[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লামায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট এর জরিমানাচলতি ডিসেম্বরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ই-লার্নিং স্কুল চালু করা হবে- পার্বত্য উপদেষ্টাতথ্য অফিসের আয়োজনে বাঙ্গালহালিয়ায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিতকাপ্তাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক টাইফয়েড টিকাদানে উঠান বৈঠকরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধনে, শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠেঅনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে১০আর.ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থীদেও মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণদীঘিনালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ফায়ার সার্ভিসের মহড়াখাগড়াছড়ির রামগড়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বাংলাদেশ কোনও ইসলামিক রাষ্ট্র নয়, আমি সকল সম্প্রদায়ের উপদেষ্টা

|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ কোন ইসলামী রাষ্ট্র নয়, এটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। কোন সম্প্রদায়কে ধর্মীয়, সামাজিক বা অন্য কোনোভাবে বঞ্চিত করাও ঠিক নয়। এটা আমার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব এবং সবাইকে নিয়েই রাষ্ট্র চালাতে হবে। শনিবার (১১অক্টোবর) দুপুরে পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমী হল রুমে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ওলামা পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা হাজী শরিয়ত উল্লাহ্। এতে অতিথি ছিলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ছাদেক আহমদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সকলের মাঝে সম্প্রীতি থাকা দরকার। কেননা দেশের উন্নয়নের ভিত্তি হচ্ছে সম্প্রীতি। কোন একক নয় আমি সকল সম্প্রদায়েরই উপদেষ্টা। আমাদের দেশের সকল সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকল ধর্মের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ আছে। আমরা সকলের উন্নয়নে সমান অধিকার নিশ্চিতকরতে চাই।

সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের উদ্দেশ্য করে উপদেষ্টা আরো বলেন, বাংলাদেশ কোনও ইসলামিক রাষ্ট্র নয়, এটি সেক্যুলার (ধর্মনিরপেক্ষ) রাষ্ট্র এবং আমার সংবিধানও সেক্যুলার। আমিতো একক কোন ধর্মের উপদেষ্টা নই, তাই আমাকে সব ধর্মীয় স্থানে যেতে হবে। জনগনের সম্প্রীতি ও উন্নয়নের কাজে এটা আমার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। মসজিদে যেমন যাই, তেমনি দায়িত্ব পালনের জন্য আমি মন্দিরে-চার্চে এবং বিহারেও যাই। সবাইকে নিয়েই আমাদের রাষ্ট্র চালাতে হবে। কোন ভেদাভেদ করা যাবে না এবং অপপ্রচারে কার্ণপাতও করবেন না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সুন্দর একটি নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত জনগনের প্রতিনিধির হাতে দায়িত্ব অর্পণ করে আমরা বের হতে চাই। দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে আমিও আমার ঘরে থাকবো, বিদেশে পালিয়ে যাবো না। সরকার ফেব্রæয়ারীতে নির্বাচনের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। ফেব্রæয়ারীতে নির্বাচনের বিষয় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর প্রেস সচিব বরাবরই তথ্য দিয়ে আসছেন। নির্বাচন নিয়ে কোন শঙ্কা থাকলে সেটি নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে মনিটর করে যা যা করার করবেন। তবে নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি শতভাগ।

পৃথিবীর কোন দেশে জাতিগোষ্ঠির মধ্যে সংঘাত হলে সে রাষ্ট্র বা দেশ কোন দিন উন্নতি করতে পারে না। উন্নয়নের জন্য জাপান সরকার সুদে টাকা দেয়। আমাদের সরকার সেই সুদের টাকা দিয়ে উন্নয়ন করে। সুদের টাকায় বানানো রাস্তা, মেট্রোরেল ও ওভার ব্রিজে আমরা চলাচলও করছি। বাংলাদেশ কোন ইসলামী রাষ্ট্র নয়। আপনি অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে যাবেন কিনা সেটা আপনার দায়িত্ব। আমার দায়িত্ব কোথাও কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা তাই সেটাও দেখার জন্য আমাকে যেতে হয়।