রাঙ্গামাটি জেলায় শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে- কাজল তালুকদার
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটিতে শিক্ষার মান্নেয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছ বলেছেন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়াম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার। বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কক্ষে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-টিআইবি, রাঙ্গামাটি কর্তৃক আয়োজিত অ্যাডভোকেসি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় জেলা পরিষদ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিজাউল করিম খন্দকার, নির্বাহী প্রকৌশলী- মোঃ এরশাদুল ইসলাম সনাক ও জেলা পরিষদ সদস্য সাগরিকা রোয়াজা, সনাক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, গৈরিকা চাকমা, মোহাম্মদ আলী উপস্তিত ছিলেন। এছাড়া সভায় ঝরিংং অমবহপু ভড়ৎ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ধহফ ঈড়ড়ঢ়বৎধঃরড়হ (ঝউঈ) প্রতিনিধি সাবিনা ইয়াসমীন লুবনা ও টিআইবি চট্টগ্রাম ক্লাস্টারের ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর মোঃ জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
চেয়ারম্যান আরো বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোতে ই-লানিং এর ব্যবস্থা করা হবে। এনটিআরসিএ এর মাধ্যমে বাইরের অঞ্চল থেকে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা খুব বেশীদিন চাকুরী করেন না। চাকুরী ছেড়ে চলে যায় ফলে পার্বত্য এলাকায় শিক্ষক সংকট থেকেই যায়। জেলা পরিষদের মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পদায়নের জন্য গনিত, ইংরেজী ও বিজ্ঞান বিষয়ে কিছু শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে। তারা নিয়োগপ্রাপ্ত হলে মাধ্যমিক শিক্ষায় গতি আসবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়াও তিনি জটিলটা কাটিয়ে খুব শীঘ্রই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে জানান।
টিআইবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর বেনজিন চাকমা এর সঞ্চালনায় সনাকের পক্ষ থেকে বক্তারা মানিকছড়ি প্রিয়মোহন দেওয়ান পাড়া সরকারি বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার রাস্তাটির স্থায়ী মেরামত ও সিঁড়িতে রেলিং প্রদান, সাপছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বাথরুম ও বিদ্যালয় সংস্কার, মগবান ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের জন্য বসার জন্য চেয়ার, ফ্যান ব্যবস্থা করা, জালিয়া পড়া সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়ের ঝুকিপূর্ণ ভবন সংস্কার, বলপিয়ে আদাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার রাস্তাটি উচুঁকরণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। চেয়ারম্যান সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি সনাকের শিক্ষা উপকমিটির আহ্বায়ক অঞ্জুলিকা খীসা বলেন, সনাক দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করে তোলার চেষ্টা করে। প্যাকটা প্রকল্প তেমনি একটি প্রকল্প যা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণকে একতাবদ্ধ প্রতিরোধ করতে কাজ করবে। এ প্রকল্পের আওতায় আমরা অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপ (এসিজি) এর মাধ্যমে তৃনমূল পর্যায়ে কাজ করছি। প্যাকটা প্রকল্পের অধীনে কমিউনিটি মনিটরিং এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি কমবে বলে আমরা আশা করি।