[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিজিবি’র অভিযানে সাড়ে ১৩ লাখ টাকার অবৈধ সিগারেট জব্দউন্নয়নের পূর্বশর্ত শান্তি, রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসকবান্দরবানে জন্মনিবন্ধন-নাগরিকত্ব সনদ, রোহিঙ্গা নয় প্রত্যয়নপত্র তৈরীর দোকান সিলগালাখাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইব্রাহিম সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতবান্দরবানে খেয়াং নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ-সমাবেশবান্দরবানে নারী ধর্ষণ-হত্যার ঘটনা প্রশাসন ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে দাবিবান্দরবানে থানচিতে খেয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে চার সংগঠনের নিন্দানিলামে বৈধতা পাচ্ছে, আগামীতে জব্দ বালু নিলাম বন্ধ: বান্দরবান জেলা প্রশাসকখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা, দুঃখের বিষয় আসামীকে বিজ্ঞ আদালত জামিন দিয়েছেনবান্দরবানের থানছিতে খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

উৎপাদন বেড়েছে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে

৪৪

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

রাঙ্গামাটিতে থেমে নেই বৃষ্টি। টানা বর্ষণে কাপ্তাই হ্রদের পানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদনও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের। বুধবার (১১ আগস্ট) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।

তিনি আরো জানান, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মোট পাঁচটি জেনারেটর রয়েছে। এই পাঁচটি জেনারেটর থেকে প্রতিদিন ২৩০ মোগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। বর্তমানে পাঁচটি জেনারেটর থেকে ১৩০ থেকে ১৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হচ্ছে।

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পানি রির্জাভ থাকার কথা ১০৮ ফুট এবং কাপ্তাই হ্রদে পানির রুলকার্ভ ( পানির পরিমাপ) অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে পানি থাকার কথা ৯৯.২০ ফুট মীন সী লেভেলের (এমএসএল) উপরে। কিন্তু কাপ্তাই হ্রদে পানি রয়েছে ৮৯.৪৩ ফুট এমএসএলেরও কম। এই অবস্থায়ও প্রতিনিয়ত বিদ্যুত উৎপন্ন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে ১৯৬০ সালে খরস্রোতা কর্ণফুলি নদীর উপর দিয়ে নির্মিত হয় কাপ্তাই বাঁধ। সৃষ্টির পর বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন, নৌ যোগাযোগ, জলে ভাসা জমিতে কৃষি চাষাবাদ, সেচ, ব্যবহার্য পানি সরবরাহ, পর্যটনসহ বিভিন্ন সুযোগ ও সম্ভাবনা গড়ে ওঠে কাপ্তাই হ্রদ ঘিরে। কিন্তু সৃষ্টির পর থেকে কাপ্তাই হ্রদের কোনো সংস্কার, ড্রেজিং বা খনন করা হয়নি। ফলে বছরের পর বছর ধরে নামা পাহাড়ি ঢলে পলি জমে এবং নিক্ষেপ করা হাজার হাজার টন বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে হ্রদের তলদেশ। এতে নাব্যতার সংকটে অস্তিত্বের সম্মুখীন এই হ্রদ। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় হ্রদ ঘিরে তৈরি হয় নানা সংকট।