লামায় অসহায় কৃষক সেলিম বিচার পাবে তো !
॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
দিনমজুরী ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন মোঃ সেলিম (৪০)। পাহাড়ের মাটিতে হেসেখেলে বড় হলেও নেই তেমন কোন সহায়-সম্পদ। জীবিকার পাশাপাশি লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে চাককাটা এলাকায় একখন্ড ৫ একর পাহাড়ে ২০/২৫ বছর যাবৎ সৃজনশীল একটি বাগান করে তা বিক্রি করে মেঠান পরিবারের নানা চাহিদা। কোনমতে চলছিল তার সংসার। সে চাককাটা এলাকার মোঃ আব্দুস শুক্কুরের ছেলে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মোঃ সেলিম এর আবাদী ৫ একর পাহাড়ে একাশি, বেলজিয়াম সহ নানা প্রজাতির ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী গাছের বাগান রয়েছে। এই একখন্ড জমি সরকারিভাবে বন্ধোবস্তি নিতে সে হেডম্যান রিপোর্ট নিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করে।
মোঃ সেলিম বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে লামা উপজেলা থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরজমিনে গিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তার জমির সীমানা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু এরমধ্যে গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ইং বৃহস্পতিবার ৩০/৪০ জন ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে রাতের আধাঁরে পাশর্^বর্তী প্রভাবশালী আব্দুল মাজেদ বুলবুল (৫৫) তার জায়গা হতে সৃজনশীল একাশি ও বেলজিয়াম বাগান সহ প্রায় ১ একর জায়গা কাটা তারের বেড়া ও পিলার দিয়ে জবরদখল করে নেয়। আমি স্থানীয় মেম্বার ও পুলিশ ফাঁড়িতে গেলেও আমার অভিযোগটি কেউ আমলে নেয়নি। আজ-কাল করে করে আমাকে ঘুরাচ্ছে। লোকমুখে শুনেছি এরমধ্যে আব্দুল মাজেদ বুলবুল আইনীভাবে হয়রাণী করতে লামা থানায় আমার নামে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। সে স্থানীয় কারো বিচার মানে না। আমাকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে নিরবে জায়গা ছেড়ে দিতে, না হয় আমাকে দেখে নিবে ! আব্দুল মাজেদ বুলবুল ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুমারী এলাকার আরশাদ আলীর ছেলে।
এই বিষয়ে কথা হয় আব্দুল মাজেদ বুলবুলের সাথে। তিনি বলেন, আমার জায়গা আমি লোকজন নিয়ে কাটা তারের পিলার দিয়ে ঘেরা দিয়েছি, কে কি বলবে ?
ফাঁসিয়াখালী ইউনয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মোঃ আলমগীর চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমি ভেঙ্গে দিব বলেছি। আব্দুল মাজেদ বুলবুল সাহেব আমার কথা না শুনে কাটা তারের বেড়া দিয়েছে। তবে এই জায়গাটি দীর্ঘদিন যাবৎ মোঃ সেলিম দখলে রেখে আবাদ করে আসছিল।