বান্দরবানের লামা পর্যটন সম্ভাবনাময়: বিভাগীয় কমিশনার
\ নিজস্ব প্রতিবেক \
বান্দরবানের লামা উপজেলা সরকারি পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দিন। পরিদর্শন শেষে মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতার সময় তিনি উপজেলার সার্বিক বিষয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
বুধবার (৮অক্টোবর) দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার লামা পৌঁছলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে লামা থানা পুলিশ তাকে গার্ড অব অনার দেয়। এ সময় লামা উপজেলা প্রশাসক নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈন উদ্দিন ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দাপ্তরিক প্রধানগন বিভাগীয় কমিশনার ও সফরসঙ্গী বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনিকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
প্রশাসনিক পরিদর্শন শেষে দুপুর ২টায় বিভাগীয় কমিশনার লামা উপজেলা প্রশাসন হলরুমে দাপ্তরিক প্রধানদের সাথে মতবিনিময় করেন। পরে বিকেল ৪টায় মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে সেখানে ‘বনরতœা’ নামকরণে একটি গেস্ট হাউস উদ্বোধন করেন। এসময় চা চক্রের ফাঁকে স্থানীয় সাংবাদিকরা লামা উপজেলার পর্যটন সেক্টর ও সাধারণ মানুষের কষ্টকর জীবনযাত্রার বিষয়ে নানা দিক উত্থাপন করেন।
বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক এর মনোযোগ আকর্ষণ করে লামা মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে লামার ‘মিরিঞ্জা’ সারাদেশের ভ্রমণ প্রিয় মানুষের অন্যতম পছন্দের জায়গা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতিদিন শতশত পর্যটক লামায় আসছে। সারাদেশের মানুষ লামাকে দ্বিতীয় সাজেক হিসাবে দেখছে। সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে মিরিঞ্জা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প খাতে অন্যতম ভূমিকা রাখবে। এই এলাকার পর্যটন বিকাশে মিরিঞ্জা ও সুখিয়া ভ্যালীতে ৫ কিলোমিটার রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানির সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিতে বিভাগীয় কমিশনার এর কাছে অনুরোধ করেন। টুরিস্ট পুলিশ সহ সরকারিভাবে গড়ে উঠা মিরিঞ্জা পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নে কাজ করা দরকার বলে জানান।
লামা প্রেসক্লাব সেক্রেটারি মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে বৃহত্তর লামায় কর্মসংস্থানের সকল পথরুদ্ধ। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি থাকলেও সেখানে খেটে খাওয়া মানুষের কাজের সুযোগ নেই। অপরদিকে সাম্প্রতিককালে নির্বাহী আদেশ ছাড়া ফ্রি জোত পারমিটের সকল কর্মকান্ড বন্ধ রেখেছে লামা বন বিভাগ। এর ফলে শত শত শ্রমিক বেকারত্ব জীবন কাটাচ্ছেন। এর ফলে চুরি ছিনতাই বাড়ছে। অপরদিকে গাছ সৃজনকারী জোত/বাগান মালিকরাও চরমভাবে অর্থ সংকটে পড়েছেন। বর্তমানে প্রচুর পরিমাণ বৈধ জোতের কাঠ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বন বিভাগ চট্টগ্রাম অঞ্চল প্রধানের সাথে সমন্বয় সাধন করে এই সমস্যার সুরাহা করতে অনুরোধ করেন।’
বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দিন এসব দাবিগুলো শান্তভাবে শুনেন এবং তিনি এসব বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের সাথে আলোচনা করে জনগণের দুর্ভোগ লাগবে উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেন। শেষে বিভাগীয় কমিশনার লামা উপজেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ বলে ভূয়সী প্রশংসা করেন।