মিথ্যে মামলা প্রত্যাহারের দাবি
রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানার দুই এসআই’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
কতোয়ালী থানার এসআই ওসমান গনি ও জুলফিকার কর্তৃক নির্যাতন এবং মিথ্যা মামলা থেকে নিস্তার পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তেভুগি নয় নারী-পুরুষ। শুক্রবার (১৮জুন) বিকালে রিপোটার্স ইউনিটিস্থ রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব এর অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত ১৫ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের ইসলামপুরস্থ নদীর ঘাটে হাড়িপাতিল মাঝছিল জোসনা বেগম এ সময় হঠাৎ ২/৩জন অজ্ঞাত লোক ঘাটে গিয়ে পরিচয় জানতে চায় কথা বলতে বলতে তারা তার শরীলের স্পর্শকাতর স্থানে তাকালে তাদের চলে যেতে বলে, না হয় এলাকার লোকজনকে ডাকবে বলে উল্লেখ করলে সাথে সাথে তারা জোরজবদস্তী করে তার জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে এসময় তার চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে তাকে রক্ষা করে এবং তাদেরকে এলাকায় বসিয়ে রাখ হয়। পরে ঐ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ফোন করলে আধঘন্টাপর এসআই ওসমানগনিসহ কয়েকজন পুলিশ আসলে সাথে সাথে অজ্ঞাত ব্যক্তিগনকে নিয়ে উপস্থিতদের কাঠের বাটাম, লাথি ও কিলঘুষি মারতে থাকে। পরে জোসনা জানতে পারে খারাপ আচরনকারী ব্যক্তি এসআই জুলফিকার। তাদের হামলায় উপস্থিত সবাই পালিয়ে যায়। পরে মহিলা পুলিশ ছাড়াই তাকে হাতকড়া পড়িয়ে থানায় নিয়ে গিয়ে এসআই ওসমান ও জুলফিকার অনেক মারধর করে এবং গায়ের ছেড়া জামা জোর করে খুলে নিয়ে মহিলা পুলিশের একটি জামা পড়িয়ে দেয়। পরের দিন আদালতে নিয়ে আসলে আদালত জামিন দিলে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহন করি। সংবাদ সম্মেলনে জোসনা কান্নারত অবস্থায় বলেন, তিনি চট্টগ্রামে চাকুরী করেন। তার সাথে পুলিশ কেন এমন আচরণ করেছেন জানেন না। তিনি বলেন, আমিতো এলাকার কোথায় কি হচ্ছে তাও জানিনা।
অপর দিকে একই সংবাদ সম্মেলনে আসা বাকী ৮জন অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন জোসনাকে অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি মারধর করছে জেনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় জোসনার পড়নের কাপড় ছেড়া এসময় তাকে উদ্ধার করে অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের সেখানে বসিয়ে রাখলে পরে উল্টো তারাই এলাকার মানুষদের মারধর করতে থাকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয় বলে দাবি করেন মোঃ রোমান, মহিউদ্দিন, নাসু, ফুল ঝাড়ু ব্যবসায়ী রুবেল, হাবিব, শামসুন্নার, আলেয়া বেগম ও মুক্তা আক্তার। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ঘটনার দিন শামসুন্নার ও মুক্তা আক্তার ছাড়া বাকীরা কেউই ছিল না এলাকায়। মুক্তা আক্তারের কাছ থেকে ওসমান ও জুলফিকার দুই লক্ষ টাকা দাবি করে বলেও লিখিত অভিযোগ করেন। তাঁরা দাবি করেন, ওসমান ও জুলফিকার নিজেদের রক্ষা করতে এলাকার মা,বোন ও ভাইদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন। তারা এ মিথ্যা মামলা এবং নির্যাতন ও হয়রানির বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে এসআই ওসমানও বলেছেন, এসআই জুলফিকার ঘটনার দিন পূর্ব মামলার আসামী গ্রেফতার এবং মাদকদ্রব্যসহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কাজে সিভিলে রিজার্ভ বাজারস্থ ইসলামপুর গেলে সরকারি কাজে বাধাদান ও পুলিশের উপর হামলা করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে এসআই জুলফিকারসহ সঙ্গীয় ফোর্সদের উদ্ধার করি। থানায় আসামীর উপর কোন মারধর করা হয় নি এবং কোন টাকাও দাবি করা হয়নি। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় এসআই জুলফিকার ১৬ জুন ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অপরাধীরা ঘটনা থেকে বাঁচতে মিথ্যের আশ্রয় নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।