[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

কাপ্তাই হ্রদের রক্ষণা বেক্ষণের দায়িত্ব কার

৫৪

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের সেক্টর। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর এসব কাজ যে যার মতো করেই বাস্তবায়ন করছে। আবার কোথাও কোথাও প্রকল্প বস্তÍবায়ন হয়ে গেছে দায় দেনা পরিশোধ হয়েছে এরই মধ্যে বহু প্রকল্প নাইও হয়ে গেছে। কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে ফুনাফা যার ঘরেই যাক। পরিবেশ, হ্রদ,খাল-বিল, নদী নালা যাহান্নামে যাক তাতে কি, এসব কোন ফ্যাক্টর নয়, উন্নয়নতো হচ্ছে। অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারনে কাপ্তাই হ্রদ সংকুচিত হয়ে আসতে আসতে হ্রদের নির্দিষ্ট আয়তন এবং গভীরতার সাথে এখন আর মিল নেই।

সরে জমিনে দেখা যায়, রাঙ্গামাটি শহরের বেশ কিছু এলাকায় কাপ্তাই হ্রদ এর জায়গা দখল করে বেশ কিছু স্থাপনা করা হয়েছে। এসব স্থাপনার অধিকাংশই বেসরকারি অর্থাৎ স্থানীয় জনসাধারন আইন অমান্য করেই যে যার মতো করে দখল করেছে হ্রদের পাড়। এরই মধ্যে চোখে পড়ার মতো শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকা, তবলছড়ি, কাঠালতলী, হাসপাতাল এলাকা, আসামবস্তীসহ আরো বেশ কিছু এলাকা তবে পুরো শহর জুড়েই অবৈধ দখল প্রতিােযাগীতা দিয়েই চলছে। আরো দেখা যায়, রাজনৈতিক বাহবা নিতে এসব অবৈধ দখলের উৎসাহ যুগিয়ে যাচ্ছে জনপ্রতিনিত্বশীল বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন প্রকল্পের নামে একদিকে অবৈধ দখলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে প্রকল্পের নামে হ্রদ ও পরিবেশের ক্ষতি করে সরকারি অর্থ নষ্ট করে চলেছে। সেই সাথে কাপ্তাই হ্রদ রক্ষণা বেক্ষণের আইন থাকা সত্তেও তার আমান্য করে চলেছে যারাই এর ধারক বাহক। এ অবৈধ দখল নিয়ে স্থানীয় অধিকাংশ মানুষের প্রশ্ন আসলে কাপ্তাই হ্রদের রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্ব কার।

দেখা যায়, শহরের তবলছড়িস্থ টেক্সটাইল মার্কেট এলাকার একটি ক্লাবের উন্নয়নে জেলা পরিষদ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করছে। মেগা এ প্রকল্প বাস্তবায়নে জায়গা সংকুলানের কারনে হ্রদের তলদেশ দখল করে বিল্ডিং এর কাজ শুরু করেছে। এমন কি এর মূল গাঁথুনি শেষ করে ধীরে ধীরে উপরের দিকেই উঠে আসছে। বর্তমানে এর কাজ চলমানই রয়েছে। তবে এ কাজ নিয়ে স্থানীয় অনেকেরই প্রশ্ন হ্রদের তলদেশ দখল করে এমনকি লাভের প্রতিষ্ঠান যে ক্লাবের জন্য এটি করতে হচ্ছে। স্থানীয়রা আরো জানান, এভাবে জেলা পরিষদ হ্রদের জায়গা দখলকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরো দু’একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে যা উন্নয়ন কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বহু প্রকল্প নাইও হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের প্রকৌশল বিভাগ জানিয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকল্প অনুমোদন করায় কাজটি করা হচ্ছে। প্রকল্পটি কত কোটি টাকার কাজ জানাতে না পরলেও ৫তলা বিশিষ্ট ভবনের জন্য কয়েক কোটি টাকা হতে পারে বলে জানায়। প্রকল্পের বর্তমানে জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ সাপেক্ষে কাজটি শুরু করা হয়েছে। ধাপে ধাপে এর বাস্তবায়ন হবে বলে জানায়। হ্রদের তলদেশ দখল করে এ প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা কেন জবাবে নীতি নির্ধারকরা যে ভাবে করেছেন সেভাবেই করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে সামাজিক অনুষ্ঠানাদি পালনে যথেষ্ট সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পরিষদের এক প্রকৌশলী জানিয়েছেন, তাঁদের কিছু করার নেই পদস্থরা যাই বলছেন সেভাবেই কাজ করতে হচ্ছে। এখানে প্রকৌশলীদের বলার কোন সুযোগও নেই। তবে কত কোটি টাকার কাজ তা জানাতে পারেননি। অবশ্য বিভাগের অপর সুত্রটি জানিয়েছে সম্ভাব্য ৪ থেকে ৫ কোটি টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।

অপর দিকে কালীবাড়ীর সন্মুখে ব্রীজটির প্রয়োজন ছিলনা বলে অনেকেই মনে করছে। স্থানীয়রা জানান, ব্রীজ এর পাশে হ্রদের জায়গার উভয় পাশের্^র দীর্ঘ লাইন ধরে দখলে দখলে হ্রদও ছোট হয়ে গেছে। বর্তমানে সোয়া কোটি টাকায় নির্মিত ব্রীজটির আর প্রয়োজন দেখা যাচ্ছে না বলে অনেইে বলছেন। ব্রীজটি না দিয়ে পানি চলাচলের জন্য আরসিসি রিং বসিয়ে দিয়ে মাটি ভরাট করে দিলেই যানবাহন চলাচলে ব্যবস্থা হয়ে যায় সেখানে কোটি টাকার উর্দ্বে অর্থ ব্যয় কোন প্রয়োজন ছিল না বলে উল্লেখ করেন। কেননা সেখানে হ্রদতো দখলই হয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। হ্রদের জায়গা দখল করতে করতে এমন পরিস্থিতি করা হয়েছে এবং হচ্ছে যেন হ্রদ আর পরিবেশ যাহান্নামে যাক তাতে কি, এসব কোন ফ্যাক্টর নয়, উন্নয়নতো হচ্ছে। এসব অবৈধ দখল নিয়ে স্থানীয় অধিকাংশ মানুষের প্রশ্ন আসলে কাপ্তাই হ্রদের রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্ব কার।

অপর দিকে জেলা প্রশাসকের বাংলো এলাকায় হ্রদের পাশ ঘেঁষে অনেকেই বাসা বাড়ি করছেন তাও হ্রদের জায়গা দখল করে। এর দেখা বসবাসকারীরাও দখল করতে করতে নীচে নামছে। কাপ্তাই হ্রদের জায়গা দখলে কেউ দেখা দেখী কেউ বা প্রতিযোগীতায় নেমেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী অনেইে জানিয়েছেন। আবার একশ্রেণীর দালাল চক্র যত্রতত্র জায়গা দখল করে বেচা কেনা করে যাচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছে। সম্প্রতি আসামবস্তিস্থ সড়কের পাশে জায়গা দখল করলে জেলা প্রশাসন তা ভেঙ্গে দেয়। অন্যদিকে পুলিশ লাইন এলাকারও একই অবস্থা। অনেকে যুক্তি দেখাচ্ছেন শহরের প্রান কেন্দ্রে বেশ কিছু আবাসিক হোটেলসহ, পৌরসভার মার্কেট, ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নির্মান হতে পারলে পরিষদের এ প্রকল্পটির দোষ কি। হ্রদের জায়গা দখল করে নতুন প্রকল্পকে না বলে বরং পুরাতনগুলোর বিষয়ে আইনী ব্যবস্তা নেয়া দরকার। না হয় একটি সময় সবাইকেই পস্তাতে হবে।