[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

যৌবন ফিরে পেয়েছে রাঙ্গামাটির শুভলং ঝর্ণা

১২০

॥ মোঃ আরিফুর রহমান ॥

অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত জেলা রাঙ্গামাটি। বর্ষা এলেই এখানকার প্রকৃতি যেন নিজেকে মেলে ধরে। মূলত বর্ষাতেই পাহাড়ী অঞ্চলের প্রকৃতি অত্যাধিক উপভোগ্য। তেমনি এইবার বর্ষায় সেই চিরচেনা যৌবনা রুপ ফিরে পেয়েছে রাঙ্গামাটির শুভলং ঝর্ণা। শুকনো মৌসুমে খুব সামান্য পানি থাকলেও বর্ষা মৌসুমে শুভলং ঝর্ণার পানি প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে নিচে আছড়ে পড়ে কাপ্তাই লেকে গিয়ে মেশে। ঝর্ণাটি দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছে ছোট থেকে বৃদ্ধ বিভিন্ন বয়সী মানুষ।

শুভলং ঝর্ণা রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলায় অবস্থিত। রাঙ্গামাটি সদর হতে শুভলং ঝর্ণার দুরত্ব প্রায় ২৫কিলোমিটার। শুভলং ঝর্ণায় বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন কিছু স্থাপনা নির্মাণ করেছে এবং ঝর্ণায় প্রবেশ করতে দর্শনার্থীদের জনপ্রতি ১৫টাকা মূল্যের টিকেট কাটতে হয়।

 

টিকিট কাউন্টারে থাকা ষ্টাফ জানায়, ১১আগষ্ট থেকে লকডাউন কিছুটা শিথিলের পর ঝর্ণায় মানুষের উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে। আগতদের মধ্যে স্থানীয় পর্যটক বেশী। ১৯আগষ্ট থেকে সরকারীভাবে পর্যটন কেন্দ্র খুলে দিলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আরো বেশী পর্যটক বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শুভলং ঘুরতে আসা উমাচিং বলে, বিগত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে ঝর্ণায় এখন অনেক পানি। ঝর্ণা থেকে পানি সোজা লেকে গড়িয়ে পড়ে। অনেকদিন পর কোথাও ঘুরতে এসে খুবই ভালো লাগছে।

রাঙ্গামাটি শহর থেকে শুভলং ঝর্ণায় যেতে হলে নৌ পথে ইঞ্জিন চালিত বোট রিজার্ভ করে আসা যায়। শহরের রিজার্ভ বাজার, ফিসারী ঘাট এলাকা থেকে অথবা পর্যটন এলাকা থেকে বোট রিজার্ভ করা যায়। এগুলোর ভাড়া আকার অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। মূল শহর থেকে শুভলং যেতে সময় লাগবে এক থেকে দেড় ঘণ্টার মত।