[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়িতে অপহৃত ৫শিক্ষার্থীর মধ্যে লংঙি ম্রো বান্দরবান উপজেলা আলীকদমেরখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই কোচিং সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই বসতবাড়ি আগুনে ভষ্মিভুতদীঘিনালায় গার্ল গাইডস এসোসিয়েশনের ৫দিনব্যাপি বিজ্ঞপাখি মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্নখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাড়ির সদস্যদের অজ্ঞান করে দূর্ধষ চুরিগুণগত শিক্ষা জাতিগত ভেদাভেদ ভুলিয়ে দিতে পারবে: রাঙ্গামাটিতে জলখেলি অনুষ্ঠানে সুপ্রদীপনৃ-গোষ্ঠীর আগে ক্ষুদ্র শব্দটি ব্যবহার করতে চাই না: জলকেলীতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপবান্দরবানের আলীকদমে মার্মা সম্প্রদায়ের মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ-২০২৫ উৎসব পালনপুরোনো দিনের গ্লানি মুছে যাক সাংগ্রাইয়ের মৈত্রীময় জলেবান্দরবানের থানচিতে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডের উপহার দিলেন সেনাবাহিনী
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

থানচিতে মধু পূর্ণিমা পালিত

৫৭

 

।। থানচি উপজেলা প্রতিনিধি ।।

বান্দরবানে থানচিতে যথাযথভাবে ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে মধু পূর্ণিমা উদযাপন করেছেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) থানচি উপজেলায় বৌদ্ধ বিহারেগুলোতে বিভিন্ন ফুলফল, মধুদান ও অর্থদানের মাধ্যমে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা মধু পুর্ণিমা পালিত হয়েছে। এ সময় পূজনীয় ভিক্ষুসংঘের উদ্দেশ্যে মধুদান, সংঘদান, অর্থদান, অষ্টপরিষ্কার দান ও হাজার প্রদীপ প্রজ্বালনসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়।

এদিকে এই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের মধু পূর্ণিমা তিথিতে (মগক) হেডম্যান পাড়া, ছান্দাক পাড়া, বলি পাড়া, আইলমারা পাড়া, ক্যচু পাড়া বৌদ্ধ বিহারসহ অনেক গ্রামগুলোতে সকাল থেকেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষেরা বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে বিহারে মধুদানের প্রার্থনার জন্য অবস্থান নেন। এ সময় নর-নারী বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ফলমূল বিভিন্ন খাবার ও মধু দান করেন। মধুদানের পাশাপাশি ধর্মদেশনা দিয়ে সকলের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেন।

বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের মতে, এই শুভ মধু পূর্ণিমা বৌদ্ধদের নিকট অত্যন্ত পবিত্র ও তাৎপর্যমণ্ডিত দিন। পুণ্যময় এ দিনটিকে শ্রদ্ধা এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালন করে থাকেন বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। মধু পূর্ণিমাকে ঘিরে রয়েছে বুদ্ধের জীবনের ঐতিহাসিক ঘঠনাপ্রবাহ। বিশেষ করে এদিনটি ত্যাগ ও ঐক্যের মহিমায় সমুজ্জল।

বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা মধু পূর্ণিমা তিথিতে শ্রদ্ধার সাথে দুটো দিক পরিলক্ষিত হয়। একটি হচ্ছে সেবা ও ত্যাগ, অন্যটি হচ্ছে সৌর্হাদ্য, সম্প্রীতি ও সংহতি।  ত্যাগের মহিমা হলো পারিলেয্য বনের বানর কর্তৃক ভগবান বুদ্ধকে মধু দান ও হস্তিরাজ কর্তৃক সেবা প্রদান। আর সৌর্হাদ্য ও সংহতি হলো কৌশম্বীর ঘোষিতারামে বিবদমান ভিক্ষু সংঘের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা।

ভগবান বুদ্ধকে বনের পশু হয়েও হস্তিরাজ কর্তৃক সেবা ও বানরের মধু দান ছিল বুদ্ধের প্রতি তাদের একান্ত শ্রদ্ধা ও ত্যাগের বহিঃপ্রকাশ। তাদের এ আত্মত্যাগ ও সেবার ফলে বুদ্ধ তিন মাস একাকী পারিলেয্য বনে নির্বিঘ্নে অবস্থান করতে সক্ষম হয়। এ ভাদ্র মাসের মধু পূর্ণিমা দিনটি বৌদ্ধদের জন্য ত্যাগ ও ঐক্যের মহিমায়। বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা প্রতিটি বৌদ্ধ বিহারে উৎসবমূখর পরিবেশের মধু দানের স্মৃতিকে ধারণ করে মধু পূর্ণিমা পালন করে থাকেন।