॥ লামা উপজেলা প্রতিনিধি ॥
লামায় ৩ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন কর্তৃক অন্তসত্ত্বা গৃহবধূকে মারধর এবং নির্যাতনের ফলে ৬ সপ্তাহের গর্ভের সন্তান নষ্ট, এমন অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন শারমিন আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ। সে লামা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সাবেক বিলছড়ি এলাকার মোঃ শাহজাহান এর মেয়ে।
বুধবার (২৯ জুলাই) লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মামুন মিয়া মামলার বাদীর পক্ষে অভিযোগটি উপস্থাপন করেন। বিজ্ঞ সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি নিয়মিত এজাহার হিসাবে আমলে নিতে লামা থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ্যাডভোকেট মামুন মিয়া বলেন,বাদীর আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে ৩২৩/৩০৭/৩১২/৩১৩/৩৫৪/৫০৬/৩৪ দন্ড বিধিতে মামলাটি উপস্থাপন করেন। মামলার বাদী গৃহবধূ শারমিন আক্তার তার স্বামী নুর আলম, শ্বশুর রুহুল আমি ও শাশুড়ি লুৎফা বেগম কে মামলায় আসামী করা হয়।
আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, লামা পৌরসভার সাবেক বিলছড়ি সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান এর মেয়ে শারমিন আক্তারকে একই গ্রামের বাসিন্দা রুহুল আমিন এর ছেলে নুর আলমের সাথে গত ২৮ আগষ্ট ২০১৯ইং বিবাহ দেন। বিবাহের পর সংসার ৩ থেকে ৪ মাস সুখের হলেও তারপর থেকে শারমিনের জীবনে নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। তার শ্বশুর-শাশুড়ির কু-প্ররোচনায় স্বামী নুর আলম ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। যৌতুক না দেয়ায় প্রথম দিকে মানসিকভাবে নির্যাতন ও ধীরে ধীরে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। গত ১৬ জুলাই ২০২০ইং যৌতুকের টাকা না পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে রাত ১০টা হতে রাত ১টা পর্যন্ত হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র, লাথি, কিল, ঘুষি মেরে তলপেঠ, হাতে, মুখে, বুকে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে। এসময় তাদের পার্শ্ববিক নির্যাতনে গৃহবধূ শারমিনের ৬ সপ্তাহের গর্ভের অন্তসত্ত্বা সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। খবর পেয়ে বাবা শ্বশুর বাড়ি থেকে চিকিৎসার জন্য লামা হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়।