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অর্থ ও পরিকল্পনা) মোঃ আতাউর রহমান, মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃআবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা শাখ) মোঃ মোখলেসুর রহমান, চট্রগ্রাম বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুস ছাত্তার, পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলের মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক মোছা: ইয়ামিন, পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলের মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প সহকারী পরিচালক শরৎ কুমার ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোঃ মইন উদ্দিন আহমামদ, দীঘিনালা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অর্বনা চাকমা প্রমূখ।
পরিদর্শকালে মহা পরিচালক কাজী শামস আফরোজ বলেন, মাছ চাষ করে ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব। পরিকল্পিত ভাবে মাছ চাষ করলে মাছ চাষে লোকসান নাই। হতদরিদ্র শাহজাহান মিয়া আজ মাছ চাষ করে তিন/চার কোটি টাকা মালিক হয়েছে এবং উপজেলা সফল মাছ চাষী এবং উদোক্ত্যা তার উৎপাদিত পোনা উপজেলা বিভিন্ন পুকুরের চাষিরা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। শাহজাহানের মাছ চাষ দেখে উপজেলা অনেকে মাছ চাষ করছে। মাছ চাষ উন্নয়নের জন্য আরো নজরদারী বাড়ানো হবে।
মডেল মাছ চাষি শাহ জাহান বলেন, আমি ২০০২সাল প্রথমে মাছ চাষ শুরু করি। মাছ চাষের এখন আমি সফল এবং আমার দারিদ্র বিমোচন হয়েছে। উপজেলা আমার সফলতা দেখে এখন অনেকে মাছ শুরু করেছে। আমি এই প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে দেশী মাছ শিং- মাগুর চাষ শুরু করেছি আশা করি ফল ভাব পাব।