[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ

আলীকদমে পাকা ব্রীজে উঠতে লাগে কাঠের সাঁকো

১৩৮

॥ সুশান্ত কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাঁ,আলীকদম ॥

বান্দরবানের আলীকদমে পাকা ব্রীজে উঠতে লাগে কাঠের সাঁকো। সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রীজটির এমন দুরাবস্থা। দীর্ঘদিনেও সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় এলাকাবাসী চাঁদা তুলে কাঠের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন। ফলে ব্রীজ নির্মাণ হলেও ভোগান্তি কমেনি এলাকাবাসীর।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড পূর্ব সোনাইছড়ি খালের পাশের ঝিরিতে মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হয় ব্রীজটি। পাহাড়ী ঢলের কারণে ব্রীজের একপাশে সংযোগস্থল থেকে মাটি সরে যায়। দীর্ঘদিন আগে ব্রীজের একপাশের মাটি সরে যাওয়া এ ব্রীজের সাথে সড়কের সংযোগ না থাকার কারণে বিকল্প পথ না থাকায় তার ওপর কাঠ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার হচ্ছে এলাকাবাসী। এভাবেই চলছে ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সোনাইছড়ি খালের পাশের ঝিরি দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আশপাশের গ্রামের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষকে।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১ থেকে ২ বছর আগে উপজেলার ২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের চিনারী বাজার সংলগ্ন সোনাইছড়ি খালের পূর্ব পাশের ঝিরিতে নিমির্ত ব্রীজের পাশের অংশে সম্পূর্ণ মাটি নদীতে বিলিন হয়ে যায়। ব্রীজটির মাটি সরে যাওয়ার কারণে ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পাহাড়ী-বাঙ্গালী গ্রামসহ আরও কয়েকটি গ্রামের মানুষ ওই ব্রীজ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে কয়েক হাজার মানুষ দূর্ভোগে পড়েন।

এলাকাবাসীরা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানানো হলেও ব্রিজ মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে তারা বাধ্য হয়েই এলাকাবাসী সবাই মিলে এ ব্রীজের ওপর একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচলের উপযোগী করেছেন। তারা আরও জানান, এ অঞ্চলের মানুষ কৃষিনির্ভর হওয়ায় উৎপাদিত সবজি নিয়ে ব্রিজের ওপর দিয়ে পার হতে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বর্তমানে ওই ব্রিজের ওপর স্থানীয়রা গাছের সাঁকো তৈরি করে জীবন ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই নানা দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলেন, গ্রামের মানুষ এমনিতেই কাঠের সাঁকো অথবা বর্ষার সময় ঝিরি দিয়ে পারাপারে ভয় পাই। সুতারাং, জীবন জীবিকার তাগিদে চাকরি করার ফলে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে ওই ব্রীজের সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। তিনি আরও বলেন, চিনারী বাজার এলাকার পূর্ব সোনাইছড়ি গ্রামের মানুষ ও শিক্ষার্থীদের নদীর পূর্ব পাশের ঝিরি দিয়ে পায়ে হেঁটে অতিক্রম করে বিদ্যালয়ে পৌঁছতে হয়। এখান কার উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজার নিয়ে যাওয়ার সময় পরিবহন করতে নানা সমস্যা দেখা যায়। ব্রিজটি মেরামত না হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।

২নং চৈক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদৌস রহমান কে মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।