॥ দীঘিনালা উপজেলা প্রতিনিধি ॥
খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে মৎস্য আইন প্রতিপালন বিষয়ে শোভাযাত্রাসহ মৎস্যচাষী ও মৎস্যজীবিদের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন কার্যক্রম‘র অংশ হিসাবে কাপ্তাই লেকের অন্তর্গত মৎস্য চাষী ও মৎস্যজীবিদের উদ্বুদ্ধকরনে র্যালি ও আলোচলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার(১৩সেপ্টম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ কার্যলয়ে সমান থেকে দীঘিনালা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে মৎস্যচাষী ও মৎস্যজীবিদের অংশ গ্রহনে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি মেরুং ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ইউনিয়নের সামনে এসে শেষ হয়। পরে মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রহমান করিব রতন সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান সীমা দেওয়ান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অর্বনা চাকমা প্রমূখ।
প্রধান অতিথি‘র বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, খাদ্য জরিপে মানুষের আমিষের চাহিদা ৮০% মাছ থেকেই পূরন হয়। কাপ্তাই লেকের মাছ শিকার করে ব্যবসায়ী ও জেলেরা জীবিকা নির্বাহ করে। দেখা যায় যে ব্যবসায়ী ও জেলেরা ছোট মাছ ও ডিমওয়ালা মাছ শিকার করে মৎস্য সম্পদ নষ্ট করছে। কিন্তু সবাই সচেতন হলে আমাদের সম্পদ আমরাই রক্ষা করতে পারি।
মাছ চাষীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য মোঃ আব্দুল মালেক বলেন, সরকারের ঘোষনা মত আমরা ৩/৪মাস মাছ ধরা বন্ধ রাখি। তাহলে আজকে ছোট ও ডিমওয়ালা মাছ বড় হলে ধরতে পারব, মাছ তো হারিয়ে যাচ্ছে না বড় হচ্ছে। আমরা সচেতন হলে সবকিছু করা সম্ভব।
সভাপতির বক্তব্যে রহমান করিব রতন বলেন, মাছ চাষ করে বেশি লাভবান হওয়া যায়। আমরা যদি নিজেদের পুকুরের ছোট মাছ ধরে যেমন বিক্রি করি না, তাহলে কেন আমারা নদীর ছোট ও ডিমওয়ালা মাছ ধরে কেন বিক্রি করব। আমার নদীর মাছ বড় হওয়া সুযোগ দেই এই মাছ তো আমারাই ধরে খাব ও বিক্রি করব। সকলে সচেতন হলে এই প্রকৃতিক বড় সম্পদ মাছ আমরা রক্ষা করতে পারি।
আলোচনা সভা শেষে এবছরের সর্বশেষ সরকারী খাদ্য সহায়তা উপজেলার ১১শত৮৬ জন্য চাষী ও মৎস্যজীবিদের মাঝে ২০ কেজি করে চাল বিতরন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে মৎস্য কর্মমর্তা অর্বনা চাকমা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গাছ, পুষ্টির উৎস মাছ পরিবেশ রক্ষায় বেশি করে গাছ লাগানে আর মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরন করতে বেশি করে মাছ চাষ করতে হবে এবং বছরে তিন মাছ নদীতে ও সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে। মে-জুলাই মাস মাছ ডিম দেয়। মাছ বড় হওয়া জন্য সুযোগ দিতে হবে। এই তিন মাস সরকার পক্ষ থেকে র্স্মাট কার্ডধারীদের সহয়তা প্রদান করা হয়।