॥ বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি ॥
বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দূর্গম হাজা ছড়া এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা জয়ন্ত কুমার চাকমা (৮৩) ও তার স্ত্রী সুরেশ সোনা চাকমা (৭৮) সরকারী বয়ষ্ক ভাতার আওতায় আনার জন্য আকুতি জানিয়েছেন। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ৬০ বছর বয়স হলেই বয়ষ্ক ভাতার আওতায় আনার বিধান থাকলেও ৮৩ ও ৭৮ বছর পার হওয়ার পরও প্রবীণ এই দম্পতির কপালে জুটেনি বয়ষ্ক ভাতার একটি কার্ড।
অনেকটা ক্ষোভ ও হতাশা নিয়েই এই প্রবীণ দম্পতি বলেন, মরার আগে হয়তো আর বয়ষ্ক ভাতা জুটবে না। এছাড়াও অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য দয়াধন চাকমার কাছে বারংবার যোগাযোগ করেও কোন কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য দয়াধন চাকমা বলেন, কেউ তার কাছে বয়ষ্ক ভাতার জন্য যোগাযোগ করেনি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।
এদিকে ৬ সন্তানের জনক এই দম্পতি এখন বসবাস করছেন একাই। পাহাড়ি শাক সবজি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে কোনরকমে জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। বয়সের ভারে নতজানু এই দম্পতি অনেকটা অনাহারে অর্ধাহারে জীবন পার করছেন। সরকারী ভাতার আওতায় আসলে জীবনের বাকি দিনগুলো হয়তো কিছুটা সুখ শান্তিতে কাটাতে পারবেন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার জয়েস চাকমার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এই মুহুর্তে বরাদ্দ না থাকায় সহসায় ভাতার আওতায় আনা সম্ভব হবেনা। বরাদ্দ পাওয়ার সাথে সাথেই প্রবীণ এই দম্পতিকে বয়ষ্ক ভাতার আওতায় আনা হবে।