পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-২৬
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ২৬ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় নিয়া ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুচিন্তিত ব্যবস্থা লইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…
মা’জননীগো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালো মন্দে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে। দেশে মানুষ সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে মনে হইতেছে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। এইসব বধ্ করিতে আপনার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।
পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও সন্ত্রাসীরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। সন্ত্রাসীরাতো গেল সপ্তাহেও দুই যুবককে পরপারে পাঠাইয়াছে। মনে হইতেছে খানিক দম লইয়া পওে অন্যেও দম বন্ধ করিয়া দিতাছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী সন্ত্রাসীগোর লাগাতার অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেছে। এই অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান হেই আছে হেই নাই অবস্থা। দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে একটু সময় দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি, কলকাঠির পিছনে কারা চিহ্নিত করেন।
মা’জননীগো মেয়াদ শেষ ছাত্রলীগ নেতৃত্বে পাহাড়ে একে অন্যের বিরুদ্ধে ব্যানার ফেস্টুন দেখাইতেছে। এইসব লইয়া দলের বহুতে মুচকীও হাঁসিতেছে। ছাত্র নেতাগোর এই চিত্র দেখিয়াও কর্তারা দর্শকের ভুমিকা পালন করিতেছে। এইভাবে চলিতে থাকিলে ঝাঁটা আর লাঠিসোঁটা লইয়া যেই কোন মুহুর্তে তুফান চালাইবে। পাহাড়েও ছাত্র নেতারা নাকি জামাত-শিবিরের সহিত চরম বন্ধুত্ব করিয়া দলের উপর বদনামের কাঁদা লেপন করিতেছে। যা জানিতেছি পিওর ছাত্র নেতা খুঁজিতে চালইন দিয়া ছাঁকিতে কেন্দ্রীয় দাদুগোরে ওয়ার্ডার দেন। মাদার ডিস্ট্রিক্টেও আমামীলীগের সম্মেলন দাবি করিয়াছে না হইলে দন্ধে দন্ধে গন্ধ ছড়াইবে। এইখানে অ-ঘাটকে ঘাট বানাইতে যাইয়া দলের মান, সুনাম ভাসাইয়া যাইতেছে। দলের বহুতেই গন্ধ সন্ধ ছড়াইতেছে লেখা নাই, পড়া নাই তাগো হাতে নেতৃত্ব যাইয়া কালাইয়া সাদাইয়ারা চুরিচামারিতে কোটি কোটি টাকার মালিক। বাপ্পি দাদু কহিলো পৌর সভার মেয়াদপূর্তির নয় মাস আগেই কেউ কেউ নাকি নেতাগোর দ্ধারে দ্ধারে ভোঁমরার মতন ঘুরিতেছে। যাহারাই নেতৃত্ব পাইয়াছে উন্নয়নের নামে চুরিচামাড়ির হুল গজায়। নেতারা করুনা করিতে যাইয়া যারা নেতা হইয়াছেন পাহাড়ে তাহাদের নেতৃত্ব যেন দুর্নীতিতে করুনা ভাইরাসে পরিনত হইয়াছে। তিন পরিষদে তৈল পার্টি, মলম পার্টি, ঝাপ্পা পার্টি, উন্নয়নের নামে কাগজ কলমের পার্টিদের উপড়াইয়া ফেলিবেন। উন্নয়ন বোর্ডের নেতৃত্ব লইয়াও ভাবনের দরকার। হুনিলাম জেলা পরিষদের সদস্য লাভে ঢাকা-চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি দাবড়াইতেছে, চেয়ার পাইলেই মুনাফার মানসে তিন জেলার বহুত মতরখাও টক্কর মারিতেছে। দলের বিজ্ঞ চান্দি গরম নেতারাও তাই কহিতেছেন। মা’রে দূর্নীতির বিরুদ্ধে পাহাড়েও চিরুনী অভিযান চালান, দুই চাইরটারে জেলে ভরাইয়া দেন, এই পোড়াকপাইল্লাও আপনার দরবারে মানত করিতেছে।
মা’রে পাহাড়ী নেতারাতো সন্ত্রাসী দমনের নামে বিচার বর্হিভুত হত্যাকান্ড বন্ধ করিতে নোট ছাড়িতেছে। ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিলেও সন্ত্রাসী কেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। আঞ্চলিক দল উপদলের নেতারা সষ্যের ভিতর ভুতের বসবাস বলিয়া মাইক ফাটাইতেছে। বহুতে নাকি ঘুঁঠা দিয়া পাহাড় গরম করিতে ঘি ঢালিতে ওস্তাদ। যাঁরা তৈল-ঘি লইয়া দৌঁড়ায় তাহাদের চিহ্নিত করনের দরকার। এইভাবে লাট্টালাট্টি চলিতে থাকিলে বাট্টাই বাড়িতে থাকিবে। চুক্তির সুফল জনগন যাহাই পাইতেছে তয় কুফলের সুফলতো পাইতেছেনা। আমাগো পাহাড়ি বিজ্ঞ দাদু-দিদিরা পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অঘটন আদো ঘটে অবস্থার শেষ হইবে কিনা প্রশ্ন ছুঁড়িতেছে। পাহাড়ে আকাম বন্ধ করিতে অপরাধের বস্তায় বস্তায় মামলার লাইন ধরিয়া টান দেন। মানবতা বিরোধী কাজের দুই চাইরটা টান দিলেই ফত ফত করিয়া নাটের গুরু, লাটের গুরু, লুটের গুরু, পুশিং গুরু, খুশিং গুরু সবগুলাইন দাঁড় হইয়া যাইবে। বান্দরবানে সন্ত্রাসীরা বাচনু মারমাকে গুলি করিয়া হত্যা করিয়াছে এইসব দেখিয়া আরেকজনতো হার্ট এ্যাটাক করিয়া পরপারে গিয়াছে। মাদার ডিন্ট্রিক্টে শক্তিমান দাদু হত্যার আসামী বাবুধনও নাকি বন্দুক যুদ্ধে নিহত হইয়াছে। বিজ্ঞ দাদুরা কহিলো এইভাবে বহুত আকামের চিহ্ন নাকি মুছিয়া যাইতেছে, চরম চিন্তার বিষয়। মা’জননী পাহাড়ে বহুত তামাসা চলিতেছে এই অধমের কথাডা বেদম বলিয়া গন্যু করিবেন।
মা’জননীগো এনু, রূপন পাপিয়াগোর পাপে গোটাদেশে কুটি কুটি দাদু-দিদিগোর চোখতো কপালে। টক অব দ্য কানিট্র অব এনু-রূপন-পাপি’জ লুটপাট। এই চুনোপুঁটিরা কোট কোটি টাকা, স্বর্ণালংকার, এফডিআর, গাড়ি বাড়ি ফ্লাট, লুটপাটের টাকা ট্রাঙ্কে-বস্তায় থরে থরে ভরিয়াছে। ক’দিন আগেও আমাগো অর্থমন্ত্রী দাদু কহিয়াছিলেন দেশে নাকি টাকা নাই। তাইনের কথাডাও যে ভুল আছিল এনু, রূপন পাপিয়ারা পুরিস্কার করিয়াছে। এনু-রূপন সহোদররাই দেশের মানুষকে দেখাইয়া দিল কিভাবে হাজার কুটি টাকার মালিক হওন যায়। দেশ গেরামের হতভাগ্য দাদু-দিদিরাযে রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে এই অধম, পোড়াকপাইল্ল্যা পাহাড়ী দাদুও আপনার দরবারে খোলাপত্র লেট ছাড়াই পাঠাইয়াছে। এইসব পাপিগোর অর্থ ভান্ডার পত্রপত্রিকা টেলিভিশন দেখিয়া কেউ বগলের তলে বাঁশি ফুটায় কেউ গুতোর চট্টে আমাগো কলিজাও ছিড়ায়। পাপিয়ার আকামের কুশীলবরা যাহাতে পলাইতে না পারে আমাগো গুরিন্দা দাদু-দিদিগোরে ওয়ার্ডার করিবেন। এনু, রূপন পাপিয়াগোর মতন লুটেরা বেহায়ারা গোটা দেশের জেলা উপজেলাও রহিয়াছে। মা’গো এইসব চোর ডাকাইতরে দয়া দেখাইলে দেশের সৎ নেতৃত্ব, ব্যক্তিরা গঁয়া-কাঁশির চিন্তা করিতে হইবে। ক্ষেমাও নয় ক্ষমাও নয় দূর্নীতির বিরুদ্ধে বুলড্রোজার চালাইয়া যাইবেন। এই বেকুব পাহাড়ী দাদুর অবাস্তব চিন্তার বাস্তবতা খুঁজিয়া পাইবেন।
মা’রে মামলার ভয় দেখাইয়া এক পুলিশ কর্তা লঞ্চ যাত্রীর অর্থ লুট ঘটনাতো পিত্তজ¦ালা অবস্থা। ভবের দুনিয়ায় পুলিশ কর্তার ভাবের দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীরে আবারো ডুবাইয়াছে। নারায়নগঞ্জেতো কব্জিকাটা ছাত্রলীগের দাপট বাড়িয়াছে। দিনাজপুরে ছাত্রদলের নেতাকে কোপাইয়া হত্যা করিয়াছে সন্ত্রাসীরা। নারী ধর্ষণ, খুন, মাদক কি সামাজিক ব্যধি হইয়া দাঁড়াইয়াছে। শিশু, কিশোরী, যুবতী, বিধবা, প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ যেন পাল্লা দিয়াই চলিতেছে। কর্মস্থলে নাকি দশ শতাংশ নারী পুলিশ যৌন হয়রানির শিকার। সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী নারীর ক্ষমতায়ন কই প্রশ্ন তুলিয়াছে। সীমান্ত এলাকায় গেল দেড় মাসে নাকি এগার জনকে হত্যা করিয়াছে বিএসএফ। তয় সীমান্ত এলাকা যদি সুরক্ষাই থাকে আমাগো দেশের মানুষ কিভাবে মরে তার খবর লওনের দরকার। পত্রে দেখিলাম বাংলাদেশের জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি ভারতে নাকি পাচার হইতেছে। যাউ¹া হেইখানেও অন্তত কমিয়া যাক। মাদক কারবারী, চোরাচালান, মানব পাচার বন্ধ করিতে সীমান্তবাহিনীর সদস্যদের কড়া ওয়ার্ডার করেন। সিলেটে ছাত্রলীগের লোমহর্ষক ডেডজোন টিলাগড়ের ঘটনার পরসমাচার দরকার। মা’গো মানবতাবিরোধী, অন্যায় অপ-শক্তিদের উপর বুলডোজার চালাইতে পিছনে তাকানোর দরকারও নাই। এই পোড়া কপাইল্লার আরজি খানা মাথায় রাখিবেন।
চট্টগ্রামের কিশোর গ্যাংকতো বেপরোয়া। সাথে সুযোগ যোগ হইয়াছে সিটি নির্বাচন। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীগোর সন্ধ্যান চাহিয়া ফেসবুকে পুলিশ দাদু’র নাম ঠিকানার পোস্ট। সাত বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদনই যদি না হয় তয় রিজার্ভ মানেটা কি, পিডিবি কি দেশের মানুষের সাথে তামাসা দেখাইতেছে। এইবার একলক্ষ ইয়াবাসহ ধরা খাইয়াছে ছাত্রলীগনেতা ফয়সলসহ তিন সহযোগী। উখিয়ায় দেড়কোটি টাকার ইয়াবা। ক্রস ফয়ারের ভয় দেখাইয়া বায়েজিদ থানার ওসিসহ সাত পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা। কোটি কোটি টাকা নালা নর্দমায় ঢালিয়া প্রিমিয়ার ভার্সিটি সেচ্ছায় বুলড্রোজার চালাইতেছে। দুই হাজার সালে চট্টগ্রামের বহাদ্দাহাটের আস্ট মার্ডারের হোতারাই দেশে থাকিয়া কিভাবে অধরা থাকিলো। নগর জুড়িয়া সড়কে অবৈধ চান্দাবাজি বাড়িয়াছে। কোকেন চালানেতো বড় বড় রাঘববোয়াল। নগরবাসী তাইনেগো জ্ঞাতি গুষ্টির খবর জানিতে চাহে। নাছির দাদু অপরাজনীতির শিকার হইলে তাইনে গত পাঁচ বছরকি কোন রাজনীতি করেন নাই। মা’রে রেলের জায়গায় বেসরকারি হাসপাতাল হইলো সম্পদ হননের ইঙ্গিত, এইসব বন্ধ করিতে আদেশ দেন। চট্টগ্রাম মহানগরকে রাক্ষস খোক্ষসদের হাত হইতে বাঁচাইতে অভিযান অব্যাহত রাখিতে আদেশ করিবেন।
মা’জননীগো জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী পালনে জাতি অধির আগ্রহে রহিয়াছে। আপনিতো কহিলেন ‘মা’ যাঁহাদেও রান্না করিয়া খাওয়াইতো বঙ্গবন্ধকে তারাই হত্যা করিয়াছে। তয় তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, কথা হইলো আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালো থাকিবেন। আমার প্রাণ প্রিয় ভাষার ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাইয়া আইজ এই পর্যন্ত।
ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ১ মার্চ-২০২০খ্রীঃ