বরকলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে যুবদের জুম চাষ শুরু
॥ বরকল উপজেলা প্রতিনিধি ॥
বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড দুমড়ে পড়ে গেছে। দীর্ঘসময় করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার পর পরিবেশ স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পেলে আবার অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড মাথাচাড়া দিয়ে দাড়াতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি পণ্য উৎপাদন,গবাদিপশু পালন ও স্বাস্থ্য খাতে প্রণোদনার সুব্যবস্থায় যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন । বর্তমানেও সরকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধিকরণে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নে যথেষ্ট প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।তারই অংশ হিসেবে রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলায় প্রগতি যুবক যুবতী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সমিতির সদস্যদের নিয়ে জুম কেটে(জমি পরিষ্কার) হলুদ ও মরিচ চাষের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে মরা উজ্জ্যাংছড়ি গ্রামে প্রগতি যুবক যুবতী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বরকল প্রেস ক্লাবের সদস্য নিরত বরন চাকমার নেতৃত্বে জুম কাটা (জমি পরিষ্কার) কাজে অংশগ্রহণ করেন সমিতির সহ-সভাপতি(ভারপ্রাপ্ত) প্রতিময় চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক লক্ষী বিকাশ চাকমা,ক্রীড়া সম্পাদক(ভারপ্রাপ্ত) মানেকধন চাকমা,জয়ন্ত চাকমা, দয়া কুমার চাকমা,মায়া কুমার চাকমা,টিটু চাকমা, গুণ কুমার চাকমা, সুবিমল চাকমা, সুশীল চাকমা,সুমেন চাকমা, কৃষ্ণমনি চাকমা, কৃষ্ণ রঞ্জন চাকমা,দপ্তর সম্পাদক (সাবেক) অধিনাশ্বর চাকমা,প্রভাত চন্দ্র চাকমা,পান্দব চাকমা সহ সমিতির মোট ২৬ জন যুবক অংশ নেন।
সমিতির সভাপতি নিরত বরন চাকমা জানান,সমাজের দূরাবস্থা দেখে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরামর্শক্রমে ২০১০ সালে সমিতির কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে প্রগতি যুবক যুবতী কল্যাণ সমিতি নামকরণ করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় নিবন্ধন করানো হয়।
একইবছরে এ সমিতির কার্যক্রম ভালো দেখে এবং অর্থনৈতিকভাবে সমিতিকে সমৃদ্ধি করতে বরকল ৪৫ বিজিবি জোন থেকে ৫ (পাঁচ) টি গরু কিনে দেয়া হয় এবং গরু খামারের যাবতীয় উপকরণ দেয়া হয়। একইভাবে ২০২১ সালে এসে সমিতির কার্যক্রম সন্তোষজনক হওয়ায় এবং যুবদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, সমিতির সকল সদস্যর এবং সামাজিক দূরাবস্থা দূরীকরণের লক্ষ্যে জ্যোতিময় চাকমার পাহাড় জমি আদা হলুদ চাষের জন্যে সমিতির পক্ষ থেকে চাওয়া হলে তিনি স্বেচ্ছায় রাজি হলে যুবদের নিয়ে জুম চাষের উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়। যারফলে আমরা সমিতির সদস্যরা মিলে হলুদ ও মরিচ চাষের জন্য জুম কাটার কাজ শুরু করেছি।