[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লামায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট এর জরিমানাচলতি ডিসেম্বরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ই-লার্নিং স্কুল চালু করা হবে- পার্বত্য উপদেষ্টাতথ্য অফিসের আয়োজনে বাঙ্গালহালিয়ায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিতকাপ্তাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক টাইফয়েড টিকাদানে উঠান বৈঠকরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধনে, শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠেঅনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে১০আর.ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থীদেও মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণদীঘিনালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ফায়ার সার্ভিসের মহড়াখাগড়াছড়ির রামগড়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের থানচিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে লাভ দেখায় তামাক চাষ কমে আসছে

॥ চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি ॥
বান্দরবানের থানচিতে জুমক্ষেতে ধানের পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া চাষ করা হয়েছে। আর্থিকভাবে লাভ হওয়ায় অধিকাংশ চাষীরা এখন তামাক চাষ ছেড়ে বিভিন্ন জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষের আগ্রহ বাড়ছে। তাদের কম খরচের বেশি লাভ হওয়ায় পাহাড়ের ঢালুতে কেউ কেউ এখন মিষ্টি কুমড়া চাষের ঝুঁকছেন।

স্থানীয় চাষিরা জানান, জুমচাষীদের জুমের ধান চাষসহ মিষ্টি কুমড়া চাষের কদর বাড়ছে, খরচ কম ও লাভ বেশি কারণে মৌসমভিক্তি বিভিন্ন জাতের মিষ্টি কুমড়াসহ চিনা বাদাম চাষের ঝুঁকছেন চাষিরা। তাদের উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া নানাবিধ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ আর খেতে সুস্বাদু খাবার ফলে সবজির চাহিদাও বাড়ছে বহুগুণে। পাহাড়ের দিন দিন মৌসুমভিক্তি মিষ্টি কুমড়া চাষও বাড়ছে।

জানা গেছে, প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বরে পাহাড় ঢালু জমিতে মাটি পরিক্ষা করে নির্ধারিত করা হতো। জানুয়ারিতে জঙ্গল কেটে, মার্চ-এপ্রিলে তা শুকিয়ে পোড়ানো হয়। মে মাসে শুরুতে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হলেই মিষ্টি কুমড়া বীজ বপন করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগষ্টের শুরুতে পাকা ফলন তুলে বিক্রি করা যায়। মাটিতে ও মাঁচা পদ্ধতিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করা হয়।

চাষি মংএসিং মারমা বলেছেন, গতবছরে তামাক চাষের জমিতে এবারে পুরোজমিতে বাদাম চাষ করা হবে। চলতি মৌসুমে জুমের মাটিতে পদ্ধতিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করছি। মণের ৬শত থেকে ৭শত টাকার বিক্রি হচ্ছে, সঠিক পদ্ধতি ও পরিচর্চা করতে পারলে খরচে তুলনামূলক লাভ হবে।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ের ঢালুতে জুমের বিভিন্ন জাতের ফলজ বাগানের সাথে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করছে। কৃষকরা ক্ষেত থেকে মিষ্টি কুমড়া সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে জমিয়ে রাখছে। পরে পাইকারে ব্যবসায়ী এসে চাষীদের কাছ থেকে মিষ্টি কুমড়াগুলো ক্রয় করে গাড়ি যোগে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বিভিন্ন শহরে চাহিদা থাকায় পাহাড়ে উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ধরনে সবজির সরবরাহ করছি। প্রতিবছর মৌসুমভিত্তি সবজিরগুলো ট্রাক যোগের নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের বিক্রি করি আমরাও। পাহাড়ের উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়ার স্বাদ ও সাইজ ভালো, শহরে এর চাহিদাও ব্যাপক রয়েছে।

মিষ্টি কুমড়া চাষি মেনলে ম্রো:, চাইসিং মারমা ও ঙানয়াং ম্রো:সহ অনেকজনই চাষীরা জানান, এবারের অল্প জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি, রোপনে বীজ ভাল না হওয়ায় আশানুরূপ ফলন হয়নি। প্রতি মণের ৬শত থেকে সাড়ে ৭শত টাকার বিক্রি করা হচ্ছে। গতবছর তুলনামূলক ভাবে দাম কম, এরপরেও অল্পের লাভে চাষের ঝুঁকছে চাষিরা। আগামীতে মাঁচা ও মাটিতে পদ্ধতিতে এবারে চেয়ে দ্বিগুণ জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করবো।

থানচি উপজেলা কৃষি অফিসার মো: ওয়ালিদ হোসেন জানান, পাহাড়ি জুমখেতে ধানের পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ধরনে সবজির চাষ করে থাকে। পাহাড়ের মাটি আর আবহাওয়া মিষ্টি কুমড়া চাষের জন্য উপযোগী, দিন দিন আবাদ বাড়ছে এবং কৃষি বিভাগ এ আবাদে কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহায়তাও করে যাচ্ছে।