পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-১৩
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার আর্শিবাদে সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীন হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ১৩ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব এই পাহাড়ী দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু মন দিয়া পড়িবেন, ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, সুচিন্তিত ব্যবস্থা লইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…
মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, স্বাধীনতার স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মানব সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’কে জানাই গভীর শ্রদ্ধা। হে মহানায়ক তুমি এসো আমাদের মাঝে স্বাধীনতার শক্তি হইয়া, তুমি এসো আমাদের মাঝে পরাধীনতার শিঁকল ভাঙ্গার সংকল্পন নিয়া। সোনার বাংলার এই মহানয়কের ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে কলম যোদ্ধা এই পাহাড়ী দাদুর নতশিরে রইল বিনম্র প্রণাম।
মা’জননীগো করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ছহি ছালামতে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়া মামলা মোকদ্দমায় আর ডেঙ্গু লইয়া গড়াগড়ি করিতেছে। গোটা দেশের যা চিত্র তাতে মানুষ সৃষ্ট আচমকা অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা ঘটনা ঘটিয়াই যাইতেছে। পত্রপত্রিকায় যা বার্তা দেখিতেছি দেশে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। ভুক্তভোগীরাতো আপনার দিকেই তাকাইয়া রহিয়াছে। দেশ গেরামের অভাগা দাদু-দিদিদের এইসব রাক্ষস খোক্ষসদের হইতে বাঁচাইতে সার্বক্ষনিক হজাগ থাকিবেন, আপনার মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, দলের নেতাকর্মীগোরে কড়া ওয়ার্ডার করিবেন।
পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো এই পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পার্বত্য চট্টগ্রামেও দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, দখলপত্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। এইসব লইয়া পাহাড়ের দাদু-দিদিরাতো কহিতেছেন তাইনেরা প্রভাবিত-প্ররোচিত হইয়া নাকি প্রতিপক্ষ বধ্ করিতে কোমড় বাঁন্ধিয়া নামিয়াছে। তয় এই প্রতিযোগীতায় নামিয়া পাহাড়ে অকালে জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী দূর্বৃত্তগোর অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা আমস্বত্ত। এইসব লইয়া অসহায়রাতো সৃষ্টিকর্তারে রাইত দিন জবিতে জবিতে জানপরান এই আছে এই নাই ভাবিয়া, নখের কোনায় লইয়া দিন রাইত পার করিতেছে। অজ্ঞ বিজ্ঞ বহুতেতো কহিতেছে তিন পর্বতে দূর্বৃত্তগোর পাপের বোঝা নাকি বস্তায় বস্তায় হইয়া পড়িয়াছে। পাহাড়ের পেড়াকপাইল্লাগোর শান্তির জন্য এইসব বস্তার মুখ খুলিয়া সিরিয়াল করিয়া কাম শুরু করনের দরকার বলিয়া দাদু-দিদিরা খালি আপনার দরবারে মিনতি জানাইতেছে। দূর্বৃত্তরা পাহাড়কে যেইভাবে পিষ্ট করিতেছে দাদু-দিদিরা উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে চাপড়াইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে, মা’গো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে আগাইবেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া একটু ভাবেন, গবেষণা করেন, সময় দেন, কারন কি চিহ্নত করেন।
মা’ জননীগো গেল এক পক্ষের মইধ্যে দূর্বৃত্তগোর হাতে আমাগো রাজস্থলীর পাহাড়ে এক সেনা সদস্য প্রাণ হারাইয়াছে আবার সেনা সদস্যগোর মইধ্যে বন্দুক যুদ্ধে বাঘাইছড়ি আর দিঘীনালায় সন্ত্রাসী কয়েকজনতো পরপারে চলিয়া গিয়াছে। এইভাবে আর কতদিন চলিবে। পাহাড়ের মানুষ দূর্বৃত্তগোর হাতে আর কতো হত্যা, নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হইবে। পাহাড়ের দাদু-দিদিরাতো জীবনের পরান হেই আছে হেই নাই অবস্থায়। আমাগো ধন দাদুতো কহিলেন, পাহাড় পর্বতের শেষ সীমান্তে ঘেরা-বেড়ায় নাকি ছেড়া ফাটা, বড় বড় ছিদ্রও রহিয়াছে। তয় সীমান্ত এলাকায় দুুই পা, চার পার’র নাকি অবাদ আচরণ-বিচরণও চলিতেছে। দূর্বৃত্তরা নাকি পাহাড়ে ফটর ফটর আকাম চালাইয়া ঐসব ছেড়া ফাটা, বড় বড় ছিদ্র দিয়া মিসিং হইয়া যাইতেছে। এই সব বিষয়ে আমাগো স্বরাষ্ট্র দাদুরে কুইশান করেন। পাহাড় পর্বতের শান্তির জন্য রাজনৈতিক পরিকল্পনা-আলপনা করেন।
মা’ জননীগো তিন পাহাড় পর্বতে লিপিয়া পুঁছিয়া যাহা উন্নয়ন হইয়াছে তার মইধ্যে বহুততো এইবারের বইন্যায় ভাসাইয়া লইয়া গিয়াছে। বহুত প্রকল্পের কাইজ কামতো অল্প অল্প করিয়া আগাইলেও বইন্যার অজুহাতে অর্থও ভাসাইয়া লইয়া যাইতে পারে বলিয়া উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর অজ্ঞ বিজ্ঞ দাদু-দিদি বহুতে সন্দেহ পোষন করিতেছে। খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের এক দাদুতো কহিলেন হেইখানের বহুত উন্নয়ন কামও নাকি ‘নাই’ হইয়া গিয়াছে। তাইনে আরো কহিলেন লুটেরা টাউট শ্রেণীর খপ্পরে পড়িয়া জনগনের উন্নয়ন কাগুজে পত্রে রাখিয়া বহুত নাকি লোপাট। তাইনে খাগড়াছড়ির পাহাড় পর্বতে উন্নয়ন কাম কি পরিমান হইয়াছে এই দাদুরে ভিজিট করিতে ম্যাসেজ দিতাছে। তয় মা’রে এই পাহাড়ে কোটি কোটি টাকার উন্নয়নের খবরাখবর লইবেন।
মা’রে প্রাকৃতিক দূর্যোগে দেশের কুটি কুটি অভাগা দাদু-দিদিরা গায়ের কাপড় চোপড় ছিড়িয়া ফাটিয়া বান কাটিয়া উঠিতেই জান লইয়া টানাটানি। দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর জায়গা দেওনেরও টাঁই নাই। ডেঙ্গুর উৎপত্তি লইয়া দেশে বহুতের প্রাণ গিয়াছে অকালে। বহুতেতো ডেঙ্গু লইয়া রাজনীতিও করিতেছে। এই ডেঙ্গু মশা এইভাবে মানুষ না মারিয়া যদি পঙ্গু করিত তাও বহুত ভালা হইতো। নাগরিক দাদু-দিদিরাতো কহিতেছেন গোটা দেশের সিটি কর্পোরেশনগুলো যেন নিজেরাই ময়লার স্তুপ। তয় ডেঙ্গুর পিছনে পৌর কর্মচারীগোর গেল আন্দোলনের ইন্ধন রহিয়াছে বলিয়া শহর-নগরের বহুত দাদু-দিদির বিশ্লেষণ। মা’রে দেশের শহর গ্রাম পরিচ্ছন্ন রাখিতে কড়া আইন করেন। খাল, বিল, নদী, নালা, পুকুর বাঁচান। মন্ত্রী, এমপি, মেয়রগন শুধু ঝাড়ু লইয়া ফটো সেশন করিলেই চলিবেনা, শহর গ্রাম দূষণমুক্ত রাখিতে কড়া অপশনও বাহির করিতে ওয়ার্ডার করেন। পরিকল্পিত শহর-নগর উন্নয়নে উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের কর্তাগোরে কড়া আদেশ করেন।
আমাগো চট্টগ্রাম মহানগরীতেতো খুনের পর খুন হইয়াই যাইতেছে। এইবার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কোন্দলে ১৮বছরের কলেজ পড়ুয়া জনি খুন হইলো। চকবাজারের পরিত্যক্ত পানির ট্যাংক হইতে ২১ বছরের ফাহিমের গলিত লাশ উদ্ধার করিলো পুলিশ। বহুতেতো সন্দেহ করিতেছে এইসবের পিছনে হেইসব কথিত বড়ভাই। মা’গো এই বড় ভাইরা ক্ষমতার ঠেলায় দেশে আপনার শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধেও তর্জ্জনী প্রদর্শন করিতেছে বলিয়া কহিতেছি। এই মহানগরীর আনাচে কানাচে আকামের আরো বহুত অবৈধ বড়ভাই রহিয়াছে তাঁগোর ইন্ধনদাতাদেরও ধরেন আর সিরিয়াল করিয়া বিচারের আওতায় নেন। দেখিবেন হ¹ল আকাম ফত ফত করিয়া বাহির হইয়া পড়িবে, দেশ ও দলের মান ইজ্জত বাঁচাইতে দুই চারটারে লংটার্ম জেলে ভরিয়া দেন। এই অধম পাহাড়ী দাদুর পরামর্শ খানা কামে লাগাইতে আগাইবেন।
মা’রে দেশের ষোল কুটি দাদু-দিদির এখন বিষ ফোঁড়া হইলো রোহিঙ্গা। দেশের দাদু-দিদিরা তাইনেগোরে জয়াগাও দিয়াছে এখন উল্টো মাইরও খাইতেছে। এই পর্যন্ত রোহিঙ্গা যুবকের হাতে দেশের বহুত যুবক খুন হইয়াছে। তারাতো যাই যাই অবস্থা হইলেও এখন দেখি টেঁস দিতেছে। রোহিঙ্গা নেতাও নাকি হোয়াইট হাইজে গিয়াছে। যেই ব্যাটা লেংকুট পড়িয়া দেশে আসিয়াছে হেই ব্যাটা কিভাবে আমেরিকা গিয়াছে, কারা এর পিছনে কাম চালাইতেছে। এরই মইধ্যে আমাগো পুলিশ, গুরিন্দা বাহিনীর সদস্যরাতো হস্তচালিত চরম অস্ত্র উদ্ধার করিয়াছে। দেশের বহুত এনজিও, পেন্টজিওরা নাকি রোহিঙ্গারা না যাইতে ক্লিক মারিতেছে, উস্কানি ছড়াইতেছে। এই কামের পিছনের চালকদের দ্রুত বাহির করিয়া তাঁগো কাইজ কাম বন্ধ করিতে ওয়ার্ডার করেন। মা’রে আপনি ও দেশের মানুষ তাঁগোরে বহুত দয়া দেখাইয়াছে, আর নয় যে কোন মুহুর্তে তাঁগোরে লইয়া দেশের পরিস্থি চরমে ঠেলিয়া দিবে বলিয়া মনে হইতেছে, যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা লইবেন, এই অধমের বিষয়টি ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’গো দেশে নারী ধর্ষন ঘটনা পাল্লা দিয়াই চলিতেছে। আইজ দেশের এক কোনায় হইলে কাইল আরেক কোনায়। খুলনার ওসি সহ পাঁচ পুলিশের পরতো জামালপুরের ডিসিও জড়াইয়াছে। তাইনের খাঁস কামরার আকাম ফাঁস হইয়া দেশের কুটি কুটি দাদু-দিরিাতো ছিঃছিঃ করিতেছে। নারী শিশুরা যেন কোথাও নিরাপদ নাই। ধর্ষন ঘটনায় ইমাম, মোয়াজ্জেম, সাধু, কবিরাজও জড়িত হইতেছে। এইভাবে চলিতে থাকিলে শুধু দেশে নয় বিশে^র দরবারেও বাংলাদেশের মান ধরিয়া রাখা মুশকিল হইয়া পড়িবে। ধর্ষন ঘটনার আইন ও শাস্তি এইসব লইয়া গোটা দেশের গ্রামে গঞ্জে প্রচার কাম চালাইতে ডিসি এসপি ও দলের নেতা-নেত্রীগোরে আদেশ করেন। মা’জননীগো ধর্ষন-হত্যা ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মইধ্যে বিচার শেষ করিতে ওয়ার্ডার করেন। মাদক ইয়াবার মতো ধর্ষণ ঘটনারও বিন্দু টলারেন্স ঘোষণা করেন। অই অধমের পরামর্শখানা ভাবিয়া দেখিবেন।
আপনিতো কহিলেন, মন্ত্রীসভারে আরো সক্রিয় করিতে নিষ্ক্রিয়দের নাকি চেয়ার হইতে উঠাইয়া দিবেন। কথা হইলো, মা’রে দলের উচ্চ নেতা হোক আর নিম্ন নেতা হোক যার মেধা ও প্রজ্ঞায় তেজষ্কিৃয়তা আছে পরিষদে তাগোর সুযোগ দেন। যারা কথায় ফটর ফটর কামে টা-টা বাই বাই, তাঁগোরে নট গুডবাই, নট ইন্ডবাই, জাস্ট ওয়েটিং বাই অবস্থায় রাখিবেন। ডিজিটাল যুগে যদি মস্তিষ্ক দ্রুত কাম না করে তয় ডিজিটালের কামটাইবা কি। মা’রে সাত মাস নয়, সাড়ে তিন মাস অন্তর কামের মূল্যায়ন করিয়া মন্ত্রী পরিষদের সদস্যগোরে টাইট দেন। পরিষদে দ্রুত নবীন যোগ করেন। আমলাগোর কাইজ কামওতো ভালো মনে হইতেছেনা। এক ডিসি’র আকামতো বহুত কূকামের ইসারা বলিয়া মনে হইতেছে, বেকুবের এই ফরমায়েশ একবার ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরা উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জইন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, ভালো থাকিবেন, নিজের খেয়াল রাখিবেন।
ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ০১ সেপ্টেম্বর-২০১৯খ্রীঃ