পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-০৬
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার আর্শিবাদে সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীন হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৬ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’রে দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু মন দিয়া পড়িবেন। যাউ¹া, পর আলোচনা হইলো…
মা’জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পাহাড়েতো সকালে ওমুকের দলের হইলে বিকালে তমুকের দলের লাগাতার প্রাণ যাইতেছে। আইজ এক কোনায় রক্ত হুগাইলে কাইল আরেক কোনায় জমাট বাঁধিতেছেই। দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, দখলপত্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরাতো কহিতেছেন তাইনেরা নাকি প্রতিপক্ষ বধ্ করিতে কোমড় বাঁধিয়া প্রতিযোগীতায় নামিয়াছে। তয় এই প্রতিযোগীতায় নামিয়া পাহাড়ে অকালে জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগ হইতেছে। এইসব লইয়া আমাগো পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরাতো সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান নখের কোনায় লইয়া দিন রাইত পার করিতেছে। মা’গো পাহাড়ে পাপের বোঝাতো বস্তায় বস্তায় হইয়াছে, পাবলিকের শান্তির জন্য এইসব বস্তার মুখ খুলিয়া সিরিয়াল করিয়া কাম শুরু করনের দরকার বলিয়া পাহাড়ের ফাটা কপাইল্লা দাদু-দিদিরা উপরে পরম করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনার দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে, মা’জননীগো দয়া করিয়া ভাবিবেন, পাহাড় পর্বত লইয়া আগাইবেন, ব্যবস্থা লইবেন।
আমাগো রাজনৈতিক নেতা দাদু-দিদিরাতো দলা-দলী, বলা বলী লইয়া মাদার ডিস্ট্রিকের তেরটা বাজাইয়াই যাইতেছে। উপজেলা নির্বাচন লইয়া বাঘাইছড়ির নয় মাইলে আট ও আমামীলীগের সুরেশ দাদুসহ ৯ হত্যাকান্ডের আসামীরাতো ধরাছোঁয়ারই বাইরে। এইসব লইয়া পাহাড়ের দাদু-দিদিরাতো ঠাট্টা করিয়া কহিলেন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ১৭ সালের ১২-১৩ জুন মানুষ মাটি চাপা পড়িয়াছিল। আমামীলীগের বহুতেতো আসামীরা আসমানে পাড়ি জমাইয়াছে কিনা প্রশ্নতশ্ন করিতেছেন। যদি তাই হয় স্বরাষ্ট্র দাদুরে পাহাড়ে রাডার বসাইতে পরামর্শ করিয়াছেন। হ¹ল আকাম লইয়া পাহাড়ের অসহায়রাতো প্রশ্নের রান তুলিয়া মানুষ মারার এত্তো লোহা লঙ্কর কোত্তেকে আসিতেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত এলাকার বহুত দাদু-দিদিরাতো অভিযোগ করিতেছে ঘেরাবেড়ায় নাকি বড় বড় ছিদ্র। দূবৃত্তরা নাকি আকাম করিয়া ছিদ্র ক্রস করিতেছে। তাইনেরাতো আবারো কহিলেন পাহাড়ের মানুষ নাকি গোল্ডেন, সিলভার আর আয়রন বুলেটের মাঝখানেই বন্ধী। তয় বিজ্ঞ দাদু-দিদিরা কহিতেছেন, বিচারহীনের অভাবে নাকি পার্বত্য চট্টগ্রাম রক্তে রঞ্জিত হইতেছে। মা’গো দয়া করিয়া তিন জেলার মন্ত্রী, এমপি, প্রশাসনের কর্তাগোরে লইয়া বৈঠক করেন, পাহাড় অশান্তির নাটের গুরু, লুটের গুরু, লাটের গুরুদের চিহ্নত করেন। সীমান্ত এলাকাগুলাইনের অবস্থা কি, কারন কি স্বরাষ্ট্র দাদুরে ডাকিয়া বিস্তারিত জানিয়া কড়া ব্যবস্থা লইতে ওয়ার্ডার করেন।
মা’রে পার্বত্য চট্টগ্রামে সুবিধাবাদী, লুটেরা শ্রেণী, সাম্প্রদায়িকতাবাদ, শ্রেণী বিভক্তের রাজনীতির কারনে পাহাড়ের মানুষতো সত্যি রক্তচোষা জোঁকের দলেই বন্ধী। তয় নাটের গুরুর দল নরম-চরম ভক্তের অধিকারী হইয়া হাবাবাতাসের আফিসের মতন তীর বসাইয়াছে। অভাগা মানুষ গুলাইনরে যে যার ভাগে পাইতেছে লেনচুষের মতন খালি চুষিয়াই যাইতেছে। আমাগো রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের বর্তমান পরিষদ নাকি ডাকাতের পরিষদে পরিণত হইয়াছে। উন্নয়নের ফর্দে কোটি কোটি টাকার শুভংকরের ফাঁকি। পরিষদের বহুত কর্মচারীওতো কহিতেছে পরিষদ সৃষ্টির পর নাকি কেতুর নেতৃত্বাধীন পরিষদ বর্তমানে মার্কামারা ডাকাত দলের নেতৃত্বের পরিচয় অর্জন করিয়াছে। মা’জননীগো কিভাবে এই ডাকাতের হাতে উন্নয়নের চাবি দিয়া দিলেন ভাবিতে যাইয়া মাথাটাও আউলা ঝাউলা হইয়া পরে। আমামীলীগের বহুত বিজ্ঞ নেতারাও পরিষদ নেতৃত্বে দূর্নাম লইয়া মাতা চুলকায়। দান হাওলাতের টাকায় জন উন্নয়ন না করিয়া লুটপাটের উন্নয়নই হইতেছে। দেশ লইয়া আপনার উন্নয়ন চ্যালেঞ্জকেতো তাইনেরা আঘাত করিতেছে। মা’রে দয়া করিয়া জেলা পরিষদের দূনীর্তিগুলাইন তদন্ত করিতে দুদক কমিশন চেয়ারমনরে আদেশ করেন, দেখিবেন আমাবশ্যা আর চান্দের মতন হ¹লই পষ্ট হইয়া যাইবে, অধমের আরজি খানা ভাবিয়া দেখিবেন।
শুনিলাম তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তবর্তী পরিষদের মেয়াদও নাকি শেষের পথে। তয় তিন কোনার যা হাবাবাতাস পাইতেছি কারে কে পটকাইবে, লটকাইবে এইসব লইয়া জেলার পদস্থ নেতাদের পিছনে এখন লাইন চলিতেছে। তিন পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি লইয়া পরিষদ গঠন করিলেও বড়ুয়া জনগোষ্ঠী হইতে পরিষদগুলাইনে কোন প্রতিনিধি দেয়া হয় নাই। আমামীলীগের নেতারাতো দিবে দিতেছি বলিয়া খালি সময় পার করিয়াছে। ভোট আসিলে এই জনগোষ্ঠীরে উন্নয়নে পাশে রাখিবে মূল্যায়ন করা হইবে বলিয়া লম্বা ফর্দে মাইক ফাটায়, কিন্তু পার হইয়া গেলে নিজেদের দরজাটাও বন্ধ রাখে। মাদার ডিস্ট্রিকেও একই অবস্থা গেল পরিষদে দল আর জনবিচ্ছিন্ন মতর্খা বহুতেরে প্রতিনিধি বানানো হইয়াছে অথচ বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর স্থান শুন্য। মা’জননীগো আমামীলীগের বিতারিত যোগ্য নেতা আর সমাজের বিজ্ঞজনেরা কহিলেন অন্তর্বতী পরিষদ মনোনয়নে এইবার অন্তত নিজেই ভালো করিয়া খোঁজ খবর লইবেন।
শুভ দাদুতো কহিলেন আঞ্চলিক পরিষদ আর জেলা পরিষদগুলাইনে নির্বাচন দিতে সংসদীয় কমিটি নাকি প্রস্তাব করিয়াছে। পাহাড়ের এই পরিষদগুলাইনে দীর্ঘ বছর ধরিয়া ভোটাধিকার না থাকায় পরিষদ নের্তৃত্ব পদস্থ নেতাগোর বগলের তলে বাসা বাঁধিয়াছে। আমামীলীগের ছাত্র সংগঠনের নেতা এক সময়ের সুনাম অর্জনকারী হ্যামীলনের বাঁশি অলা দেব দাদু কহিলেন সংসদীয় কমিটি বহুত পরে হইলেও একটি কামের কাম প্রস্তাব করিয়াছে। পাহাড় পর্বতের নৌকা মার্কার সমর্থক দাদুরাতো সাফ জবাব জেলা পরিষদের প্রতিনিধিত্ব লইয়া ব্যবসা বন্ধ করনের দরকার। চৌধুরী দাদুওতো কহিলেন পরিষদ নেতৃত্বে নাকি নেতাগোর বাজারের কেয়ারটেকারও স্থান পাইয়াছে। মা’গো এইতো দেখি তাইজ্জব কান্ড। আমামীলীগের বিজ্ঞ বহুতে এক প্যানেলকে আড়াই বছর রাখিতে পরামর্শ করিয়াছেন। পরিবর্তন উন্নয়নকে ত্বরান্বি করিবে এই অধম বেকুবেরও তাই মনে হইতেছে, বিষয়টি লইয়া ভাবনের দরকার।
মা’রে আবারো আপনার দরবারে ফরমায়েশ করিতেছি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে মাদার ডিস্ট্রিক্ট হইতে দলের প্রিয় ভাজন বিজ্ঞ নেতা বসাইয়া দেন। বোর্ডের বর্তমান নেতৃত্ব লইয়া নিম্ন স্তরের কর্মচারীরা ফাঁফিয়া ফুলিয়া রহিয়াছে বলিয়া বোর্ডের জন দাদুওতো কহিলেন। বোর্ডের বহুতে কহিলেন ভাইস চেয়ারমন তরুন দাদুর মেয়াদ শেষ হইলে এই পদ লইয়া এখনো লুডু খেলা চলিতেছে। তয় মা’গো পাহাড়ের হ¹ল দিক নিজেই যাঁচাই করিয়া বোর্ডে নেতৃত্ব দ্রুত নিশ্চিত করেন। বাহাদুর দাদুরে এইসব ঠিক করিতে ওয়ার্ডার করেন। বোর্ডের হ¹ল উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে নিজের মতন করিয়া পরিদর্শক পাঠান, যাঁচাই করেন।
মা’জননীগো বাঘাইছড়ির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন লইয়া পাহাড়বাসীর জন্য উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। মাদার ডিস্ট্রিকে নেতাগোরে অ-জি হুঁ করিতে করিতে বহুতেতো দূর্নীতিতে অষ্টধাতুতে পরিণত হইয়াছে। দুষ্ট নেতৃত্বের দোষে পাহাড়ের উন্নয়ন মুষ্টিমেয় অপ শক্তিধর, ভক্তিধর নেতাদের হাতে বন্দি। কৃপনতা না দেখাইয়া জনগনের জন্য যা দিয়াছেন হ¹লের হিসাব আপনার দরবারে হাজির করিতে ওয়ার্ডার দেন। পার্বত্য চুক্তির মান ধরিয়া রাখিতে বে-মানান হ¹ল দিক, কোণ ঠিক করেন। আমামীলীগের দুর্বল দূর্গ ঠিক করিতে পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিগোর বিনাকারনে চোখের জল পড়া বন্ধ করেন। এই অধম পোড়াকপাইল্লার মনে হইতেছে একটু সময় দিয়া তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিয়া দেখনের দরকার।
মানিক দাদু কহিলেন পাহাড় পর্বতে মাদক ইয়াবা লইয়া ঘাতকরা নাকি এখন সাধু সইন্যাস। এই দাদুতো লম্বা লাইনের ফর্দ তুলিয়া ধরিয়াছে। রাঙ্গামাটিতে মাদক ব্যবসায় জড়িত বহুতে নাকি গা ঢাকা দিয়াছে। অথচ আমাগো পুলিশ দাদুদের ফর্দে নাকি চুনোপুঁটি। ঘাতকরা কতোয়ালীর আশ-পাশ থাকিলেও তাইনেরা ধরিতে পারেনা, আজব ব্যপার স্যাপার। মা’রে দেশ ব্যাপী ‘চল যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে’ শ্লোগান বাস্তবায়ন করিতে জড়িতদের আটক করিয়া দ্রুত লম্বা শাস্তি নিশ্চিত করিতে পুলিশ প্রধানরে আদেশ করেন। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নাম পরিবর্তন করিয়া “মাদক নির্মূল অধিদপ্তর” করেন। হেই খানে বাঘা বাঘা কর্তা বসাইয়া দেন। এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবের পরামর্শ খানা ভাবিয়া দেখিবেন।
মা’জননীগো অপার দয়াময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ছহি ছালামতে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় আপনি দেশের উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের মানুষতো রাক্ষস খোক্ষসের পাল্লায় পড়িয়াছে। গোটা দেশে যেন মানুষ সৃষ্ট আচমকা অত্যাচার, নির্যাতন ধর্ষন শুরু হইয়াছে। সুবর্ণচরের দুই জননী, পরে ফেনীতে প্রবাসীর স্ত্রী গনধর্ষনের শিকার, গাইবান্ধা-ইশ^রগঞ্জে শিশু-কিশোরী ধর্ষন, পাবনায় ধর্ষনে ব্যর্থ হইয়া স্কুল ছাত্রীকে ছুরি মারিয়াছে। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে প্রবাসীর স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করা হইয়াছে। হতভাগিদের চোখের জল না শুকাইতেই আমাগো মাইয়া নুসরাতকে আগুনে পোড়াইয়া মারিয়াছে। নুসরাতকে যারা হত্যা করিয়াছে তাঁগো গোঁড়াতো মনে হইতেছে ৭১’র পাকিস্তানী জানোয়ারগোর দলের। যা বার্তা দেখিতেছি দেশে ঐসব জানোয়ারের বিচরণ বাড়িতেছে। এই আকামেতো আমামীলীগের নাম ধারী নেতা জানোয়ারও রহিয়াছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিজ্ঞ দাদু-দিদিরা কহিতেছেন দেশব্যাপী আমামীলীগের ভিতরে হেই জানোয়াররা বাসা বাঁধিয়াছে। অপরাধীর জাতগোত্র ভাগ থাকেনা। মা’রে যারা মানবতার বিরুদ্ধে দাঁড়াইয়াছে পিছনে না তাকাইয়া এইসব জানোয়ারদের দ্রুত বিচারে ঝুলাইয়া দেন।
মা’গো চট্টগ্রাম নগরীর আনাচে কানাচেও আকামের বহুত ‘বড় ভাই’ পাকাপোক্ত হইয়াছে। আকামের এক বড় ভাই সাইফুলতো বন্দুক যুদ্ধে পরিয়া জীবন সাঙ্গ হইয়াছে। রভ দাদু কহিলেন, বড় ভাইদের দাপটে নগরের অলি-গলির মানুষ ভয়ের মইেধ্য রাইত দিন পার করিতেছে। স্কুল কলেজেও এই বড় ভাইদের দাপট। শতাধিক বড় ভাই এখন স্ব-গোপনে আর আত্মগোপনে। চরম অপরাধী এই বড় ভাইদের ফান্দে পড়িয়া বহুতেতো নাকি মান ইজ্জতও হারাইয়াছে। সরকারদলের সাইন বোর্ড লাগাইয়া টানা আকাম করিয়া গেলেও নেতাগোর হাই হ্যালোতে পার পাইয়া আকাম করিয়াই যাইতেছে। মা’রে এই বড় ভাইরাতো রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থারে তজ্জনী প্রদর্শন করিতেছে বলিয়া মনে হইতেছে। চট্টগ্রামের ইসলামীয়া মাদ্রাসায় ছাত্র হাবিবুরকেওতো হত্যা করিয়া ঝুলাইয়া রাখিয়াছে বলিয়া অভিযোগ উঠিয়াছে। দলের ভিতর কিন্ত ভুত বাসা বাঁধিয়াছে গোটা দেশের আমামীলীগের নেতাগোরে কড়া আদেশ করেন। নইলে এই ভুতরাই পিছন হইতে ছুরি চালাইয়া যাইবে। নগরীতে বড় ভাইয়ের এত্ত উত্তান কেন মেয়র দাদুরে ডাকিয়া প্রশ্ন করেন। চট্টগ্রাম নগরীর আনাচে কানাচে চিরুনী অভিযান চালাইতে স্বরাষ্ট্র দাদুরে আর কেন্দ্রীয় নেতাগোরে ওয়ার্ডার করেন।
আকব দাদু কহিলেন, চট্টগ্রামের বর্জ্য সরাতে মহাপরিকল্পনার শেষমেষ বিদেশী পরামর্শক নিয়োগ করিতেছে। প্রায় চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প বর্জ্য অপসারনে নগরীর লাখ লাখ মানুষ উপকৃত হইবে। সেই সাথে সুপেয় পানির ভান্ডার কর্ণফুলিও বর্জ্যমুক্ত হইবে। হাইকোর্টের মহামান্য বিচারক কর্ণফুলী দখলকৃত হ¹ল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশসহ ত্রিশ দিনের মইধ্যে বন্দর চেয়ারমনকে আদেশও করিয়াছেন। মানিক দাদু কহিলেন হাইকোর্টের সাম্প্রতিক আদেশ নির্দেশে দেশের কুঠি মানুষ খুশি। তয় মা’জননীগো হাইকোর্টের দেয়া হ¹ল আদেশ গুনাক্ষরে পালন করিতে আপনার মন্ত্রী, সচিব ও নেতাগোরে কড়া ওয়ার্ডার করিবেন।
মা’গো তলে বলে এখনো শত্রুরা উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি মানুষের জন্য আর্শিবাদ রইল, ভালো থাকিবেন, নিজের খেয়াল রাখিবেন।
ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ২১এপ্রিল- ২০১৯খ্রীঃ