পূর্বেই সদস্য করতো তাহলে বিকল্প গড়ে উঠতো না
নবগঠিত রাঙামাটি প্রেসক্লাব থেকে ৯ সদস্যের পদত্যাগ
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ না করা এবং পেশাগত মান উন্নয়নে বাঁধা সৃষ্টি করার অভিযোগ এনে রাঙামাটিতে নব গঠিত প্রেস ক্লাব থেকে ৯ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। গত বৃহষ্পতিবার (১৫জুলাই) বিকেলে এসব সদস্য লিখিতভাবে পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগকারী সদস্যরা হলেন জিটিভির জেলা প্রতিনিধি মিল্টন বাহাদুর, দেশ টিভির বিজয় ধর, যমুনা টিভির ফজলুর রহমান রাজন, এসএ টিভির মোহাম্মদ সোলায়মান, একাত্তর টিভি’র উচিং ছা রাখাইন কায়েস, আরটিভি’র ইয়াছিন রানা সোহেল, এশিয়ান টিভি’র আলমগীর মানিক, দৈনিক মানবকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি নুরুল আমিন ও দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহ আলম।
গত বৃহষ্পতিবার বিকেলে এসব সদস্য লিখিতভাবে পদত্যাগ করেন। লিখিত পত্রে উল্লেখ, রাঙামাটির সংবাদিকদের প্রধান ও প্রাচীন সংগঠন রাঙামাটি প্রেস ক্লাবে সদস্যভুক্তির জটিলতা নিরসনে প্রেস ক্লাবের বাইরে অন্যান্য সংগঠনের সমন্বয়ে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সে উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো একই নামে তথা “রাঙামাটি প্রেসক্লাব” নাম দিয়ে নতুন সংগঠন করা হয়েছে। যা সাংবাদিকদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ির পরিবেশ তৈরী হয়। এছাড়া নতুন এ সংগঠনটি মূল প্রেস ক্লাবের সাথে বিরোধ তৈরীর মাধ্যমে রাঙামাটিতে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করে চলেছে।
লিখিত পত্রে আরো বলা হয় “সম্প্রতি প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ পিআইবি‘র উদ্যোগে আয়োজিত একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সংবাদকর্মীদের যোগদানে তাঁরা নিষেধ করেন এবং স্বপ্রণোদিত হয়ে কর্মশালায় যোগদানের জন্য বেশ কয়েকজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। এ ঘটনায় নবগঠিত এ সংগঠনটি সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছে। যা সুস্থ ধারার সাংবাদিকতা এবং নীতিমালারও পরিপন্থি। তাই আমরা সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছি । এ সংগঠনের সাথে আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা এবং এ সংগঠনের কোন কার্যক্রমের জন্য কোন দায়বদ্ধতা থাকবে না বলে সদস্যগণ লিখিত পত্রে উল্লেখ করেন।
এদিকে নবগঠিত রাঙামাটি প্রেস ক্লাব এর সাধারণ সম্পাদক সদস্যদের পদত্যাগ বিষয়ে বলেন, পূর্বের প্রেস ক্লাবে দীর্ঘ ২৭ বছর সদস্যভুক্তি না করায় এ সংগঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। আজকে যারা সদস্য পদ পেয়েছেন বা সদস্য করছে এই বিকল্প সংগঠনগুলো না করা হলে তাদেরকে কখনোই পূর্বের প্রেস ক্লাবের সদস্য করতো না। এটি নবগঠিত এবং পদত্যাগকৃত সকল সদস্যরই আন্দোলনের ভালো ফলাফল। আমরা খুশি যে তাদের সদস্যভুক্ত করছে এবং করবে । তারা যদি কর্মরত সাংবাসিকদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে পূর্বেই সদস্য করতো তাহলে বিকল্প গড়ে উঠতো না। সেই প্রেস ক্লাব যদি সাবইকেই সদস্য করে নেয় তাহলেতো বিকল্পের প্রশ্নই থাকে না।