[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে বর্জ্যব্যবস্থাপনা বিষয়ে পৌরকর্তৃপক্ষের সাথে সনাকের অ্যাডভোকেসি সভারামগড়ে টাওয়ার কাজ করছে না নেটওয়ার্ক বন্ধ, চাঁদা না পওয়ায় সমস্যার সৃষ্টি!চারদিন পর ফের চালু চন্দ্রঘোনা ফেরী, মঙ্গলবার ১৬ জলকপাট বন্ধ করা হবেখাগড়াছড়ির রামগড়ে দুই কসমেটিকস্ দোকানীকে জরিমানারামগড়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ট্রাক মালিককে জরিমানাপার্বত্য চট্টগ্রামে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর প্রতি বৈষম্যের অবসান চাই, পৌর কমিটি গঠনে নেতৃবৃন্দতাঁগো মাইরের চোট্টে ভীতু বহুত জেঠা-জেঠি হাটে আসিলেও বস্তা-পেট্ট্রা ফালাইয়া যান বাঁচাইতে দৌঁড়াইয়াছে লগে ফাঠাছেঁড়াও হইয়াছে, চিন্তায় আছি…প্রতিহিংসার চরিত্র লইয়া কেউ ক্ষেমতারে ললিপপ বানাইয়া টানা চুষিয়াছে আর অহন মনে হইতেছে বহুতে চোষাচুষিতে চুম্বুকও ফিট করিয়াছে, চিন্তায় আছি…বন্যাকবলিতদের সচেতনতায় স্থানীয় প্রশাসনের জরুরী উদ্যোগ নেয়া দরকারখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দূর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

জেলা শহরের ফার্মেসী প্রতিষ্ঠানের প্রতি দৃষ্টি রাখুন

৭০

জেলা শহর গুলোতে ভুঁইফোড় ক্লিনিক ডায়াগষ্টিক সেন্টার ও ফার্মেসীর যেন অভাব নেই। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানগুলো আদো মানুষের সেবায় ভালো কাজ করছে কিনা নাকি ভালো কাজের প্রচার দেখিয়ে মানুষকে ঠকাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ইচ্ছেমত কাজ করলেও মানুষ বাঁচার তাগিদে তাৎক্ষনিক ঠকছেন কিনা আগে তার দিকে খেয়াল না রেখেই চিকিৎসা বা বিভিন্ন পরীক্ষা নীরীক্ষাগুলো সারছেন। কিন্তু কোন কোন সময় মানুষের সেবার কথা চিন্তা না করে ব্যবসার কথা মাথায় রেখেই তারা ঠকিয়ে যাচ্ছেন অসহায় এবং সরল মানুষদের। সেবার নামে তারা রোগীকে ব্যবসায়ীক পন্য মনে করছে।

শহরের অধিকাংশ ফার্মেসী রোগীদের জন্য ঔষধ ক্রয়ে নির্দিষ্ট মূল্যের চেয়েও ক্রেতা থেকে বেশী টাকা আদায় করছে। এছাড়াও রাঙ্গামাটির হাসপাতাল এলাকার ফার্ম্মেসী গুলোর একই অবস্থা। ঔষধ ক্রয়ে বেশী দাম আদায়ের নিত্য এ ঘটনা ঘটলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে ক্রেতা সাধারণ অভিযোগ করছেন। অনেকে আক্ষেপ করে বলছেন, ওনাদেরও কি অসুখ হবেনা, অসুখ হলে ওনারা কি হাসপাতালে ভর্তি হবেন না।

স্থানীয় এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগী ও তাদের সাহার্য্যকারীরা অভিযোগ করছেন যে কোন ঔষধ কিনতে গেলেই দাম নিচ্ছে ইচ্ছেমত। কেন এর প্রশ্নের জবাবে ফার্মেসী মালিকরা বলছেন ঔষধ আনতে হচ্ছে কষ্ট করে এবং ব্যয় খরচ দিয়ে তাই দাম একটু বেশী, নিলেও নিতে পারেন। এক ক্রেতা জানিয়েছেন, ফাম্মের্সীর মালিকরা যেন রোগীদের জিম্মী করে রেখেছে। ঔষধের দাম পেকেটের গায়ে যাই লেখা থাকুক তাদের দাবিটাই দিতে হবে। হাসপাতাল এলাকার হিলকো মেডিকেল হল এবং গ্রায়ত্রী ড্রাগ সাপ্লাই এর মালিকরা শুধু ঔষধ নয় ইঞ্জেকশনের ৭ টাকার সিরিঞ্জ এর মূল্য নিচ্ছে ১০টাকা। অথচ সেখানে ব্যবসায়ীর জন্য কোম্পানীর লাভও দেয়া আছে। ফলে রোগীর সাথে আসা সেবাদানকারীরা শহরের বনরূপা অথবা অন্য বাজার থেকে ঔষধ কিনে নিয়ে যেতে হচ্ছে। তাই কোন কোন সময় নিদিষ্ট ঔষধ আনতে দেরী হলে সেবনের আগেও রোগী মারা যায় যায় অবস্থা হচ্ছে।

অপর দিকে শুধু হাসপাতাল এলাকা নয়। শহরের ব্যস্ততম বাজার গুলোতেও একই অবস্থা। কোন কোন ফাম্মের্সীর মালিকরা ক্রেতা বুঝে ইচ্ছেমত দাম নিয়ে নিচ্ছে ঔষধের। আবার কোন কোন ফার্ম্মেসীর মালিকরা জানিয়েছেন, ঔষধ কোম্পানীগুলো তাদের দেয়া মূল্যের মধ্যে ব্যবসায়ীদের জন্য লাভ দেয়া হচ্ছে সেখানে ক্রেতা থেকে নির্দিষ্ট মুল্যটাই নেয়া হচ্ছে। আবার অনেক ব্যবসায়ী নিজ লাভের অংশ থেকেও ক্রেতাদের নিকট কমও নিচ্ছে। তাছাড়াও ঔষধ কোম্পানীগুলো বাকীতেও ফাম্মের্সীতে ঔষধ সরবরাহ করছে। পরে সপ্তাহে, এক পক্ষে অথবা মাস ভিত্তিক ঔষধের টাকা পরিশোধ করছে ফার্ম্মেসীর মালিকরা। এতে করে ক্রেতাসাধারনের থেকে বেশী নেয়ার প্রশ্নই আসেনা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারনে ভালদেরও দূর্নাম হচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কিছু ঔষধ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। কিন্তু যারা ঔষধ কোম্পানীর সুবিধাও নিচ্ছে আবার ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের উচিৎ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া।