|| নিজস্ব প্রতিবেদক ||
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান থান জামা লুসাই বলেছেন, সাগর কন্যা খ্যাত কক্সবাজারেরও অনেক অন্ধকার রয়ে গেছে। উননয়নের প্রকল্প তখনই বাস্তবায়ন হবে যখন সুদক্ষ চিন্তা চেতনার বাস্তবায়ন ঘটবে। বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ এর উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও এর সহযোগীতায় পর্যটন কেন্দ্রের আবিষ্কার এবং সুপারিশ সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শনিবার (৪অক্টোবর) সকালে বান্দরবান জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, ম্যাম্যা নু মারমা, সদস্য জেলা পরিষদ। সম্মানীত অতিথি ছিলেন, দেব প্রসাদ দেওয়ান, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মোঃ আশ্রাফ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, বান্দরবান। এছাড়া প্রকল্পের বিষয়ে বিশেষ ধারনা উপাস্থাপন করেন এ্যালেক্সিয়াস চিছম চট্টগ্রাম কার্যালয় প্রধান। ও
অনুষ্ঠিত কর্মশালায়, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদদ্বয়ের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন সেক্টর এর ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, চেম্বার ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সভাপতিগন, হোটেল মোটেল এর মালিকগন, নারী উদ্যোক্তা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্তিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, আমাদের যে কোন উন্নয়ন কাজে অবশ্যই প্রতিশ্রæতিদ্ধ হতে হবে। যদি সেটা না হয় তাহলে উন্নয়নের কোন প্রতিশ্রæতিরও বাস্তবায়ন হবে না। পর্যটন খাতের উন্নয়নের কথা বললে সেখানে আমাদেরও অনেক কিছু ছাড় দিতে হবে। তিনি বলেন, সাগর কন্যা কক্সবাজারেরও অনেক অন্ধকার রয়ে গেছে। প্রকল্প তখনই সহজ বা বাস্তবায়ন হবে যখন সুদক্ষ চিন্তা চেতনার বাস্তবায়ন ঘটবে। প্রকল্পের উন্নয়ন ও বাস্তবায়নে সম্মিলিত আলোচনা এ খাতের উন্নয়নে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। তাই সকলেই সম্মিলিত হয়ে পর্যটন খাত এর উন্নয়নে উদ্যোগী হতে হবে।
সম্মানীত অতিথি দেব প্রসাদ দেওয়ান বলেছেন, পর্যটন খাতের উন্নয়ন এখানকার অর্থনীতিরও উন্নয়ন। সাজেকে পরিকল্পনা ছাড়াই রিসোট করা হয়েছে। এসব রিসোর্ট এর অধিকাংশই সম্প্রতি আগুনে পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদেও যতঠুকু সম্বও সহযোগীতা কা হয়েছে। বিশে^র অন্যান্য দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও কিন্তু উন্নয়নে পিছু রয়ে গেছে।
মোঃ আশ্রাফ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেছেন, পর্যটনের উন্নয়নে এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে মিলে এক টেবিলে বসেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। এক্ষেত্রে বান্দরবানের জেলা প্রশাসন অবশ্যই সহযোগীতার হাত বাড়াবে।
কর্মশালায় সাংবাদিক, উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীরা পর্যটন খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পরামর্শ যেমন তুলে ধরেন তেমনি ক্ষতির কারণগুলো উত্তাপন করেন। পর্যন খাতে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রচুর সম্ভাবনা থাকলেও নানান ভাবে উদ্যোগ নিয়েও ফলপ্রসু লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছেনা বলে উল্লেখ করা হয়। এর কারনে এ খাতের উন্নয়নে বরাবরই পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ পিছিয়ে যাচ্ছে এবং ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হচ্ছেন সবাই। তাই সকলস্তরের মানুষের এগিয়ে আসা উচিৎ এতে আমাদেরই আর্থিক সহ নানাভাবে উন্নয়ন প্রসারিত হবে।
সভার শুরুতেই প্রোগ্রেস প্রকল্পের তিন কনসালট্যান্টগন এর বিস্তারিত বিষয়ের উপর তথ্যউপাত্তগুলো তুলে ধরেন।