প্রতারকদের বিচার হোক, অসহায় নুসরাতদের পাশে থাকুন
পূর্ব পরিচয়, প্রেমের প্রলোভন, ভয়-ভীতি সহ নানান কৌশলে এবং অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে দেশের নারী সমাজকে যেন গিলে খাচ্ছে স্বার্থানেস্বি কিছু যুবক বা মানুষ। প্রতিনিয়তই এমন হচ্ছে নারীদের সাথে। কোথাও কোথাও নারীরা সব হারিয়ে নিজেকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে, আবার কোথাও কোথাও তাদের অসহায়েত্বের সুযোগ নিয়ে মরার উপর খরার ঘা এ পরিনত করা হচ্ছে। তারা বাড়ী ঘর থেকেও বিতাড়িত হচ্ছেন। দেশের কোন না কোন স্থানেই এসব ঘটনার চলমানই রয়েছে। নারী সমাজ তদের অধিকার নিতে স্বপ্রনোদিত হয়ে বা সমাজের সহায়তা নিয়ে নতুবা একাই লড়াই করে যাচ্ছেন এমনও দেখা যাচ্ছে।
রাঙ্গামাটি শহরেও এরকম অনেকের মধ্যে একজন নিজের অধিকার নিয়ে একাই এগিয়ে এসেছেন। কেননান তিনি বিশ্বাস আর ভালোবাসর মর্যাদা দিতে গিয়ে বিয়ের প্রলোভনের পিড়িতে বসে সব হারিয়ে এখন বিশ্বাসঘাতক এর বিচার চাইতে প্রমাসনের নিকট নিবেদন জানিয়েছেন। শুধু তাই নয় তিনি স্ত্রীর মর্যাদা পেতে নয় একজন প্রতারকের বিচার পেতে এ দাবি করেছেন। কেননা তার বিশ্বাসের অমর্যাদা করে আত্মসম্মান সব লুন্টন করেই প্রতারক ইমরান খাঁন মুন্না এখন তাকেই অস্বিকার করছে সেই কারনেই এই নারী তার বিচার দাবি করেছেন। সম্প্রতি রিপোটার্স ইউনিটি এর কার্যালয়ের পাশে রাঙ্গামটি প্রেস ক্লাব এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্স্বশান্ত নুসরাত জাহান বলেছেন স্ত্রীর অধিকার নয় বরং প্রশাসনের কাছে প্রতারক স্বামী নৌবাহিনীতে কর্মরত ইমরান খাঁন মুন্নার বিচার চেয়েছেন। এসময় অসহায় নুসরাতের পাশে ছিলেন নুসরাতের বড় বোন নারভিন আক্তার, চাচাতো ভাই নাঈম, প্রতিবেশী ইয়াসমিন আক্তার এবং পলি।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করে বলেন, ২০১৭ সালে ৫ মে ভুক্তভোগী নুসরাতকে বিভিন্ন প্রলোভন ও লোভ লালসা দেখিয়ে চট্টগ্রামের বায়েজিত বোস্তামি মাজারে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে ইমরান খাঁন মুন্না। এরপর বিয়ের কাবিনের অঙ্গীকার নামা চাওয়া হলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রতারক মুন্না তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি এ ঘটনা জানাজানি হলে তার পরিবার মুন্নার জন্য মেয়ে দেখে। এ খবর নুসরাত জানতে পারলে তার সাথে মিথ্যা কথা বলে মুন্না। পরে এক পর্যায়ে তাকে অস্বীকার করে প্রতারক মুন্না। বর্তমান মানবেতর জীবনযাপন করছেন ভুক্তভোগী নুসরাত। অধিকার চাইতে গিয়ে এবং তার সাথে যাই ঘটেছে ঐসব ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ১১ থেকে ১২টি মামলা দায়ের করে উল্টো নুসরাতের বাবা ও সৎ মা’কে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে প্রভাবশালী মুন্নার পরিবার। নুসরাত বিচার চেয়ে রাঙ্গামাটি কোতয়ালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রতারক ইমরান খাঁন মুন্না কলেজ গেইট এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। বর্তমানে খুলনা জেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত আছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।
ঠিক এবাবেই আমাদের সমাজে অনেক নারীই বিশ্বাস আর ভালোবাস বা বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে গিয়ে র্স্বশান্ত হচ্ছেন। অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যখন অধিকার নিয়ে কথা বলছেন তখন নানান হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাদের পাশে থাকার আকুতি জানাচ্ছেন। বাড়ি থেকে বিতাড়িত এই অসহায় নারী আমাদেরই মেয়ে, আমাদেরই মা, আমাদেরই বোন তার এই অসহায়ত্বকে সাহস যোগাতে, প্রতারকের বিচার দাবিতে আমাদের সকলেই সহযোগীতা করতে হবে। কেননা দেশে আরো অনেক নুসরাত রয়েছে যারা প্রতিনিয়তই ঠকে আসছে। প্রতারকদের বিচারে তাই অসহায় এসব নুসরাতদের পাশেই থাকতে হবে-থাকুন।