মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে বাঁচতে চায় বই দোকানের কর্মচারী খোকন
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটি শহরের কাঠালতলী এলাকার বাসিন্দা খোকন কান্তি নাথ মরণব্যধি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। খোকন স্থানীয় একটি বই বিক্রেতার দোকানে সামান্য বেতনের কর্মচারী। বর্তমানে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকেল সাইন্স কেয়ার হেলথ ক্লিনিক এ চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাঁকে বাঁচাতে তার পরিবার সমাজের বিত্তবানদের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
খোকন এর পরিবার সুত্র জানায়, গেল বছর নভেম্বর-২০ এ হঠাৎ একটু একটু দাঁতের ব্যথা হয়। পরে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগে ডাক্তার বেনজুকে দেখলে ব্যথার কিছু আরোগ্য হলেও ডাক্তার বেনজু তাকে চট্টগ্রাম গিয়ে আরো অভিজ্ঞ ডাক্তারকে দেখানোর পরামর্শ দেন। পরে চট্টগ্রাম গিয়ে ডাক্তার দেখানোর পর অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করার পরে তার দাঁত ও মাড়িতে মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ে। এতে তিনি অপেক্ষা না করে ৩১ডিসেম্বর ২০২০ চট্টগ্রামে ডাক্তার দেখানোর পর অপারেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়, সে অনুযায়ী অপারেশন করে অদ্যবধি চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে খোকনের অবস্থা মারাত্নক সংকটাপন্ন। প্রতি দিন তার চিকিৎসা বাবদ গুনতে হয় অনেক টাকা যা তার পক্ষে কোন মতেই সম্ভব নহে। সম্প্রতি ক্যান্সার চিকিৎসায় ডাক্তার ২টি ক্যামো দিয়েছেন যার একটির দাম প্রায় ৫০হাজার টাকা। এত ব্যয় বহুল চিকিৎসা এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এত টাকা জোগাড় করা তার পরিবারের পক্ষেও সম্ভব নয়।
এদিকে মেডিকেল সাইন্স কেয়ার হেলথ ক্লিনিক থেকে খোকন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ফেইজ বুক ওয়ালে লিখেছেন তাকে বাঁচাতে আর্থিক সহযোগিতার জন্য সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। বর্তমানে খোকন এখন আর কথা বলতে পারছে না। ক্রমশঃ দিন দিন তার শরীর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। এই মূহুর্তে সকলের আর্থিক সহযোগিতা ও আর্শিবাদ কামনা করেন।
খোকনের স্ত্রী পূর্ণিমা রাণী দেবী বলেন, তার স্বামী একজন বই দোকানের কর্মচারি ছিলেন অসুস্থ হওয়ার পর আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারি ছিলেন স্বামী খোকন। নিকটতম আত্নীয়স্বজন থেকে ঋণ করে গত নভেম্বর হতে এই পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন আর ঋণও কেউ দিচ্ছে না। তাকে বাঁচাতে ৫-৬ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। যে কেউ সাহায্যের হাত বাড়াতে চাইলে খোকনের স্ত্রীর বিকাশ নম্বর-০১৮২০৩২৯০৫৯ এ পাঠাতে পারেন। এছাড়াও খোকনের স্ত্রী স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতাও কামনা করেছেন।