[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার করল্যাছড়ি ব্রিজ ভেঙ্গে যেতে পারে পড়ার যে কোন সময়খাগড়াছড়ির দীঘিমালায় হর্টিকালচার সেন্টার’র চাষীদের মাঝে চারা বিতরণবান্দরবানের আলীকদমে ইয়াবা সেবন, কৃষক দলের সভাপতি আলম সহ আটক ৪খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় তামাক চুল্লিতে আগুন, ব্যাপক ক্ষতিবাঘাইছড়ির মারিশ্যা ২৭ বিজিবি’র উদ্যোগে বিদ্যালয়ে নগদ অর্থ প্রদানবান্দরবানের রুমার মুনলাই পাড়ায় অসহায়দের জন্য সেনাবাহিনীর চিকিৎসা সেবা প্রদানখাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে তরুণী ধর্ষণ ঘটনায় আটক ২ জন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতানায়েক রাসেলের গুড সার্ভিস পুলিশ ব্যাজ ও সনদপত্র অর্জনবান্দরবানের থানচি ইউএনও’র সাথে যুব ক্রীড়া পরিষদের সৌজন্য সাক্ষাৎবান্দরবানের আলীকদমে শ্রমিক দলের আয়োজনে মে দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

সেতুতো নয়, যেন মরণ ফাঁদ

যে কোনো মূহুর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে

১৬৮

॥ লংগদু উপজেলা প্রতিনিধি ॥

রাঙ্গামাটি লংগদু উপজেলার তিন ইউনিয়নের প্রায় ৬৫ হাজার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র সেতুটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে স্থানীয়রা ঝুঁকির মধ্যে পারাপার হচ্ছেন এ সেতু দিয়ে। সেতুটি পূনঃনির্মানের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে আহ্বান জানিয়েছেন জনসাধারণ।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বগাচত্তর ইউনিয়নের গাউসপুর ফরেস্ট অফিস এলাকায় নির্মিত সেতুটি এখন পুরোটাই ঝুঁকিতে রয়েছে। ৯০ দশকের দিকে যোগাযোগের সুবিধার্থে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ভাসান্যাদম, বগাচত্তর ও গুলশাখালী ইউনিয়নের ৬৫ হাজার মানুষের জন্য যোগাযোগ গড়ে তুলতে মাইনী নদীর উপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির পিলারের মাটি সরে গিয়ে এবং নিরাপত্তা রেলিং ভেঙ্গে পড়ে এখন চরম ঝুঁকিতে পাড়াপাড় হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ।

দেখা যায়, মাইনী নদীর প্রবল স্রোতে সেতুটির পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে নড়বরে হয়ে পড়েছে। মাঝখানের একটি পিলার ভেঙ্গে গেছে। দুই পাশের নিরাপত্তা রেলিংও ভেঙ্গে গেছে। পাটাতন থেকে কংক্রিটের ঢালাই উঠে গেছে। যেটুকু রয়েছে তার উপর দিয়ে মানুষ যাতায়ত করছে।

স্থানীয় বসবাসকারীরা জানান, তিনটি ইউনিয়নে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষের বসবাস। এলাকাগুলোতে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিজিবি’র একটি জোনও রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে ঝুঁকি নিয়েই এর উপর দিয়ে চলাচল করছে মানুষ। যেকোন সময় সেতুটি ভেঙ্গে গিয়ে হতাহতের মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে জানান।

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় বসবাসকারীরা সেতুটি মেরামত বা পূনঃনির্মানের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের নিকট ধর্ণা দিয়ে আসছে। এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগাদা দেয়া হয়েছে।

গুলশালাখালী ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা ও সংবাদকর্মী সৈয়দ ইবনে রহমত জানান, সেতুটির ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার বলা হলে এলজিইডির প্রকৌশলীরা নামেমাত্র কয়েকবার পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে আতঙ্কিত মানুষ সেতুটি নির্মানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঝুকির বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করেছেন।
বগাচত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, স্থানীযদের দাবি কেউ পূরণ করছে না। এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগাদা দেয়া হয়েছে। তাদের আচরণ যেন উল্টো মরার উপর খরার ঘা অবস্তা।

লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার বলেন, সেতুটি সংস্কার করার জন্য এলজিইডি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এবং রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি জানান, গত কয়েক দিন আগে বৃষ্টির প্রবল বর্ষণে মাইনী খালের স্রোতে সেতুটির দু’টি পিলার ভেসে গেছে। স্থানীয়দের দাবি, সেতুটি সংস্কার নয়, নতুন সেতু নির্মাণ। বর্তমানে এটি সেতুতো নয় মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোন মূহুর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল লংগদু উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী রণি সাহা জানান, গাউসপুর সেতুটি তৈরি করার জন্য চলতি বছরের জুন মাসে রুরাল ইফ্রেসট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (আরআইডিপি-সিএইচটি) এর আওতায় একটি প্রকল্প তৈরি করে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে কাজ শুরু করা যাবে।

রাঙ্গামাটি জেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তালেব জানান, ‘লংগদু উপজেলার গাউসপুর ব্রিজটি সম্পর্কে তাঁর কাছে কোনো তথ্য নেই। এটি আগে এলজিইডি নির্মাণ করেছে নাকি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড করেছে সেটিও দেখতে হবে। সেতুটি পূর্বে এলজিইডি নির্মাণ করেছিল সে ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই। সবকিছু যাঁচাই করে সেতুটি যোগাযোগ উপযোগী করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন।