[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-৪৩

বার্তায় মনে হইলো মঙ্গলরে বুধে গিলিয়াছে, ট্রাম্পেরেও শেষমেষ ড্রামে ভরিয়াছে হেই দেশের জনগণ

৭৫

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও নানান চরিত্রের অবাধ্য জীবানু করোনা-১৯’র অত্যাচার, তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, হতভাগা, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপুনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৪৪ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপুনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় নিয়া ভালামন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুক্ষ্ম চিন্তায় পাহাড় শাসনের সুক্ষ্ম ব্যবস্থাপত্র বানাইবেন।

পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো আমি অভাগা পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপুনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো দূর্বিফাঁকে পড়িয়া মইধ্যে মইধ্যে চোখে ঝাপসাও দেখি। মা’রে পার্বত্য চট্টগ্রামেও সন্ত্রাসীরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া বন্দুকের নলায় খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পর্বতের বহু ওস্তাদের দলাদলী বলাবলি লইয়া পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। ক’দিন বিরতি থাকিয়া আবার ঢুঁস করিয়া ফুটায়। চরম নরম ভক্তের অধিকারী সন্ত্রাসীগোর লাগাতার অত্যাচারে অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেই আছে, বৈদ্য ওজাতেও ফলাফল শুন্য। অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে, চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে-চাপড়াইতে জানপরান হেই আছে হেই নাই। উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপুনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে হ¹ল কাইজ কামের মইধ্যেও একটু টাইম দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি, কলকাঠির পিছনে কারা চিহ্নিত করেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা সমালোচনা হইলো….

মা’গো দুই পাহাড়ের পৌরসভার নির্বাচনী হাবা-বাতাসেতো তলে তলে বহুতে একে অপরের বিরুদ্ধে বান চালাইতেছে। ভালোর আশায় দলের মার্কা লইয়া চেয়ারে বসিলেও মানতো বাড়ায় নাই। আকবর দাদু না না হুনিলেও পরেতো হাঁ হইয়া গেল। গোঁমড়া মার্কা এই দাদুর হোঁমড়া ছোঁমড়া ঠিক থাকিলেও পাহাড় শাসনের চিন্তুকরাতো আচমকা হোঁচট খাইয়াছে মনে হইতেছে। সনাতনের চান্দি গরম এক দাদু কহিলো অমর-রে মারিতে বহুত চক্রান্ত নাকি হইয়াছে শেষমেষ আপিলে জিন্দা। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীর মনোনয়ন নাকি লুট করিয়া নিয়া যাওয়ায় বেচারা ঘরে বসিয়া গিয়াছে। মাদার ডিস্ট্রিক্টের নির্বাচনে আমামীলীগের প্রার্থীরে লইয়া বহুতে বেহুঁস হইলেও কেউ কেউ ভিন দিকে হুঁস-ফুঁস করিতেছে। তয় মা’রে উন্নয়নের জোয়ারে এই সময়ে প্রার্থী লইয়া ভাবনের দরকার আছিল। অজ্ঞরে বিজ্ঞ বলিয়া সাইনবোর্ড লাগাইয়া দিলেই যে বিজ্ঞ কহিবে তার হিসাবতো ভোটার দাদু-দিদিরা মিলাইতে পারিতেছে না। তয় সাবেক এক মেয়র দাদুর বার্তায় মনে হইলো মঙ্গলরে বুধে গিলিয়াছে।

মা’গো খাগড়াছড়ি পাহাড়ের আমাগো সতীর্থ এক দাদু কহিলো ভোটারগণ ভোট দিতে বুথে ঢুকিয়া তন্ত্রমন্ত্র বক্সে খালি নৌকা মার্কাই দেখা গিয়াছে। মধ্য বয়সী এক দিদি ভোট দিতে গিয়া মার্কা খুঁজিতে যাইয়া রীতিমতন হইচই ফালাইয়া দিয়াছে। ঐ সাংবাদিক দাদু নারীর চেঁচা-মেছিতে ক্যমরা অন করিয়া ধম্ ধম্ বিলিও করিয়াছে। রফিক দাদু তাইনের চেলা চামুন্ডা লইয়া তোরজোড় চালাইলেও শেষত্তক তিন খানা মামলা তাইনের ঘারে ঝুলিয়াছে। নেতৃত্বের চেয়ার বোবা মার্কাগোর দলে চলিয়া গেলে তত্যেপত্রেও হাবাগোবা হইয়া বসিবে। নির্বাচনে হেই পাহাড়েওতো জোর যার মুল্লুক তার হইয়াছে। বান্দরবানেও নগরের দাদু-দিদিরা হেই ধুলাবালির মইধ্যে জীবন পার করিতেছে। হেইখানের টমটমের বহুত চালক দাদুরাও কহিলেন পৌরসভায় আবারো বেবীতে ঠেকিল। আমাগো মুন্ত্রী বীর দাদু উন্নয়ন চালাইয়া গেলেও বেবী নাকি নগর দাদু-দিদিগোরে গেল পাঁচখানা বছর ধুলাবালিতে রাখিয়াছে। তয় এই বার ঐ পাহাড়ে নাকি যুবকেরও দরকার আছিল, যাউ¹া হেইসব কথা, হেই পাহাড়ের চিত্র যা ফুটিতেছে মাদক চোরাচালানের দল ভারি হইয়া পাচার কাইজ বাস্তবায়ন করিয়া যাইতেছে।

মা’জননীগো দেশের দাদু-দিদিরাতো ফিক্কা দিয়া টিকার দিন গুনিতে গুনিতে এখুন টিকা নিবে কি নিবে না তা লইয়া জাতি ধোঁয়াশায়। দেশ ও জাতির উন্নয়ন লইয়া চক্রান্ত, বেঈমানের সংখ্যার যেন শেষ নাই। যে পিতা স্বাধীনতা, ভাষা, খাবার, থালা-বাসন, কাঁথা কম্বল, জীবন জিবীকাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার অধিকার প্রতিষ্ঠা করিয়াছে তাঁর ভাস্কর্য লইয়া চক্রান্ত হইয়াছে। কলকাটির পিছনে কারা একটু ঘুটা দেন। আপুনিওতো কহিলেন বঙ্গমাতা জাগোরে রান্নাবান্না করিয়া খাওয়াইয়াছেন বঙ্গবন্ধু হত্যার পিছনে তাঁগোরও ইন্ধন রহিয়াছে। শয়তানের গুষ্টি আচমকা ঘটনা ঘটাইতে প্রস্তুত। বেঈমানদের বিষদাঁত ভাঙ্গিতে পিছনে থাকনের সুযোগ নাই। টিকা লইয়া এই অন্ধকারও কাটাইতে হইবে। দেশেরে যেইভাবে আগাই নিয়া গেছেন তার লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করিতেই হইবে। জাতির উন্নয়নে দরকার হইলে ঘরে ঘরে ঢুকিয়া টিকা মারিতে হইবে।

মা’গো বরিশালে পুলিশের নির্য়াতনে আইনজীবির মৃত্যুর হেতু কি দেখনের উচিত। চোরের দলতো আকাশে উড়িতে উড়িতেই বিমানে আকাম চালাইতেছে। ঔষুধ বিক্রেতা নাসিরের রোহিঙ্গ্যা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহের পিছনে আরো কারা ফোকাস করিতে আদেশ করেন। বজ্জাতের হাড্ডি ইরফান সেলিমতো ফটক খুঁজিতেছে, এই শয়তানের গুষ্টিরাই দেশের মান ইজ্জত ঢুবাইতেছে। কাউন্সিলর মোল্লার এত আস্ফালন দেখাইতে শক্তি যোগার হইতেছে কোত্থেকে। ফয়সাল দাদু কহিলো গাজীপুরের আমামীলীগ ইউনিয়ন নেতার জাদুতে খাল-নদী নাকি জমি হইয়া গিয়াছে। তয় তাইনেতো জাদু দিলেই দেশ হইতে করোনাও ফুরুত করিয়া উড়িয়া যাইবে, এত্তকিছুর দরকার কি। এই ছেঁছড়া চোর চাট্টাগোরে খেদাইয়া দেন। পাপিয়ার মতন আরো পাপিগোর দিন শেষ করেন। মা’গো তাপস-খোকন-কাদের-মির্জাগোর চ্যাপ্টারে পেপার ওয়েট দেন।

মা’জননীগো দুর্নীতি করিয়া দেশের টাকা খালি পাচারই হইতেছে। এইবার ফরিদপুরের দুই ইউপি চেয়ারমন দুই হাজার কোটি টাকার দুনীতির মামলায় কারাগারে। নৌকায় ভোট না দিলে কেন্দ্রে না যাইতে হুমকী দিয়া বগুড়ার স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শাহীনের ঔদত্য। এই নেততো আইন, প্রশাসন আর দলরে ডুবাইতে ম্যান্ডেট যোগাইতেছে। আদালতেরও উচিত দেশ কার শাসনে চলে তা বুজাইতে শাহীনরে জেলে ভরাই দেওনের। বরিশালে আমামীলীগের লেউচ্চ্যা নেতা সোহাগরেতো গণধোলাইয়া দিয়া পুলিশে দিলে তাইনের কেউচ্চ্যা বাহিনী সড়ক-নৌপথ অবরুদ্ধ করিয়া প্রশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়াইয়াছে। হাবিব দাদু কহিলো কেরাণীগঞ্জের আটাইশ মামলার চরম আসামী গলাকাটা সিদ্দিকের কিচ্যাকাহিনীতো বহুতের চোখ কপালে উঠিলেও বহুতে বন্ধ করিয়া রাখিয়াছে। তাইনে নাকি পুলিশের শীর্ষ এক দাদুর ছায়ায় চলে। এই ক্যাডারের চেলাচামুন্ডাসহ গলাকাটা অপরাধের কক্ষপথের হিসাবও বহুত। জাসদ নেতা হামিদুলের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করিবেন। উল্লা দাদু কহিলো চাঁটাগার শিবির ক্যাডার নাকি আমামীলীগের নিয়ন্ত্রক, এইডা হইলো ভবিষ্যতের যন্ত্রণাদায়ক। বিবেকের রক্তও ফিনকি দিয়া বাহির হইতেছে। মানবপাচারকারি অমানবিক এমপি পাপুলের নামে কেচি বসাইয়া দেন। মা’রে আপুনার বহুত নেতার জানা উচিৎ ক্ষমতাধর দেশ আমেরিকার ট্রাম্পেরেও শেষমেষ ড্রামে ভরিয়াছে হেই দেশের জনগণ।

মা’জননীগো জাতির জনকের জন্মশতবর্ষে ভুমি ও গৃহহীন পরিবাররে ভুমি ও ঘর দেওন মহা পূন্যের অধিকারী হইলেন। এই হইলো সব হারানো দুঃখী মা’য়ের সুখী কাম। আপুনি পরিবার হারা হইলেও দেশের পরিবারগোরে এক গোছে রাখিতে বহুত খাটুনি খাটিতেছেন। আপুনি যেইভাবে দেশের মানুষ আর দেশরে আলোকিত করিতেছেন যাহারা দূর্নাম রটাইতেছে দলের হোক আর বাইরের হোক কোন ছাড় নয়গো মা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা মজুবত সোনার বাংলায় রূপান্তর হইবোই। মায়া দেখাইতে গেলে অপমান-অপদস্ত-দূর্নামের ভার কান্ধে লইতে হইবে। স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু হ¹লই কান্ধে লইয়াছেন তয় রাক্ষস খোক্ষসরা যে চরিত্র বদলাইতে পারে নাই তারই প্রমাণ বঙ্গবন্ধুসহ তাইনের স্ব-পরিবার হত্যা।

মা’গো দেশব্যপী নারীর সম্ভ্রমহানির ঘটনায় বহুত মা-বোন ঘুঁঘড়িয়া কান্দিতেছে। দেশের রাজধানী হইতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরা ধর্ষণ নির্যাতনের শিকার হইতেই আছে। এমুন কোন দিন সপ্তাহ নাই ধর্ষণ হইতেছেনা। মা’রে এইভাবে নারী ধর্ষণ ঘটনাতো দেশের সুনাম রক্ষা করণ মুশকিল হইয়া যাইবে। বিশ্বের দরবারেও রাষ্ট্রের সম্ভ্রম হানি হইতেছে। দেশের পুত্রিকা লইয়া বসিলেই খালি দেখা যায় নারী ধর্ষণ ঘটনার নানান কিছিমের লজ্জ্যা। দেশেতো ধর্ষণ ঘটনা কমিতেছেনা, চাঁটগাঁয় ধর্ষনের সাক্ষ্য দিতে গিয়া এক নারী উল্টো ধর্ষনের শিকার হইয়াছে। রাজধানীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালও ছাত্রী ধর্ষণে জড়িত। নোয়াখালীতে আবারও বিবস্ত্র করিয়া গৃহবধুকে নির্যাতন। হেইখানে ধর্ষক কিছুরে জীবন হইতেই খালি করিয়া দিতে কহেন। টাঙ্গাইলে আদিবাসী নারী নির্যাতনে জড়িতদের বাহির করিতে ওয়ার্ডার করেন।

মা’রে লাট্টালাট্টি, খুনো খুনির ঘটনা লইয়া চাঁটগার মেয়র-কাউন্সিলর নির্বাচন হইয়াছে। কারে কে লটকাইবে ফটকাইবে এইসব লইয়া ভাইও ভাইরে খুন করিয়াছে। নির্বাচনে আমেজ আছিল তয় আবেগতো ঐ লাট্টলাট্টির মইধ্যে বন্ধী ছিল। চাঁটগার কিশোর গ্যাংকতো অপ্রতিরোধ্য, যোগ হইয়াছে কিশোরীও। ইয়াবার বিনিময়ে অস্ত্রও পাচার হইতেছে। ইয়াবা লইয়া জামাই শ্বশুরও ধরা খাইয়াছে। নগরেতো তলে তলে আরো পুকুর দীঘিও গিলিতেছে। ছেঁচড়া ফারুক তো ব্যয়বহুল হোটেলে বসিয়া নানান কিছিমের লুটের স্যাটেলাইট বসাইয়াছে। কর্ণফুলিতে চোরাই দলের সিন্ডিকেটতো ভারী।

মা’গো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালা-মন্দে আপুনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি হ¹ল উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে তারমইধ্যে যোগ হইয়াছে বিশ্বশক্তিধর করোনা। হুট করিয়া হৃদমাজারে ধরে আর মারিয়াই ছাড়ে। এমনিতে কুটি কুটি দাদু-দিদিরা মানব সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে পিষ্ট। মা’রে মানবতাবিরোধীগোর এইসব কাইজ কাম বধ্ করিতে আপুনার নেতা-নেত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।

মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, কথা হইলো আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালা থাকিবেন। আইজ এই পর্যন্ত।

ইতি,
আপনারই কুঠি কুঠি দাদু-দিদির পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনা এস.এস.বি.এম, তারিখ- ৩১ জানুয়ারী, ২০২১ খ্রীঃ