[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

অন্যায়ভাবে ঠিকাদারী সংস্থার টাকা আদায়

বান্দরবানের থানচিতে ২শতাধিক পরিবার বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত

১০২

॥ চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি ॥

পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ বিদ্যুতের আলোর মূখ দেখলেও বান্দরবানের থানচি উপজেলার চারটি গ্রামের মানুষ আলো থেকে বঞ্চিত। স্থানীয়দের অভিযোগ সব থেকেও আলো থেকে বঞ্চিত রয়েছেন এলাকার দুই শতাধিক মানুষ। ঠিকাদারী সংস্থা গ্রামবাসী থেকে অন্যায়ভাবে টাকা নিয়েছেন। ক্ষতি হচ্ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের।

দেখা গেছে, উপজেলা সদর ইউনিয়নের আপ্রুমং পাড়া (৪৫), সুব্রাইনী পাড়া (২০), ছান্দাক পাড়া (৬৫) ও বলিপাড়া ইউনিয়নের ক্রংক্ষ্যং পাড়া (৮৮) পরিবারসহ প্রায় ২শতাধিক পড়ালেখা করার ছাত্র-ছাত্রীসহ পরিবারের সকল সদস্যরা বিদ্যুৎ আলো থেকে বঞ্চিত। পাড়ার উন্নয়নে বিদ্যুৎ খুঁটিসহ সঞ্চালন লাইন থাকলেও যেন অন্ধকারেই রয়েছে এই চারটি গ্রামের ২শতাধিক পরিবার।

স্থানীয়রা জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি’র প্রচেষ্টায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) অর্থায়নে বান্দরবান জেলা সদর হতে থানচি উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হয়। পরে গত ২০১৭ সালের বলিপাড়া বাজার, বলিপাড়া, দাকছৈ পাড়া, আইলমারা পাড়া, বাগান পাড়া, কমলা বাগান পাড়া, থানচি বাজার, মগক হেডম্যান পাড়া, মরিয়ম পাড়া, সাধু যোসেফ পাড়া, হাসপাতাল, মিশন, বয়ক হেডম্যান পাড়া ও টিএনটি পাড়াসমূহে প্রায় ৭শত বেশি গ্রাহক বিদ্যুতের আলো জ্বালাতে পারলেও আরো প্রায় ২শতাধিক পরিবার বিদ্যুতের সুবিধা পাননি।

পাড়ার বাসিন্দারা জানান, চারটি পাড়ার বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন স্থাপনের সময়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী সংস্থাকে প্রতিটি পাড়ার থেকে ২০-৪০ হাজার টাকাসহ খুঁটির বহনের শ্রম দিয়েছিলাম। আবারও কিছু খরচ হিসাবে চাইলে বিদ্যুৎ আলো পাওয়ার আশায় এই কয়েক মাস আগে ৩০-৫০ হাজার টাকা তুলে দেয়ার হয়। লাইন বসানোসহ সবই ঠিকঠাক আছে। কিন্তু এখনো বিদ্যুৎ আলো দেখতে পারছি না।

আপ্রুমং পাড়া নিবাসী সদর ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান চাইসিং উ মারমা বলেন, উপজেলা সদরে আমাদের পাড়াসহ চারটি পাড়ার বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোসহ সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি। তবে দ্রুতভাবে বৈদ্যুতিক আলো সংযোগ স্থাপনের সংশ্লিষ্ট্য কতৃকপক্ষ সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করছি বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গণি ওসমানী বলেন, সম্প্রতিক পরির্দশনে সময়ে সদর এলাকায় বিদ্যুৎ খুঁটিসহ সঞ্চালন লাইন স্থাপনে কাজ শেষ হয়ে দেখেছি। সঞ্চালন লাইনসহ খুঁটি বসানো পাড়ার বিদ্যুৎ আলোর সংযোগে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট্য উর্ধতম কর্তৃকপক্ষকে অবহিত করবেন জানান।