বান্দবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ৩০ হাজার পিস ইয়াবাসহ বিজিবি’র হাতে আটক-২
॥ মু. মুবিনুল হক মুবিন, নাইক্ষ্যংছড়ি ॥
বান্দারবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবার ৩০ হাজার পিস বিজিবি সুত্র জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ০১টা ৩০ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৩৪ বিজিবি’র একটি বিশেষ টহল দল তুমব্রু সীমান্তের মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় মিয়ানমার দিক থেকে তিনজন ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটকাতে তৎপর হয়।
বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারীরা দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যে দুইজনকে আটক করা সম্ভব হলেও অপর একজন অন্ধকার ও জঙ্গলের আড়ালে পালিয়ে যায়। আটককৃতরা হলো— মধ্যপাড়া বালুখালীর বাসিন্দা বক্তার আহমদের পুত্র মোঃ আরপান অপি (১৯), ও এফডিএমএন ক্যাম্প-৭, ব্লক-সি-১১ এর আবুল বাসারের পুত্র জিয়াবুল হক। পালিয়ে যাওয়ার সময় একটি ব্যাগ ফেলে যায় চোরাকারবারীরা। ব্যাগটি তল্লাশি করে বিজিবি সদস্যরা মোট ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। এছাড়া মাদক পাচারের কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয়।
৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম, পিএসসি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, অভিযানে আটককৃত দুইজনকে ইয়াবা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনসহ প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া চোরাকারবারীদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিজিবি কেবল সীমান্ত পাহারাই নয়, বরং মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধেও সমানভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। নাইক্ষ্যংছড়ির মতো সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক পাচার প্রতিনিয়তই বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিজিবি’র ধারাবাহিক ও সফল অভিযান প্রমাণ করছে— সীমান্ত সুরক্ষা ও মাদক প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা তৎপর।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার রিজিয়নের রামু সেক্টরের অধীনস্থ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক প্রতিরোধ ও অবৈধ কার্যক্রম দমনে সফলতা অর্জন করে আসছে। একের পর এক অভিযানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ ও চোরাকারবারিদের আটক করা সম্ভব হয়েছে। এসব অভিযানের ফলে সীমান্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ও আস্থা ফিরে এসেছে।