প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কর্মরতদের সুযোগ রাখা হবে: চেয়ারম্যান নব বিক্রম
হয়তো আর দেখাও হবে না, উন্নয়ন বোর্ড একটি ছায়া এটি কোন পঁচা গাছ নয়
॥ মিলটন বড়ুয়া ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়াম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি (প্রতিমন্ত্রী) বলেছেন, দেশ আপনাকে কি দিয়েছে সেটা নয় বরং দেশেকে আপনি কি দিলেন সেটাই মনে রাখতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কর্মরতদের সুযোগ রেখেই নতুনে নিয়োগ করা হবে। সোমবার (১মার্চ) সন্ধ্যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর অবসরপ্রাপ্ত সহকর্মীদের বিদায় সংবর্ধনা, ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান ও অভ্যন্তরীণ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা-২০২০ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেছেন।
উন্নয়ন বোর্ড এর কর্ণফুলী মিলনায়তনে সন্ধ্যায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মোঃ নুরুল আলম নিজামী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর ভাইস চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব, ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী (উপ সচিব) সদস্য, পরিকল্পনা, মোঃ হারুন অর রশিদ (উপ সচিব) সদস্য, বাস্তবায়ন। বক্তব্য রাখেন, মোঃ জানে-ই-আলম, সাবেক প্রকল্প ব্যবস্থাপক, টেকসই সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প। সুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, আবু বক্কর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ, বোর্ড এর বিদায়ী পরিচ্ছন্ন কর্মী রতন কুমার দে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিদায়ী কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্মাননা ক্রেষ্ট, ক্রীড়া পুরস্কার এবং তাঁদের মেধাবী সন্তান ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি ও সনদপত্রও দেওয়া হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি’র জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেকও কাটেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের উন্নয়নে নিয়োজিত আমার সহকর্মীদের দাবি দাওয়া পূরনে আন্তরিক। কিন্তু সরকারের আইনকেই অনুসরন করে এগুতে হবে। বোর্ড তার নিজস্ব গঠিত নীতিমালাতেই তার বার্যক্রম চলে ইচ্ছে মতোও কিছু করা যাবে না। তবে আমরাও ভাবছি সহকর্মীদের উন্নয়নে আরো কিছু করা যায় কিনা। তিনি বলে আমাদের অকে প্রজেক্ট আসছে কর্মরতদের সুযোগ দিয়েই নতুনদের নিয়োগ করা হবে। স্টাফ কোয়ার্টার করার চেষ্টা রয়েছে। বর্তমান কোয়র্টারে পানির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে। এ আয়োজনে তিনি খুশী তাই আমারও ভালো লাগছে বলে উল্লেখ করেন। প্রত্যেকই যার যার দ্বায়িত্ব সুন্দরভাবে পালনের জন্য আহ্বান করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল আলম নিজামী স্বাধীনতার মাসে সকল শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে যাদের অবদান তাঁদের জানাই শ্রদ্ধা। তিনি বলেন, শ্রীলংকা ও ভূটান সামাজিক উন্নয়নে এগিয়ে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সামাজিক উন্নয়নে উন্নয়ন বোর্ড একটি আলোর দিশারী প্রতিষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন তাঁর উন্নয়ন কল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছেন। আমরাও স্বপ্ন দেখি পার্বত্য চট্টগ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির উন্নয়নে কাজ করতে। তিনি বলেন, লিডারশীপের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, সদস্য, পরিকল্পনা বলেছেন, টিম লীডার যদি নেতৃত্বে স্পীড তৈরী করেন তাঁর পরিচালিত উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান মানুষের এবং দেশের কল্যাণে অবদান রাখবেই। ভাবতে হবে আমরা উন্নয়নেই বদলে দেবো বাংলাদেশ। পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ বোর্ড এর চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দিতে চায় না উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান পশ্চাপদ পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের উন্নয়নে স্বপ্নও দেখেন আবার বস্তবায়নও করেন সেভাবে। মহামারি করোনা -১৯ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কল্যাণে যে উদ্যোগ নিয়েছেন তাতে দেশ ঘুরে দাঁড়াবেই।
মোঃ হারুন অর রশিদ, সদস্য-বাস্তবায়ন, বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের উন্নয়নে উন্নয়ন বোর্ড একটি অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান। স্বল্প সময়ের দায়িত্ব বৃহৎ স্বপ্ন বাস্তবায়নেও পরিপূর্নতা আসে না। উন্নয়ন প্রকল্পের সুন্দর বাস্তবায়নে বোর্ড এর চেয়ারম্যান যে ভাবে স্বপ্ন দেখেন তাঁর দায়িত্বটাও দীর্ঘ সময় হওয়া প্রয়োজন। বোর্ডে’র নতুন প্রকল্পের সুন্দর পরিকল্পনার সুন্দর বাস্তাবায়নও হবে।
টেকসই সামজিক উন্নয়ন প্রকল্পের বিদায়ী ব্যবস্থাপক মোঃ জানে আলম বলেছেন, একটি সময় গিয়েছে উন্নয়ন বোর্ডকে একটি পঁচা গাছ বলা হয়েছিল। অথচ বোর্ড এর উন্নয়ন ভাবনা অবকাঠামোর মধ্যে নেই, এখন মানুষের উন্নয়নেই এগিয়ে যাচ্ছে। আমি গর্বিত যে, উন্নয়ন বোর্ড পশ্চাৎপদ মানুষের উন্নয়নে একটি ছায়া, এটি কোন পঁচা গাছ নয়।
বোর্ড এর বিদায়ী পরিচ্ছন্ন কর্মী রতন কুমার দে তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, বোর্ড এর সবাই খুবই পরিশ্রম করে এগিয়েছেন। আমি আনন্দিত যে আমাদেরকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। আর্শিবাদ রইলো সকলের আগামীটাও সুন্দর হোক, হয়তো আর দেখাও হবে না।