[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-০৫

২৯

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি আপনি মহান সৃষ্টি কর্তার আর্শিবাদে সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া কোন রকম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায় কাপ্তাই হৃদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়া কোপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীন হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৫ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’রে দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু মন দিয়া পড়িবেন। যাউ¹া, পর আলোচনায় আসি…

মা’জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর আপনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পাহাড়েতো সকালে ওমুকের দলের হইলে বিকালে তমুকের দলের লাগাতার প্রাণ ঝড়িতেছে। আইজ এক কোনায় রক্ত হুগাইলে কাইল আরেক কোনায় জমাট বাঁধিতেছেই। দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, দখলপত্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরাতো কহিতেছেন তাইনেরা নাকি প্রতিপক্ষ বধ্ করিতে কোমড় বাঁধিয়া প্রতিযোগীতায় নামিয়াছে। তয় এই প্রতিযোগীতায় নামিয়া পাহাড়ে অকালে জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগ হইতেছে। এইসব লইয়া আমাগো পাহাড়ের অসহায় দাদা-দাদিরাতো সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান নখের কোনায় লইয়া দিন রাইত পার করিতেছে। মা’গো পাহাড়ে পাপের বোঝাতো বস্তায় বস্তায় হইয়াছে, পাবলিকের শান্তির জন্য এইসব বস্তার মুখ খুলিয়া সিরিয়াল করিয়া কাম শুরু করনের দরকার বলিয়া পাহাড়ের ফাটা কপাইল্লা দাদু-দিদিরা উপরে সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপনার দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে, মা’জননীগো দয়া করিয়া ভাবিবেন, পাহাড় পর্বত লইয়া ব্যবস্থা লইবেন।

আমাগো রাজনৈতিক নেতা দাদু-দিদিরাতো দলা-দলী, বলা বলী লইয়া মাদার ডিস্ট্রিকের তেরটা বাজাইয়াছে। সুরেশ দাদার হত্যার ঘটনায় বিচার চাহিয়া আমামীলীগসহ বহু সংগঠনতো বিচার চাহিতেছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে চিল্লাফাল্লা হইতেছে। তাইনেরাতো কহিলেন পাহাড়ের মানুষ নাকি গোল্ডেন, সিলভার আর আয়রন বুলেটের মাঝখানেই বন্ধী। এর আগেও আমামীলীগের আরো নেতা হত্যার শিকার হইয়াছে। তয় বিজ্ঞ দাদু-দিদিরা কহিতেছেন, বিচাহীনের অভাবে নাকি পার্বত্য চট্টগ্রাম রক্তে রঞ্জিত হইতেছে। মা’গো দয়া করিয়া তিন জেলার মন্ত্রী, এমপি, প্রশাসনের কর্তাগোরে লইয়া বৈঠক করেন, পাহাড় অশান্তির নাটের গুরু, লুটের গুরু, লাটের গুরুদের চিহ্নত করেন। পাহাড়ের অসহায় দাদু-দিদিরাতো প্রশ্নের রান তুলিতেছে মানুষ মারার এত্তো লোহা লঙ্কর কোত্তেকে আসিতেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত এলাকার বহুত দাদু-দিদিরাতো কহিলেন ঘেরাবেড়ায় নাকি বড় বড় ছিদ্র রহিয়াছে। সীমান্ত এলাকাগুলাইনের অবস্থা কি, কারন কি স্বরাষ্ট্র দাদারে ডাকিয়া বিস্তারিত জানিয়া কড়া ব্যবস্থা লইতে ওয়ার্ডার করেন।
গেল মাসে ৮ খুনের পর পাহাড়ের পরিবেশতো ভারি হইয়া গিয়াছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম লইয়া সুবিধাবাদী, লুটেরা শ্রেণী, সাম্প্রদায়িকতাবাদ, শ্রেণী বিভক্তের রাজনীতি লইয়া পাহাড়ের মানুষতো রক্ষচোষা জোঁকের দলে বন্ধী। তয় নাটের গুরুর দল নরম-চরম ভক্তের অধিকারী হইয়া হাবাবাতাসের আফিসের মতন তীর বসাইয়াছে। অভাগা মানুষ গুলাইনরে যে যার ভাগে পাইতেছে লেনচুষের মতন খালি চুষিতেই আছে। তলে তলে বহুত মা বোনও ধর্ষনের শিকার হইতেছে। ঘটনা একটা ঘটিলেই চুইঙ্গামের মতন টানিতে, টানিতে, লম্বা করিয়াই যাইতেছে, তাইজ্জব কান্ড। আমাগো মাদার ডিস্ট্রিকে নেতাগোরে অ-জি হুঁ করিতে করিতে বহুতেতো দূর্নীতিতে অষ্টধাতুয় পরিণত হইয়াছে। খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য আমামীলীগের নেতা জাহেদুল আলমের বিরুদ্ধে দূর্নীতির দায়ে মামলা করিয়াছে দুদক। তয় রফিক দাদু কহিলেন হেইখানেও নানান কিছিমের লুটপাট চলিতেছে। মা’রে তিন পাহাড়ের বিজ্ঞ দাদু-দিদিরা কহিতেছেন উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ, পৌরসভায় দক্ষ সোর্স বসাইয়া দেন দেখিবেন হ¹লই ফর ফর করিয়া ধরা পড়িবে, দয়া করিয়া আপনিও খোঁজ খবর রাখিবেন।
আমাগো জিওসি দাদায়তো কহিলেন সন্ত্রাসীগোরে এইবার দমন করিবেন। হত্যাকারীরা নাকি কোন রাজনৈতিক দলের হইতে পারেনা। তয় পাহাড়ের দাদা-দাদিরাতো তাইনের কথায় দীর্ঘশ^াস ফেলিতেছে। আমাগো গিয়াস দাদায়তো কহিলেন হত্যাকান্ডে জড়িতরা এখনো অধরা। আমামীলীগের তৃণমূল নেতরা হত্যাকান্ডের বিচার চাহিয়া অস্ত্রধারী দূর্বৃত্তগোরে দমন করিতে দাবি জানাইতেছে। দীর্ঘ বছর ধরয়িা অস্ত্রধারী দূর্বৃত্তগোরে ধমন করিতে সভা সেমিনারেও কথা চালাচালি করিয়া কোন ফলাফল হইতেছেনা। পাহাড়ের ফাটাকপাইল্লা দাদু-দিদিরা কহিতেছেন এইসব নাকি এখন কমন কথা। হতভাগারাতো অস্ত্রধারী দূর্বৃত্তরা কি মঙ্গলগ্রহে পলায়ন করিয়াছে কিনা প্রশ্ন করিতেছে। তয় এই পর্যন্ত সন্দেহ জনক ক’জন নাকি ধরিয়াছে। এইসব লইয়া সচেতন বহুত দাদু-দিদিরা কহিতেছেন সন্দেহের পিছনে গন্ধেরও বাতাস ছড়ায়। লংগদুর আলম দাদুওতো কহিলেন হেইখানের ঘরপোড়া ঘটনা লইয়া সন্দেহের তালিকা ধরিয়া উল্টো পাবলিককে চুষিয়া খাইয়াছে। মা’রে এইসব ঘটনা লইয়া আমামীলীগের নেতাগুলাইন হইতে ভালো করিয়া সমাচার পাইবেন, তয় দয়া করিয়া একটু ভাবিয়া দেখিবেন।

আমাগো জনসংহতি সমিতির সেকেন্ড ইন কামান্ড উষা দাদুতো কহিলেন, হাঁস হইলে ভাসিবেন মুরগী হইলে ডুবিয়া মরিবেন। তাইনেগোর নাকি ভয় হইলো গ্রামে গঞ্জে মানুষের হাতে অস্ত্র গুঁজিয়া দিয়া, চাঁন্দার রসিদ বই ধরাইয়া দিয়া মামলায় জড়াইয়া দিবে কিনা। পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্মরা নাকি আমাবস্যায় জীবন কাটাইতেছে। তয় এইসব কথার মানে টানে কি। তাইনেরাতো দীর্ঘ কাল ধরিয়াই নরম চরম ভাবেই চুক্তি বাস্তবায়নে উজির আপত্তি করিতেছে আর আমামীলীগের দোষ আপত্তি লইয়া ভাষন দিতাছেন। মা’গো আমামীলীগের সাথে সন্ধিযুক্ত জনসংহতি সিমিতি’র যোজন যোজন ফাঁরাক লইয়া বহুতেতো বগলের তলে বাঁশি ফুটাইতেছে। আমাগো নেতা তালুকদার দাদায়তো হাতে স্পিকার পাইলেই জনসংহতি সিমিতির নেতা-নেত্রীগোরে লেপ-তোষকের কারিগরের মতন তুলোধোনা করিতেছে। দত্ত দাদু কহিলেন, নেতাগোর ঠেঁসগুতো আর গোস্সা গুস্সি লইয়া পাহাড়ের পোড়াকপাইল্লা অসহায় দাদু-দিদিগোর শরীলেতো ফোঁসকা পড়িতেছে। তয় মাস দুয়েক আগে আমাগো চাকমা রাজা রায় দাদুওতো আপনার দরবারে পত্র পাঠাইয়াছিলেন। শুনিলাম সন্তু দাদুও নাকি গোস্সা, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি প্রিয় বিজ্ঞ দাদুরা কহিতেছেন রাজনৈতিক গোস্সা থাকিলে শান্তির জন্য খোলাসা করনের দরকার। মা’রে কথা হইলো গিয়া টাঙাইয়া রাখা আর ঝুলাইয়া রাখা একই কথা, কিন্তু ভয় হইলো ছিড়িয়া পড়িলে আউলা ঝাউলা হইয়া যাইবে কিনা, তয় মা’গো পার্বত্য চট্টগ্রামে হ¹লের শান্তি আর উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক সর্ম্পক উন্নতি করিতে তিন জেলার নেতৃবৃন্দসহ সরকারি বেসরকারি পদস্থদের লইয়া ভালো করিয়া উদ্যোগ গ্রহন করেন। এই অধম পোড়াকপাইল্লার মনে হইতেছে একটু ভাবিয়া দেখনের দরকার। বিষয়টি মাথায় রাখিবেন।

মা’জননীগো অপার দয়াময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ছহি ছালামতে আপনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনায় আগাইতেছেন। তয় আপনি দেশের উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের মানুষতো রাক্ষস খোক্ষসের পাল্লায় পড়িয়াছে বলিয়াই মনে হইতেছে। মা’রে গোটা দেশে যেন মানুষ সৃষ্ট আচমকা অত্যাচার শুরু হইয়াছে। আগুনে পুড়িতে পুড়িতে এরই মইধ্যে শত শত মানুষ অকালে পরপারের বাসিন্দা। চকবাজারের চুরিহাট্টার পর এইবার এফআর টাওয়ারে বহুতের জীবন পুড়িয়া অঙ্গার হইয়াছে। দেশের মানুষের চোখের জলতো ঝড়িতেই আছে। বহুতল ভবন গুলাইনের মালিকরাতো নিজেরাই আইন বানাইতেছে। না হইলে অমান্য করিবার ক্ষমতা পায় কোত্থেকে। এইভাবে আর কতো মানুষ মরিবে, এতিম হইবে। তয় মা’রে আপনিতোও আদেশ দিয়াছেন কার্যকারীটাও তীক্ষè ভাবেই দেখিতে হইবে।

মা’গো সুবর্ণচরের এক জননী গনধর্ষণ ঘটনার পরতো আবারো ৬য় সন্তানের এক জননীকে গনধর্ষনের শিকার হইলেন। এইসব জানোয়ারতো শুধু দেশেই নয় বিশে^র দরবারেও দেশের সম্মান ক্ষুন্ন করিতেছে। ধর্ষনকারীরা এত্তো সাহস যেখান হইতেই পাইয়াছে হেইসব পরামর্শকদেরও শায়েস্তা করিতে হইবে। উপজেলা নির্বাচন লইয়া কি যে আকাম শুরু হইয়াছে পত্র পত্রিকা দেখিলেই পাবলিকের চোখ কপালে। আবার বরগুনার মাফিয়া বেগমের নাকি রগ কাটা হইয়াছে। যা বার্তা পাইতেছি তাতে হেইখানে রগ কাটা পার্টির উত্তান দেখা যাইতেছে। মা’রে যারা মানবতার বিরুদ্ধে দাঁড়াইয়াছে পিছনে না তাকাইয়া এইসব জানোয়ারদের দ্রুত ঝুলাইয়া দেন। উপজেলা নির্বাচন লইয়াতো বহুতে পিছনের দরজা দিয়া প্রবেশ করিতেছে। তয় পিছনের দরজা দিয়া যাহারা প্রবেশ করে তারাতো আকামেই ওস্তাদ। এইসব বিষয় লইয়া আপনিতো আরো ভালো করিয়াই অবগত রহিয়াছেন।

শুভ দাদু কহিলেন ইয়াবা নাকি এখন হেলিকপ্টারে। স্থলপথ ছাড়িয়া এখন আকাশ পথে ? দয়া দেখাইতে যাইয়াতো দেখি মানবতাবিরোধীরা উল্টো পদোন্নতি পাইয়াছে। বিমান বন্দরে আর্মড পুলিশতো এক্স্রে করিয়া এক যাত্রীর পেট হইতে ৮শত পিস উদ্ধার করিয়াছে। যা মনে হইতেছে বিমানেও বাকি নাই। ৫০ কোটি কাটার ইয়াবাসহ র‌্যাবতো ৩জনকে আটক করিয়াছে, এইসব দেখিয়া আমাগো দেশে দাদু-দিদিগো শিরা উপশিরা বন্ধ হইবার উপক্রম। রাজধানীর বহুত পোড়াকপাইল্লা দাদু কহিলেন ইয়াবা ব্যবসায় অর্থযোগান হইতেছে নাকি বিদেশ হইতেও। রাজধানীসহ দেশের ৬৫ জেলার প্রত্যন্ত উপজেলাতেও এই কারবার ওপন সিক্রেট ভাবে চলিতেছে। ব্যবসা চাঙ্গা তয় স্বরাষ্ট্র দাদু কহিলেন মাদক লইয়া জড়িতদের ছাড় নাই, এইতো দেখি হাতিকে লাঠি দিয়া গুঁতো মারা। ইয়াবাকারবারীরা জাতি ধ্বংসকারি ব্যবসা করিবে আবার আত্মসমর্পন করিবে, পূনর্বাসনও হইবে, তাইজ্জব কান্ড। মা’রে এরাতো প্রজম্মকে ধ্বংসের চক্রান্তকারি, তাঁগোরে এতো মায়া দেখনের হেতু কি। এইসব মানবতাবিরোধীরাতো দেশের হ¹ল উন্নয়নকে ঢাকনা দিয়া মাদকের উন্নয়নে পরিনত হইয়াছে বলিয়া দেশ বিদেশে জানান দিতাছে। এই ব্যবসার পিছনে মুলধনদাতা ও নাটের গুরুদের ধরিয়া দেশ গেরামব্যাপী পোস্টারিং করিয়া দিতে আদেশ করেন। স্বরাষ্ট্রে একজন শক্ত দাদু বসাইয়া দেন।

ধর্ষন আর সড়ক নির্যাতনের হত্যা যেন সমান তালেই চলিতেছে। এই ডবল নির্যাতন, হত্যার ঘটনাগুলাইন দ্রুত আইনে বিচার করনের দরকার বলিয়া দেশ গেরামের ভুক্তোভুগিরা আপনার দরবারে কড়জোরে মিনতি জানাইতেছে। মহামান্য হাইকোর্টতো ফিটনেসবিহীন যান আর লাইসেন্সবিহীন চালক লইয়া বিআরটিএর পরিচালককে তলব করিয়াছেন। গোটা দেশে বিআরটিএর শাখা প্রশাখায় নাকি দালালের ছায়া ভর করিয়াছে। মূর্খ হোক আর ল্যাংড়া হোক বিআরটি এ নোট ছাড়িলেই লাইসেন্স পকেটে চলিয়া যাইতেছে। তয় মা’গো দেশের পাবলিক দাদু-দিদিগোর মিনতি বিআরটি এর শাখা প্রশাখায় কড়া অভিযান চালাইতে মন্ত্রী, ডিসি, এসপিদের কড়া ওয়ার্ডার করেন।

মা’জননীগো দেশের যা পরিস্থিতি আপনি মায়া দেখাইলে কি হইবে। আকাম কুকামকারীরাতো তলে তলে শক্তি ভক্তি অর্জন করিতেছে বলিয়া মনে হইতেছে। নানান কিছিমের দেশী বিদেশী কলকাঠির নায়করাও বগলে হাত দিয়া তলে বলে চেষ্ঠা চালাইতেছে। দেশে মানবতা বিরোধী কাইজ কামতো চলিতেছে। শুনিলাম বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি নূরকে দেশে ফেরত আনীতে কানাডার আদালতে শুনানী শুরু হইয়াছে। পলাতক খুনিদের দেশে আনিতেই হইবে। জাতির পিতা হত্যাকারী বেঈমানদের কোন ছাড় নয়। দেশে মানবতাবিরোধীদের বিষয়ে সার্বক্ষনিক হজাগ থাকিতে হইবে। তয় ট্রাইব্যুনালের কাইজ কাম দ্রুত চালনের দরকার। মা’রে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাতো কহিতেছেন, কিছু কিুছ পরিবেশ প্রতিকূলে ছাড়িয়া দিলে নিজের অনুকূল মজবুত হইবে। তয় এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুবরেও তাই মনে হইতেছে, বিষয়টা ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’গো এখনো শত্রুরা উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে থাকিবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি মানুষের জন্য আর্শিবাদ রইল, ভালো থাকিবেন, নিজের খেয়াল রাখিবেন।

ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ৭ এপ্রিল- ২০১৯খ্রীঃ