[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-২৮

৩৩

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ২৮ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় নিয়া ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুচিন্তিত ব্যবস্থা লইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…

মা’জননীগো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালো মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে। দেশে মানুষ সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে মনে হইতেছে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। এইসব বধ্ করিতে আপনার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।

পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও সন্ত্রাসীরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। দলাদলী বলাবলি লইয়া পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। সন্ত্রাসীরাতো গেল সপ্তাহেও এক যুবককে পরপারে পাঠাইয়াছে। মনে হইতেছে খানিক দম লইয়া পরে অন্যের দম বন্ধ করিয়া দিতাছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী সন্ত্রাসীগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেছে। এই অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান হেই আছে হেই নাই অবস্থা। দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে একটু সময় দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি, কলকাঠির পিছনে কারা চিহ্নিত করেন।

মা’জননীগো করোনায়তো উন্নয়নের গতি টানিয়া ধরিয়াছে। করোনায় আক্রান্ত হইয়া দেশের মানুষ ডাঙার মাছের মতনই ধরফর করিয়া মরিতেছে। বহুতে চিকিৎসা না পাইয়াও মানুষ মরিতেছে। দেশের বহুত স্থানেতো বিশাল বিশাল সাইনবোর্ডে টাঙানো বিভিন্ন রোগের ডাক্তাররা নাকি নানান অজুহাতে পলাতক। পত্র-পুত্রিকায় যেই চিত্র দেখিতেছি তাহাতে মনে হইতেছে ডাক্তাররাই চিকিৎসা না দিয়া রোগীসহ মৃত্যুর সংখ্যা বাড়াইয়া দিতাছে। তাইনেরাতো এখন করোনার বিপরীতে আরেক মহা ভাইরাস হইয়া পড়িয়াছে। রোগী যেই রোগেরই হোউক করোনা সন্দেহে সেবা দিতে চাহিতেছেনা বলিয়া অসহায় দাদু-দিদিরা নিত্য অভিযোগ আপুত্তি করিতেছে, এইতো তাইজ্জব কান্ডকারখানা। মা’রে যেইসব জাক্তার, হাসপাতাল, রোগীর সেবা দিতে চাহে না তাঁগোরে তাৎক্ষনিক জেল খানায় ভরনের ওয়ার্ডার দেন। পলাতক ডাক্তারের সার্টিফিকেট বাতিল করেন, পাবলিক হাসপাতাল দুই চাইরটারে সিলগালা করিতে ওয়ার্ডার দেন। রোগ বালাই থাকিবে চিকিৎসা না দিয়া যদি মানুষই মরিয়া যায় তয় আমাগো স্বাস্থ্যমন্ত্রীর করোনাযুদ্ধের ফলাফল কি হইবে। দেশের ফাটা কপাইল্লা দাদু-দিদিগোর কুইশান হইলো তাইনে কি বসিয়া বসিয়া রুগী আর মৃত্যুর সংখ্যা গুনিতেছে।

মা’জননীগো করোনা রোগেতো মানুষের মানুষে মানবতা থাকিতেছেনা। মা-বাবা সন্তানের সম্পর্কও ছিন্ন দেখাইতেছে, সত্যিই আমরা আজব পৃথিবীরই মানুষ। এই রোগ লইয়া যেন রক্ত মাংস খেকো পশুরই মতনই মানুষের আচরন বলিয়া মনে হইতেছে। করোনা আক্রান্তদের লইয়া দেশের বহুত স্থানে মানুষে মানুষে মানবতা কি এখন মহাপ্রশ্ন। সংসদ অধিবেশনেও আপনার বক্তব্য মানুষের মনে কড়া নাড়িয়াছে। করোনা রোগের প্রতিরোধ প্রচারের মইধ্যে বহুতের অপপ্রচার বেশী হইয়া গিয়াছে। সাবধানতা মানিতে যাইয়া রক্তের সম্পর্ককেও অস্বীকার করিতে মানুষ দুইবার ভাবে নাই। মা’গো কথা হইলো এই মহামারি যুদ্ধে জয়ী হইতেই হইবে। যত দ্রুত সম্বব দেশের দাদু-দিেিগার শরীলে ভ্যাকসিন পুশ করিতে ব্যবস্থা লইবেন।

দেশের অন্যান্য স্থানের মতন পাহাড়েও ত্রাণ লইয়া বহুত লুকোচুড়ি হইতে বলিয়া ফুসফাস চলিতেছে। সরকারের দেয়া ত্রান কারো ভাগ্যে কয়েক দফায় জুটিলেও কারো ভাগ্যে শুন্য। কাজের অভাবে খাদ্যের অভাবে ঘরবন্দী মানুষ ছটফট করিয়া বহু দাদু-দিদি তাইনেগোর দেনার হিসাব লম্বা করিয়াছে। এই মহাবিপদের সময়ে বহুতে সাধারণ মানুষের পকেট কাটিয়াছে। রাঙ্গামাটি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কোভিট-১৯ এর সহায়তার অর্থ কিছু অসহায়দের হাতে উঠিলেও অধিকাংশই নাকি সহায় সম্বল ওয়ালাদের পকেটে বলিয়া আপুত্তি উঠিয়াছে। আমাগো ছার দাদু কহিলো কোভিট-১৯’র দান লইয়া তলে তলে বহুতে রেড হইয়াছে। রেড ক্রিসেন্ট এর কাইজ কামে নানা সময়ে নানান কিছিমের আপুত্তি হইলো ধাপ্পাবাজরা খাপ্পা মারিয়া বেড়ায়। তয় মানুষের ভাগ্য লইয়া ছিনিমিনি খেলা বন্দ করিতে পাহাড়ে দানের বরাদ্দে কড়া নজর দিবেন।

মা’রে ফরমার ছাত্র নেতা বাপ্পি দাদু কহিলো পৌর সভার মেয়াদপূর্তির নয় মাস আগেই কেউ কেউ নাকি নেতাগোর দ্ধারে দ্ধারে ভোঁমরার মতন ঘুরিতেছে। যাহারাই নেতৃত্ব পাইয়াছে উন্নয়নের নামে চুরিচামাড়ির হুল গজাইয়া অসহায়দের চুষিয়া খাইতেছে। পাহাড়ে নেতারা করুনা করিতে যাইয়া নেতৃত্ব যেন দুর্নীতিতে আরেক করুনা ভাইরাসে পরিনত হইয়াছে। তিন পরিষদে তৈল পার্টি, মলম পার্টি, ঝাপ্পা পার্টি, উন্নয়নের নামে কাগজ কলমের পার্টিদের উপড়াইয়া ফেলিবেন। হুনিলাম জেলা পরিষদের সদস্য লাভে ঢাকা-চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি দাবড়াইতেছে। উন্নয়ন বোর্ডের নেতৃত্ব লইয়াও ভাবনের দরকার। বোর্ডে ভিতু দাদুরা গুজুর গুজুর করিতেছে হেইখানে নাকি কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন খুঁজি পাওয়া মুশকিল হইবে, যাউ¹া হেইসব কথা, আমাগো জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারমন নিখিল দাদুরে কাজে লাগাইলে অলাভ হইবেনা বলিয়া দলের বহুতে কথা চালাচালি করিতেছে। হাবাবাতাস যা টের পাইতেছি নিখিল দাদু’র ফরমার নেতৃত্বে সুনামের পল্লা ভারি। তয় তাল গোল ঠিক রাখিয়া ব্যবস্থা লইবেন, এই অধমের পরামর্শ খানা বিচক্ষনতায় ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’জননী আমাগো পাহাড়ী নেতারাতো সন্ত্রাসী দমনের নামে বিচার বর্হিভুত হত্যাকান্ড বন্ধ করিতে চরম গরম প্রেস নোট ছাড়িতেছে। ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিলেও সন্ত্রাসী কেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থাকিবে প্রশ্ন ছুঁড়িতেছে। আঞ্চলিক দল উপদলের নেতারা সষ্যের ভিতর ভুতের বসবাস বলিয়া মাইক ফাটাইতেছে। বহুতে নাকি ঘুঁঠা দিয়া পাহাড় গরম করিতে ঘি ঢালিতে প্রস্তুত। যাঁরা তৈল-ঘি লইয়া দৌঁড়ায় তাহাদের চিহ্নিত করনের দরকার। এইভাবে লাট্টালাট্টি চলিতে থাকিলে বাট্টাই বাড়িতে থাকিবে। চুক্তির সুফল জনগন যাহাই পাইতেছে তয় কুফলের সুফলতো পাইতেছেনা। পাহাড়ে আকাম বন্ধ করিতে অপরাধের বস্তায় বস্তায় মামলার লাইন ধরিয়া টান দেন। মানবতা বিরোধী কাজের দুই চাইরটা টান দিলেই ফত ফত করিয়া নাটের গুরু, লাটের গুরু, লুটের গুরু, পুশিং গুরু, খুশিং গুরু সবগুলাইন দাঁড় হইয়া যাইবে। মা’জননী পাহাড়ে বহুত তামাসা চলিতেছে এই অধমের কথাডা বেদম বলিয়া গন্যু করিবেন।

মা’জননীগো দেশ গেরামের হতভাগ্য দাদু-দিদিরাযে রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে এই অধম, পোড়াকপাইল্ল্যা পাহাড়ী দাদুও আপনার দরবারে খোলাপত্র লেট ছাড়াই পাঠাইয়াছে। পাপিয়াগোর আকামের কুশীলবদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কি জাতি জানিতে চাহে। মা’গো এইসব চোর ডাকাইতরে দয়া দেখাইলে দেশের সৎ নেতৃত্ব, ব্যক্তিরা গঁয়া-কাঁশির চিন্তা করিতে হইবে। আগামী বাজেটে নাকি দেশের কুটি কুটি দাদু-দিদিরা টেক্স দিতে দিতে শরীলও ফ্যাকচার হইয়া যাইবে। বাজেটের কথা চালাচালিতে তাই মনে হইতেছে। তয় মারে গরীবের ঘারের টেক্স বন্ধ করিতে হইবে। কালো টাকার মালিকদের টেক্স বাড়াইয়া দেন। মা’রে দেশে করোনা ভাইরাসে যতটুকুইনা রোগি তার চাইতে ভয়ের রুগি কুটি কুটি। এই ভাইরাস লইয়া বহুতে ব্যবসা-বানিজ্যে ভাইরাস শুরু করিয়া দিয়াছে। এই হইলো লুটেরা ব্যবসায়ী কর্তৃক মানুষের রক্ত চুষিয়া খাওনের আরেক ভাইরাস চক্র। শুভ দাদু কহিলেন, মাক্স পড়িলেই যে রোগ হইবে না তার গ্যারান্টি কি মাক্স ব্যবসায়ীরা দিয়াছে। কথা হইলো মা’রে যত দ্রুত সম্ভব ঔষধ আর ভ্যাকসিন দেন। না হইলে দেশের দাদু-দিদিরা বড় বড় ভাইরাস লইয়া হামাগুড়ি দিতে দিতে মরিয়া যাইবে।

মা’গো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন লইয়া চট্টগ্রামে প্রার্থীগোর মইধ্যে উৎসব উৎসব ভাব চলিলেও এরই মইধ্যে করোনা ভাগ বসাইয়া দিয়া এখনতো ধরোনা ধরোনা অবস্থা। বহুতে ডরে ভয়ে রহিয়াছে এইবার কি হইতে যাইতেছে। সিসি নির্বাচনে আমামীলীগে প্রার্থী পরিবর্তন উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করিবে বলিয়া প্রচার চলিতেছে। লোকমান দাদু কহিলো চক্রান্তকারী দলে পাল্লাভারি হইয়া ঝোপ বুঝিয়া ক্ষেপ মারিতেবে। বার আউলিয়ার দেশ হইতে আকামকারীদের উপড়াইয়া ফেলিতে ওয়ার্ডার দেন। আমাগো লেদু দাদু কহিলো পিডিবি’র ফ্রি পেইড কার্ডের লম্বর টিপিতে টিপিতে আঙ্গুলেতো ফোসকা পড়িতেছে। কোটি কোটি টাকার ইয়াবাকারবারীর বড় বড় দলের খবর জানিতে চাহে নগরবাসী। মা’রে করোনা ভাইরাস থাকিবে করোনা যাইবে কিন্তু আকামের বড় বড় ভাইরাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকিতেই হইবে, বিষয় খানা মাথায় রাখিবেন। জাতির জনকের জন্মশতবর্ষে ওয়াদা হইতে হইবে ক্ষেমাও নয়, ক্ষমাও নয় দূর্নীতির বিরুদ্ধে বুলড্রোজার চালাইয়া যাইবেন। তয় নষ্টের পিছনের কালপ্রিট কারা তথ্য লইতে আদেশ দেন।

মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, কথা হইলো আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালো থাকিবেন। আইজ এই পর্যন্ত।

ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ১৪ জুন-২০২০খ্রীঃ