পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-১০
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার আর্শিবাদে সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীন হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৯ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। তয় মা’গো দয়া করিয়া অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব এই দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু মন দিয়া পড়িবেন, ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো…
পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা মা’জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, দখলপত্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পাহাড়ের দাদু-দিদিরাতো কহিতেছেন তাইনেরা নাকি প্রতিপক্ষ বধ্ করিতে কোমড় বাঁন্ধিয়া নামিয়াছে। তয় এই প্রতিযোগীতায় নামিয়া পাহাড়ে অকালে জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগ হইতেছে। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী দূর্বৃত্তগোর অত্যাচারে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরা আমস্বত্ত হইয়া যাইতেছে। এইসব লইয়া পাহাড়ের অসহায়রাতো সৃষ্টিকর্তারে রাইত দিন জবিতে জবিতে জানপরান এই আছে এই নাই ভাবিয়া নখের কোনায় লইয়া দিন রাইত পার করিতেছে। তিন পর্বতেতো পাপের বোঝা বস্তায় বস্তায়, পাহাড়ের পেড়াকপাইল্লাগোর শান্তির জন্য এইসব বস্তার মুখ খুলিয়া সিরিয়াল করিয়া কাম শুরু করনের দরকার বলিয়া পাহাড়ের অজ্ঞ বিজ্ঞরা খালি আপনার দরবারে মিনতি জানাইতেছে। উপায়ান্তর না দেখিয়া চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তার দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে, মা’জননীগো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে ব্যবস্থা লইতে আগাইবেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া একটু ভাবেন, গবেষণা করেন, সময় দেন, কারন কি চিহ্নত করেন।
মা’ জননীগো তিন পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন হইয়াছে যেইভাবে মাইক ফাটাইতেছে, স্পিকার হাতে পাইলেই খালি তৈল মর্দন করিতেছে। তাহাতেতো বহুতখানের পাবলিক মুচকিও হাসিতেছে। ফটর ফটর করিয়া উন্নয়নের লেকচার শুনিতে শুনিতে আমিও উন্নয়ন কাজ গুনিতে আর তুনিতে দুরবীণ বসাইয়াছি। তয় মা’গো উন্নয়নের লেকচারে লেকচারে পাহাড়ের ঢালে, থলে, নালায়, চিপায় দেখিতেছি তলে তলে বহুত ফ্যাকচার হইয়া পড়িয়া রহিয়াছে। আমামীলীগের নের্তৃত্বের ভান্ডে আমিও দূরবীন বসাইয়া যা দেখিতেছি, উপলব্ধী করিতেছি, শুনিতেছি তাহাতে ইচ্ছে হইতেছে নিজের কপাল নিজেই ফাটাইতে। তয় আমামীলীগের চান্দি গরম নেতাকর্মীর ভারি দলতো তলে তলে তুষের আগুনে জ¦লিতেছে। দলের নিউ কামার আর ঠকবাজ নেতাগোর খপ্পরে পড়িয়া নাকি উন্নয়নের অর্থ নামে বেনামে তাইনেগোর পকেটেই মজুদ হইতেছে। মা’রে আপনিও যদি এই পোড়াকপাইল্লার মতন পাহাড়ে দূরবীণ বসাইয়া দেন দেখিবেন এই পাহাড়ী দাদুার ভাঙ্গা দূরবীনের সত্য বয়ান দেশের ফাস্ট ক্লাশ পুরিস্কার অর্জন করিবে বলিয়াই মনে হইতেছে। লীগের বহুত দাদু-দিদিওতো তাই কহিতেছেন, বিষয়টি ভাবিয়া রাখিবেন।
তিন পাহাড়ের জেলা পরিষদ নের্তৃত্বতো চলিতেছে তালে বেতালে সমন্বয়হীন অবস্থায়। আমামীলীগের কর্মীরা কহিলেন দলে শ্রম দিয়া, ভোট দিয়াও যারা ঠকিয়াছে এইসব মনোনীত পরিষদ বিদায় হইলে নাকি বাট্টাগুনিতে প্রস্তুত রহিয়াছে। পাবলিকতো যেইভাবে অভিযোগ আপত্তি করিতেছেন তাহাতে ক্ষমতাপ্রপ্তারা তাঁগো ভান্ড মজুদ করিয়াছে। মা’জননীগো পাহাড়ের আমামীলীগের নের্তৃত্বের চাবি একটু উল্টো মোছর মারিলেই ছোঁ ছোঁ করিয়া হ¹লই পস্ট দেখিতে পাইবেন। যাউ¹া হেইসব কথা।
মা’রে পাহাড়ের অসহায় দাদু দিদিগোরতো আমও যাইতেছে ছালাও যাইতেছে। সুবিধাবাদী, লুটেরা শ্রেণী, সাম্প্রদায়িকতাবাদ, শ্রেণী বিভক্তের রাজনীতির কারনে মানুষতো সত্যি রক্তচোষা জোঁকের দলেই বন্ধী। তয় নাটের গুরুর দল নরম-চরম ভক্তের অধিকারী হইয়া মনে হইতেছে হাবাবাতাসের আফিসের মতন তীর বসাইয়া এই কাম চালাইয়া যাইতেছে। হাঠৎ করিয়া বান্দরবানের পাহাড়ের আমমীলীগের কয়েক নেতাসহ বেশ ক’জনকেতো সন্ত্রাসীরা পরপারে পাঠাইয়াছে। অভাগা মানুষ গুলাইনরে যে যার ভাগে পাইতেছে ললিপপের মতন খালি চুষিয়াই যাইতেছে। পাহাড় উন্নয়নের ফর্দে কোটি কোটি টাকার শুভংকরের ফাঁকি। উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ লইয়া যা হাবা-বাতাস গন্ধ-সন্ধ পাইতেছি তাতে গত চাইর বছরে কুটি কুটি টাকা লোপাট হইয়াছে। এইসব বিষয আশয়গুলাইন তদারক করিবেন।
মা’গো বান্দরবানের অশুভশক্তির বহুতেতো হেইখানে কলকাঠি নাড়াইয়া যাইতেছে বলিয়া গন্ধ সন্ধ পাইতেছি। শান্ত ঐ পাহাড়ের লুটেরা টাউট শ্রেনী, উস্কানিবাজ, চুলকানিবাজ, ধাপ্পাবাজ, ভিতরগত, বহিরাগতরা হেইখানেওতো অহেতুক চুলকাইয়া ক্ষত স্থান সৃষ্টি করিতে চক্রান্ত চালাইয়া যাইতেছে। পৌর এক নেতার দরবারেতো সাঙ্গপাঙ্গরা চিনে জোঁকের মতন লাগিয়া থাকিতে দেখিলাম। হেই দিন আমাগো মন্ত্রী বাহাদুর দাদু উন্নয়ন অবনতির যা হুনাইলেন তাহাতে মনে হইতেছে তাইনে বহুত টেনশনে আছেন। তয় তলে বলে যারা চুলকাই ক্ষস্থান তৈরী করিতে চাহে তাহাদের বহুতরে পেনশনে দেওনের দরকার। হেইখানে আরো বহুত উন্নয়নের প্রয়োজন। মা’রে শান্ত বান্দরবানের প্রতি বহুতেতো কু-নজর দিতাছে তাঁগোর বিষয়ে আপনি সার্বক্ষনিক সু-নজর রাখিবেন।
মা’জননীগো করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ছহি ছালামতে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের মানুষতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে বলিয়াই মনে হইতেছে। গোটা দেশের যা চিত্র তাতে মানুষ সৃষ্ট আচমকা অত্যাচার, নারী-নির্যাতন ধর্ষন ঘটনা ঘটিয়াই যাইতেছে। পত্রপত্রিকায় যা বার্তা দেখিতেছি দেশে জানোয়ারের বিচরণ বাড়িয়াছে। ভুক্তভোগীরাতো আপনার দিকেই তাকাইয়া রহিয়াছে।
চট্টগ্রাম নগরীর অবস্থাতো বেহালে বেহালেই চলিতেছে। শুধু লো-তে নয় হাইওয়েতেও নাকি জলাবদ্ধতা, তাইজ্জব কান্ড কারখানা। খাল, নালা, নর্দমা উদ্ধারেও গরিমসি। এ যেন সব খাই খাই, পাই পাই অবস্থা। খাল নালার জায়গা যে যার মতন করিয়া দখলে নিয়া খালি দালানই বানাইয়াছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিটি কর্পোরেশনতো ভাঙ্গার কাজ চালাইতেছে তয় মাথায় রাখিতে হইবে অবৈধ স্থপনা যাহাতে আর বৈধ না হইয়া যায়, চট্টগ্রামের নেতাগোরে কড়া ওয়ার্ডার করিবেন। মা’গো চট্টগ্রাম নগরীর আনাচে কানাচেতো আকামের বহুত ‘বড় ভাই’ পাকাপোক্ত। চরম অপরাধী এই বড় ভাইদের ফান্দে পড়িয়া বহুতেতো নাকি মান ইজ্জতও হারাইয়াছে। দুইচারটারে বধ করিলে কি হইবে তারাতো পল্লায় ভারি। মা’গো চরম অপরাধীরা ধরাচোঁয়ার বাইরে, ঐ বড় ভাইগোরে বিচারের খাতায় নাম লেখান, শাস্তি দেন।
আমাগো অলি দাদুর হটাৎ করিয়া জামায়াত প্রীতি দেশের মুক্তিযোদ্ধা, সুশিল সমাজের মাথায় হাত। তাইনের নতুন প্ল্যাট ফর্মের কাইজ-কামে আমাগো সাংবাদিক দাদুগোর জ্ঞিাসায় এই প্রীতি ভালোবাসার প্রকাশ। তাইনে দেশের মানুষকে কি হুনাইলেন বহুত বিজ্ঞ জনেরা মুচকি হাসেন। বিএনপির ব্যর্থতা এই কথা কি বিএনপির নীতি নির্ধারক হুনিবে। জাতিকে তাইনের কথায় কান দেওনের সময নাই বলিয়াও বিএনপির বহুতে কহিতেছেন। তাইনে নাকি অন্ধারে ঢিল ছুড়িতেছেন। আমাগো অমর দাদু কহিলেন অজ্ঞতায় বিজ্ঞতার ক্ষতি, বিজ্ঞজনেরা অসাম্মানিতও হয়, অলি দাদুরা কুমিরের পেটে থাকিয়া নাকি কুমিরেরই প্রশংসা করিতেছে, তাইজ্জব কান্ড। তাইনের কথার হেতু কি ভাবনের দরকার।
মা’জননীগো মহামাইন্য হাইকোর্ট এর বিচারপতিরাওতো ৫২ প্রতিষ্ঠানের খাদ্য পণ্যের তালিকা প্রকাশ করিয়া বাজার হইতে পণ্য সরাইয়া লইতে আদেশ করিয়াছেন, দুধ-দই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকাও চাহিয়াছেন। ভেজালের বিরুদ্ধে হাইকোর্টতো যুদ্ধ চাহিলেন। খাদ্যপণ্যে এত ভেজাল চলিলেও দেশের নিরাপদ খাদ্য আধিদপ্তর এর কর্তারা কি মাসে মাসে বেতন লইয়া খালি লেফ-রাইট করিয়াছে। হাইকোর্টতো বিএসটিআইকে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কে অধিকার দিয়াছে প্রশ্ন তুলিয়াছেন। খাদ্যে ভেজাল জড়িতদের সাথে ভেজাল কর্মকর্তা কর্মচারীগোরেও দ্রুত বিচারের আওতায় নেন। ভেজাল প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করিতে ম্যাজিস্ট্রেটসহ বাজারে যৌথ বাহিনী ছাড়িয়া দেন। জাতি বাঁচাইতে হাইকোর্টের আদেশ গুনাক্ষরে পালন করিতে আপনার মন্ত্রী, সচিবসহ দলের নেতানেত্রীগোরে কড়া ওয়ার্ডার করেন।
বড়গুনায় রিফাত শরীফ হত্যা ঘটনায় দেশ বিদেশের মানুষের চোখতো কপালে। দিনে দুপুরে ঐ যুবককে কোপাইইয়া হত্যা করিয়া যেই পরিচয় জানাইয়াছে তাতে দেশে আইনের শাসন নাই বলিয়াই প্রকাশ করিতেছে। খুনিরাতো আইন-আদালত, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করিয়াছে। নয়ন বন্ড আর ফরাজীর রামদার কোপের যেই প্রদর্শনী বিশ^ বিবেককেও লজ্জ্যায় দেশের মান মর্যাদা ডুবাইয়াছে। রিফাত হত্যা হত্যা ঘটনা গোটা দেশের মানুষকে যেন সন্ত্রাসীগোর হাতে জিম্মির পরিচয় জানাইতেছে। এই ঘটনায় জড়িত হ¹লেরে যত দ্রুত সম্ভব বিচারে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করিতে ওয়ার্ডার করেন।
মা’জননীগো যতই দিন যায় ততই দেখি জড়িত নতুন চেহারা আর পেশার অধিকারী। খাল, নদী, নালা, নর্দমা, স্থল ও বিমান পথেও এই কারবার চলিতেছে। বদি দাদু কহিলেন, গোটা দেশেই নাকি ইয়াবার ছায়াপথ চলিতেছে। এই আকামকারী যারা ধরা খাইয়াছে, মরিয়াছে, পলাতক রহিয়াছে তাইনেগোরে চিহ্নত করিতে গোটাদেশে ছবিসহ পোস্টারিং করনের আদেশ দেন। মা’গো এইসবের লাগাম টানিতে কোন ছাড় নয়। জাতি বাঁচিলে দেশ বাঁচিবে। মাদক ব্যবসায়ীরা দেশের মেধা ধ্বংস করিতেছে, মা’গো মাদকের বিরুদ্ধে জিরো নয়, এখন বিন্দু টলারেন্সের ঘোষাণা দরকার।
দেশের বহুত প্রতিষ্ঠানে মিজান-বাছির দাদুগোর মতন শষ্যে ভুত থাকনের কারনে দেশে দূর্নীতির লাগাম টানা মুশকিল হইতেছে। তয় মিজান-বাছির দাদুগোর বিষয় লইয়া জাতির নিকট খোলাসা করনের দরকার। হুনিলাম ঋণ খেলাপীদের শাস্তির ব্যবস্থা না করিয়া পুরিস্কারের ব্যবস্থা হইতেছে। সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাইয়া দেশের ব্যাংক ওয়ালারাতো মনে হইতেছে আলদ্বীনের চেরাগ পাইয়াছে। এমনিতে সুদ খাইতে খাইতে, পাবলিক চুষিতে চুষিতে তাইনেগোর যেন পেট ভরে না। খালি খাই আর খাই, এ যেন রক্ষচোষা ব্যাংক ভর্তি মহা জোঁকের দল। নিজের টাকা রাখিয়াও টেক্সও কাটে আবার ব্যাংক স্বচ্ছল সনদ লইতে নাকি প্রায় ৬শত টাকা গুনিতেও হইতেছে। এইভাবে চলিলে পাবলিককে কি ভুতে কিলাইছে ব্যাংকে টাকা রাখনের। যা দেখিতেছি সঞ্চয়পত্র হইতেও পাবলিক মুখ ফিরাইয়া নিবে। মা’রে নিজের টাকা রাখিয়া যদি অত্যাচারের শিকার হয় তয় ব্যাংকে যাওনের দরকার কি। এই অত্যাচারে পাবলিকের ঘরে ঘরে মাটির ব্যাংক বাড়িলে অর্থনৈতিক চাক্কারতো খবরও আছে। বিষয়টি ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরা উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি মানুষের জন্য আর্শিবাদ রইল, ভালো থাকিবেন, নিজের খেয়াল রাখিবেন।
ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ০৭ জুলাই-২০১৯খ্রীঃ