[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে ১৩মাস পর পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারজিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কাপ্তাইয়ে দুস্থদের মাঝে চাল বিতরণবান্দরবানে খুলে দেয়া হয়েছে লামা উপজেলার সকল রিসোর্টসীমান্তে পুশইন ও চোরাচালান ঠেকাতে তৎপর রয়েছে বাঘাইহাট বিজিবিলংগদু উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিজিবির টহল জোরদার: লে. কর্ণেল নাহিদ হাসানরাঙ্গামাটিতে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক আটকপুশইন ও চামড়া পাচার রোধে রামগড় ৪৩ বিজিবির নিরাপত্তা জোরদাররাজস্থলীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনচামড়া পাচার ও সীমান্ত দিয়ে পুশইন ঠেকাতে বিজিবি টহল বাড়িয়েছেমাটিরাঙ্গা সেনা জোন কর্তৃক ঈদ উপহার ও মানবিক সহায়তা প্রদান
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

লক্ষীছড়িতে দিনে দুপুরে বনদস্যুকর্তৃক সেগুনবাগান কর্তন

৭৭

॥ লক্ষীছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি ॥

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলার ডিপি পাড়া এলাকায় বনদস্যুর দল আবারো প্রকশ্যদিবালোকে অন্যের গাছ কেটে পাচার করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২২জানুয়ারী) দুপুরে এ ঘটনা ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সুত্র এবং ফরেষ্ট বিভাগ জানিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে সকলে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে ১০/১৫ জনের এক দল সন্ত্রাসী লক্ষীছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী মিয়া মাতব্বরের সেগুন বাগানের গাছ কেটে নিয়ে যায়। এ ঘটনা তাৎক্ষনিক লক্ষীছড়ি ফরেস্ট বিটের কর্মকর্তাকে জানালে বনবিভাগের লোকজন আসলে সন্ত্রাসীরা গাছ রেখে পালিয়ে যায়। বিট কর্মকর্তা প্রনব এ বিষয়ে জানান চিহ্নিত বন দস্যুদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেবেন। বন দস্যুরা প্রতিনিয়ত ময়ুরখীল এলাকার নিরীহ মানুষের বন বাগান কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কোন ধরনে কথা বললে উল্টো বনবাগান মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

স্থানীয়রা আরো জানায়, বাগান কাটার সময় ওই বন দস্যুদের একদল সন্ত্রাসী দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে সড়ক পথ পাহাড়া দেয় এবং মানুষের সৃজিত মূল্যবান গাছ বাগান থেকে কেটে নিয়ে যায়। শুক্রবার আলী মিয়ার মাতাব্বরের বাগানের গাছ কেটে নিয়ে যাবার ঘটনা ঘটেছে। কাটা গাছ দিনে নিতে না পাড়লে রাতে ইট ভাঁটিতে সরবরাহ করে দিচ্ছে। এই সংঘবাদ্ধ বানদস্যুরা একের পর এক পাহাড়ি বাঙ্গালীর সৃজিত বাগান ধবংস করে দিচ্ছে। তাদের অত্যচারে সমগ্র ময়ুরখীলের লোকজন বাগান রক্ষায় দৃশাহারা হয়ে পড়েছে। এসব ঘটনায় রফিক বাগা, রতন মিয়া, সুরুজ মিয়া, আশ্রাব আলী ও সফিক এই দলের নেতৃত্বদেয়। এদের মধ্যে রতন মিয়ার বিরুদ্ধে ৮টি বন মামলা রয়েছে বলে লক্ষীছড়ি থানা সূত্রও জানিয়েছে। অন্যান্যদের বিরুদ্ধে একাদিক মামলা রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে লক্ষীছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে বিষয়টি বনবিভাগ দেখছে বলে জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি বনবিভাগকে দেখার জন্য বলেছেন বলে জানান। এই অবস্থায় বাগান মালিকরা তাদের গাছ বাগান রক্ষার জন্য প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপকামনা করেছেন।