[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় স’মিল মালিককে ৬০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে ৪৩ বিজিবির ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সমন্বয় সভাবাঘাইছড়িতে কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রশিক্ষণ ও কৃষি উপকরণ বিতরণখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ধান চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ সনদ প্রদানরাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভারাঙ্গামাটির লংগদুতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণখাগড়াছড়িতে দেড় দশক পর সরাসরি ভোটে কলেজ ছাত্রদলের কাউন্সিল সম্পন্নরামগড় ৪৩ বিজিবির উদ্যোগে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থ ও খাদ্যশস্য বিতরণরাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ এক সন্ত্রাসী আটকএকটি দল দেশে চাঁদাবাজি দখলদারি নিয়ে ব্যাস্ত আছে, খাগড়াছড়িতে চরমোনাই পীর
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-০২

৫১

মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি আপনি মহান সৃষ্টি কর্তার আর্শিবাদে সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া কোন রকম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায় কপ্তাই হৃদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতার পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়া কোপাইল্লা অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীন হইতে আপনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে আর আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, এ দুই নম্বর চিঠিখানা লেখিয়াছি। এই দাদুর খোলা চিঠিখানা আপনি একটু মন দিয়া পড়িবেন। যাউ¹া, পর আলোচনায় আসি…

মা’ জননীগো পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইলেও, দেখিলেও কোন কোন সময় চোখে ঝাপসাও দেখি। পাহাড়েতো সকালে ওমুকের দলের হইলে বিকালে তমুকের দলের প্রাণ ঝড়িতেছে। অমুক-তমুক দলের মাঝখানে পড়িয়া অসহায় পাবলিকও ক্রস হইতেছে। ব্যাক্তি শত্রুতার ঘটনাও নাকি অন্যের কাঁদে ঝুলিতেছে। আইজ এক কোনায় রক্ত হুগাইলে কাইল আরেক কোনায় জমাট বাঁধিতেছে। পাহাড়ে কারে কে পটাইবে, ফাঠাইবে, ফুটাইবে এইসব লইয়া প্রতিযোগীতাই চলমান রহিয়াছে। দূর্বৃত্তরা আধিপত্য, চাঁন্দাপত্য, ঘায়েলপত্য, দখলপত্য, ধনপত্য, খাদ্যপত্য নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া কয়েক গ্রুপতো ফটর ফটর করিয়া খালি মানুষ মারিতে ওস্তাদ। এইসব কান্ডকারখানার যন্ত্রনায় যন্ত্রনায় গা সোঁয়ার বাইরে। অস্ত্রধারীরা মনে হইতেছে প্রতিযোগীতায় নামিয়াছে। এইসব ঘটনায় আমাগো পাহাড়ের অসহায় দাদা-দাদিরাতো সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে জানপরান নখের কোনায় লইয়া দিন রাইত পার করিতেছে। মা’জননীগো পাহাড়ে পাপের বোঝা বস্তায় বস্তায় হইয়াছে। দেশের শান্তির জন্য পাপের বস্তার মুখ খুলিয়া সিরিয়াল করিয়া কাম শুরু করনের দরকার বলিয়া পাহাড়ের ফাটা কোপাইল্লা দাদা-দাদিরা আপনার দরবারে আরজি জানাইতেছে, এই অধমও তাই বলিয়া মনে করিতেছে। দয়া করিয়া একটু ভাবিয়া দেখিবেন।

মা’গো পার্বত্য চট্টগ্রাম লইয়া সুবিধাবাদী, লুটেরা শ্রেণী, সাম্প্রদায়িকতাবাদ, ওলট পালটের নেতৃত্ব, শ্রেণী বিভক্ত, পেশী শক্তি আর দখলদারিত্বের রাজনীতি লইয়া পাহাড়ের মানুষ যেন রক্ষচোষা জোঁকের দলে বন্ধী হইয়া পড়িয়াছে। অভাগারা নাকি যেদিকেই যায় সে দিকেই পানি শুগায়। এই অভাগা মানুষ গুলাইনরে যে যার ভাগে পাইতেছে খালি চুষিতেছে। পাহাড়ে আকাম কু-কামের দল ভারী হইয়া গিয়াছে। পাবলিকের উন্নয়নের জন্য আপনার দেয়া বরাদ্দের ফর্দ নাকি হেই যানবাহনের ঘটনার মতন লুটেরা মলম পার্টির খপ্পরে পড়িয়াছে। মা’ জননীগো তিন পাহাড় পর্বত লইয়া একটু সময় দেন, চিন্তা করেন, গবেষনা করেন, না হইলে পাহাড় লইয়া বিশে^র দরবারে আপনার যেই মান ইজ্জত মওজুদ হইয়াছে তাতো ধুলায় মিশাইয়া যাইবে বলিয়া এই অধমেরও মনে হইতেছে।

মা’জননীগো পাহাড়ের অসহায় দাদা-দাদিগোর ফাটা কপালের কথা আপনার দরবারে এক নম্বর চিঠিখানা লিখিয়া অসহায়রাতো খালি কহিতেছেন আকাম যা হইতেছে দাদুর দূরবীণে ধরাইয়া দিতে। মা’রে গেল চিঠিখানায় লিখিয়া চেয়ারমান বৃষ দাদাও বেজার হইয়াছেন। পরিষদের ছোট দাদারাতো কহিতেছেন, তাইনে এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুরে বত্রিশে ঠান্ডা করিতে চাহিতেছেন। মা’রে দাদারা তালিমালি কাইজ কাম করিবে দু-চার কলম লেখিলে ডিজিটাল ধারায় কাঠ গড়ায় পাঠাইতে ফোঁস ফাঁসও করিবে, এইতো দেখি তাইজ্জব কান্ড। পরিষদে দু-একজনে নাকি তাইনেগোর তালিকায় ভুয়া সাংবাদিক দেখাইয়া বৃষ দাদা হইতে চাইল আর গম গিলিতেছে। অসহায় সাংবাদিক দাদারাতো কহিলেন পেশাগতের মান উন্নয়নের জন্য দেয়া সহযোগীতার ৩৫ পার্সেন্ট নাকি বৃষ দাদার চার পাশের চাঁটের মতন লাগানো দু-চার পেটুক গিলিতেছে আর পকেটে ভরিতেছে। এই পেটুকের একেতো তাইনের দালানের প্রতি কুঠুুরিতে নাকি এসিও লাগাইয়াছে। এই অধমের নালিশ খানা আপনার জ্ঞাতার্থে রহিল।

সাবেক এমপি চিনু দাদিওতো দুচার কথায় গোস্সা হইয়াছেন। এইসব লইয়া তাইনে ছোট্ট দাদারেতো নালিশ করিয়াছেন। এই দাদির আশ পাশের দাদা-দাদিরাও নালিশ করিতেছেন বিদ্যুৎ লইয়া তাইনের নাকি বহুত ঘাবলা রহিয়াছে। কাদের দাদাওতো রাঙ্গামাটি সফর করিতে আসিয়া এক সভায় খোঁস গল্পে তাইনেরে পান কম খাইতেও পরামর্শ করিয়াছিলেন। এই কম খাওয়ার পেছনে কি ইঙ্গিত করিয়াছে মেটার অব থিংকিং। মা’রে পাহাড়ের অন্ধকারের অভাগা মানুষকে আলো দিতে আপনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ প্রকল্পের হ¹ল হিসাবের খাতাখানি একবার তদারক করিবেন। আপনার দলের চান্দি গরম নেতারাও তাই কহিতেছেন। তয় এই বেকুবের দু-চার কলমের বার্তাখানাও মিলাইতে পারিবেন।

বান্দরবানের বহুত উপজেলাতেতো লুটপাটকারীরা দলে বলে চুষিয়াই যাইতেছেন। বিজিবি’র জোয়ানরাতো প্রায় সাড়ে তের কুঠি টাকার ইয়াবা জব্দ করিয়াছে। জাতি রক্ষায় এই মাদক বধ্ করিতে যুদ্ধ চালাইয়া যাইতেই হইবে। রফিক দাদাতো কহিলেন, হেইখানে কেহ পাহাড় গিলিতেছে, কেহ বা বন জঙ্গল, কেহ পাথর। ধর্ষন, খুন খারাবি, চুরি ডাকাতি আর মাদক লইয়া প্রতি সপ্তাহেই অঘটন ঘটিয়াই যাইতেছে। যাহা মেসেজ পাইয়াছি তাতেতো মামলা মামলায় চুইঙ্গামের মতন লম্বা হইতেই আছে। রাহুল দাদা কহিলেন, হেইখানে নাকি ৪শত ৩২ বিদ্যালয়ে গুটি কয়েক ছাড়া বাকীগুলাইনে শহীদ মিনার নাই। তাইজ্জব কান্ড, পোলা-মাইয়ারা ইতিহাস হইতে বাদ পড়িতেছে। মা’রে এইসব কর্মকান্ডগুলাইন নিজেই ভালো করিয়া তদারক করনের দরকার বলিয়া এই পোড়াকোপাইল্লার মনে হইতেছে।

আমাগো আরেক পাহাড় খাগড়াছড়িতে দফায় দফায় বহুত লোকের প্রান গিয়াছে। বেশ কয়টি ধর্ষন ঘটনা ঘটিয়াছে। হেইখানে যা অবস্থা বারুদের গন্ধ শেষ হইবার আগেই আবারো গন্ধ ছড়ায়। প্রসাদ দাদাতো কহিলেন, এক সাংবাদিকের স্কুল শিক্ষিকা স্ত্রী নাকি ফেইসবুকে অলট পালট ছবি ছাড়িয়া দুই সাংবাদিক মামলায় জড়াইয়াছেন। এলাকার দাদা-দাদিরাতো এই ঘটনায় শিক্ষিকার অপসারন চাহিয়া ব্যানার লইয়া রাস্তায় নামিয়াছে। তাইনেরা প্রশ্ন ছুঁড়িতেছে এই শিক্ষিকারে দিয়া স্কুলের পোলামাইয়া কি শিক্ষা গ্রহন করিবে। এই ঘটনাতো সমাজে বিশ্রি রকমের খোঁস গল্পের জন্ম হইয়াছে। মা’রে বিশ্রি ঘটনার দ্রুত ব্যবস্থা লইতে ত্রিপুরা দাদারে সহ জেলা প্রশাসনরে কড়া আদেশ করিতে এই অধমের পরামর্শ থাকিল।

তিন পাহাড়েতো উপজেলা নির্বাচন লইয়া আওয়ামীলীগের মনোনীতরা বেজায় খুশি। চেয়ারমান, ভাইস চেয়ারমানরা এক্কেবারে ফুরফুরে মেজাজে রহিয়াছে। যারা দলের মনোনয়ন নিতে চড়কার মতন ঘুরিয়াছে তারাতো না পাইয়া উল্টো পথে যাইবার হুমকী ধামকী করিতেছে। তয় আসন লইতে শুধু ভাষণ ছাড়িলে হইবেনা আপনার উন্নয়নের ফর্দ লইয়া ভোটারগোর ঘরের দরজায় যাইতে হইবে। সেবার ব্রত লইয়া দলের নেতা-নেতৃরা যাহাতে আগাইয়া যায় কাদের দাদারে পাহাড়ে বিশেষ দৃষ্টি রাখিতে আদেশ করিবেন।

মা’জননীগো পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড লইয়া আপনার ভাবনের দরকার। আপনিতো ২০১৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী রাঙ্গামাটি সফর করিয়া পাহাড়ের অভাগা পাবলিকের উন্নয়নে আপনার নয় প্রকল্পের তিন প্রকল্পতো আইজ পর্যন্ত ছয় বছর পূর্ন হইয়াছে। শহরের পুরানবস্তী-ঝুলিুক্কা-পাহাড় আর লংগদু উপজেলার কাচালং নদীর উপর মাইনীমূখ-গাঁথাছড়া সংযোগ সেতুর কাজতো আধমরা অবস্থায় ঝুলিয়া রহিয়াছে। সদর উপজেলা চত্তরের সামনে জাতির পিতার দেয়া ৭মার্চের আদলে ভাস্কর্যটিতো শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ অবস্থা। এইসব লইয়া পাবলিকতো অভিযোগ ছুঁড়িতেছে। শুনিলাম সচিব নুরুল আমিন ছাহেব পার্বত্য মন্ত্রনালয় হইতে আউট হইয়াছেন? মা’রে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড লইয়া আপনার কিছু হস্তক্ষেপও দরকার। বোর্ডে পাহাড়ের মাদার ডিস্ট্রিক হইতে দলের জনবান্ধব একজন চতুরচালাক বসাইয়া দেন। আপনার দলের দাদা দাদিরাওতো কহিতেছেন জেলা দলের সভাপতি মন্ডলীর বেকার দু-একজনকে কাজে লাগাইতে, এই অধম, বেকুবেরও তাই মনে হইতেছে।

মা’জননীগো অপার দয়াময় সৃষ্টি কর্তার কৃপায় আপনিতো ছহি ছালামতে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী আর উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনায় আগাইতেছেন। দেশের উন্নয়নে যারা ঈর্ষায় ভুগিতেছে তাইনেগোর দিকে কড়া নজর রাখিতে আপনার কেবিনেট সদস্যগোরে সার্বিক সজাগ থাকিয়া আগাইতে কহিবেন। তয় মা’জননীগো দেশের কুঠি কুঠি পাবলিক সামাল দিতে হিমশিম খাইতেছেন তার মইধ্যে রোহিঙ্গা লালন পালন করিতে গিয়া আমাগো দেশের মানুষের অবস্থারতো বারোটা বাজিতেছে। মিয়ানমারতো নতুন করিয়া তালবাহানা শুরু করিয়াছে। এইসব লইয়া বিশ^নেতাদের সাথে বসিয়া দ্রুত পুশ করনের ব্যবস্থা লইবেন। পরের সাহার্য্য লইয়া আর কতোদিন চলিবে, এইসব লইয়া ভালো করিয়া চিন্তা করনের দরকার বলিয়া এই অধমও তাই মনে করিতেছে।

মা’জননীগো দেশের ইয়াবা কারবারিগোর আত্মসমর্পনতো টক অব দা কান্ট্রিতে পরিনত হইয়াছে। হেই দিন ১০২ জনের যেই নাদুশ নুদুশ চেহারা আর মেদভুড়ি দেখিয়া আমাগো পাবলিকের আহ্লা জিহ্বাও আটকিয়া গিয়াছে। তাও অবার শীর্ষদের নাকি আমন্ত্রন পত্র দিয়া আসনেও বসাইয়াছে। অথিতি আসনে ইয়াবা কারবারি? পাবলিকে ছিঃ ছিঃ ছিঃ করিতেছে। দেশের স্বার্বভৌমত্ব আর স্বাধীনতা কি তাগো কাছে বন্ধি কিনা প্রশ্ন উঠিয়াছে। মা’রে স্বাধীনতা বিরোধীদের মানবতা দেখাইতে গিয়া আমাগো জাতির পিতার উপরও বুলেট চালাইয়াছিল। নীরবে জাতি ধংসকারী এই মানবতা বিরোধীগোর কোন ক্ষমা না করিতে দেশের মানুষ আপনার দরবারে আর্জি জানাইতেছে। ইয়াবা কারবারিগোর দলের পিছনের হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন? আমাগো উন্নয়নশীল দেশের মান সম্মানতো ডুবাইতেছে তারও চাইতে বড় ক্ষতি হইতেছে জাতিকে নীরবে ধংস করিতেছে। এইসব মানবতা বিরোধীগোরে আর্ন্তজাতিক আদালতের মাধ্যমে দ্রুত ঝুলাইয়া দেন। অধরা হোতারাও যাহাতে পলাইতে না পারে দেশের বর্ডারে বর্ডারে কড়া নজর রাখিতে স্বরাষ্ট্র দাদারে আদেশ করিবেন। মা’গো যারে একবার কুমিরে খায় সে ঢেঁকি দেখিয়াও ভয় পায়। সভ্য জাতি গঠনে পিছনে তাকনোর সময় আপনার আর নাই। জাতি আর মানবতাকে রক্ষা করিতে প্রয়োজনে জেলায় জেলায় আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আদালতের শাখা গঠন করনের দরকার বলিয়া দেশের বিজ্ঞজনেরাও মনে করিতেছে। তয় এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম বেকুব পাহাড়ী দাদুও তাই মনে করিতেছে, এই বিষয় লইয়া ভাবিয়া আগনের দরকার।

মা’রে বাগের হাটের চিতলমারিতে দিনের বারোটায় বৃদ্ধ শাশুরী ও তাঁর পুত্রবধুকে বিবস্ত্র করিয়া গাছের সাথে ঝুলাইয়া নির্যাতন চালাইয়াছে দুর্বৃত্তর দল। এইতো দেখি পিসাচের দলের পাল্লায় পড়িয়াছে চিতলমারির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। হেইখানেতো মনে হইতেছে নতুন করিয়া বাংলা ভাইয়ের প্রেতাত্মা গজাইয়াছে। দেশের এমন কোন জেলা নাই যে ধর্ষন ঘটনা হইতেছেনা। এই সব ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করিবেন।

মা’জননীগো ঋণ খেলাপীদের বিষয়ে হাইকোর্টের আদাশেখানা যথাযত পালনে নির্দেশ প্রদান করিবেন। অর্থ পাচারকারী, ঋণ লইয়া খেলাপী দেশের পুঁজিপতি শিল্পপতি আর ধনপতিরাতো দিব্যি আরামেই রহিয়াছে। দেশের এইসব লুটেরা টাউট শ্রেণীর ঋণখেলাপীদের দশ বিশটারে দ্রুত হ্যন্ডকাপ পরাইয়া দেন। দেখিবেন ফর ফর করিয়াই নোট বাহির হইতে থাকিবে। যাই¹া তয়, মা’জননীগো সড়কেতো প্রাণ ঝড়িতেই আছে, খবরাখবর যা পাইতেছি দেশের রোড ট্রন্সপোর্ট অথরিটিতেতো কানা, ভোঁতা হইলেও নোট ছাড়িলে নাকি লাইসেন্স পকেটে চলিয়া যায়। এই বেপরোয়া ট্রন্সপোর্ট অথরিটিতে আমাগো কাদের দাদারে দিয়া কড়া অভিযান চালাইতে আদেশ দিবেন।

মা’গো এই মাস ভাষার মাস, আমার মায়ের কথা বলার মাস, আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষার মাস। বাংলা ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়াছেন, তাঁদের প্রতি “পাহাড়ের সময়” পরিবারের দাদা-দাদিদের রইলো শত শহস্র প্রণাম, বিনম্র শ্রদ্ধা সকল ভাষা শহীদদের জন্য রইলো অফুরন্ত ভালোবাস। মা’রে ভাষার জন্য যারা প্রান দিয়াছেন, আন্দোলন করিয়াছেন তাইনেগার তালিকা প্রণয়নের আর্জিখানা আমলে লইয়া জাতির প্রজম্মদের শিক্ষায় তা প্রস্তুত করনের দরকার। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে জানিনা, তয় আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে থাকিবেন।

মা’রে আইজ আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে এইসব খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তিতে বসবাস করিতে পারিব। আইজ যা লেখিয়াছি তাহাতে কোন ভুলভ্রান্তি হইলে এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম বেকুবরে ক্ষমা করিয়া দিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট এই পোড়াকোপাইল্লা, অধম বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া মন দিয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি মানুষের জন্য আর্শিবাদ রইল, ভালো থাকিবেন, নিজের খেয়াল রাখিবেন।

ইতি, আপনারই কুঠি কুঠি মানুষের পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রহন্থনাঃ এস.এস.বি.এম, তারিখ- ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯খ্রীঃ