প্রধানমন্ত্রী দরিদ্রদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন
কাপ্তাই উপজেলায় ৬৮ পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর
॥ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলা ৬৮ পরিবার পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বিশেষ ঘর। কেউ কেউ ঘর পেয়েছেন। আবার কেউ কেউ আগামী নতুন বছরের জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে নতুন ঘরে উঠবেন। এ নিয়ে খুশি সুবিধাভোগীরা। অনেকে বলছেন নতুন ঘর পেয়ে বাঁচার স্বপ্নও দেখছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য কাপ্তাই উপজেলায় ক শ্রেণীর ২য় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান এই এলাকায় যান। কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়ন এর উজানছড়ি মারমা পাড়া, কর্নফুলি নদী পার হয়ে ওয়াগ্গা চা বাগান পেরিয়ে এক কিঃ মিঃ ও বেশী হাঁটা পথে দূর্গম পাহাড়ী এলাকা তারপর উজানছড়ি পাড়ায় পৌঁছতে হয়। উজানছড়ি পাড়া হতে প্রায় আধা কিমি পাহাড় বেয়ে উঠে পাহাড়ের এই চুড়ায় নির্মিত হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের-২ এর ঘর। এইসব এলাকায় মুজিববর্ষের অঙ্গীকার হিসাবে ভূমিহীনদের ২ শতক খাসজমি বরাদ্দ সহ ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান, কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াগ্গা ইউনিয়ন এর ওয়াগ্গাছড়ার রামছড়ি পাড়ায়ও যান, এখানেও উচুঁ নীচুঁ পাহাড় বেয়ে উপকারভোগী মুন্নি তুরিকে দেওয়া নির্মানাধীন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই ঘর নির্মাণের অগ্রগতি দেখে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, কাপ্তাই উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে প্রথম পর্যায়ে ১৫ টি “ক ” শ্রেণীর ঘর নির্মানের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, জানুয়ারীর মাসের মাঝামাঝি সময়ে উপকারভোগীরা তাঁদের এ ঘরে উঠতে পারবেন। তিনি জানান কাপ্তাই উপজেলার অনেক দূর্গম এলাকায় যেখানে পরিবহন করে মালামাল নেওয়া সম্ভব না, সে সমস্ত এলাকাতেও মাথায় করে সরঞ্জামাদী নিয়ে এই সব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ইউএনও জানান, পার্বত্য অঞ্চলে একেক একটা ঘর নির্মাণের দুরত্ব অনেক, তাই সমতল এলাকা হতে এই অঞ্চলে ঘর নির্মাণ করা একটু কষ্টসাধ্য।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, সরকারের দূর্যোগ ব্যবস। ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে প্রথম পর্যায়ে নির্মানাধীন প্রতিটি ঘরের জন্য ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। তিনি আরোও জানান ইতিমধ্যে ক শ্রেনীর প্রথম পর্যায়ে ১৫ টি ঘর নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে, তৎমধ্যে উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউপিতে ১ টি, রাইখালী ইউপিতে ৩ টি, চিৎমরম ইউপিতে ৪ টি, কাপ্তাই ইউপিতে ২ টি এবং ওয়াগ্গা ইউপিতে ৫ টি ঘর পাবেন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। এছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ে আগামী বছরের জানুয়ারী হতে শুরু হবে আরোও ৫৩ টি ঘর নির্মাণের কাজ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাওয়া কাপ্তাইয়ের চিৎমরম উজানছড়ি পাড়ার দরিদ্র প্রসিংমা মারমা এ প্রতিবেদককে জানান, তার স্বামী নেই, থাকার ঘরটা ছিলো জরাজীর্ণ, ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। ওয়াগ্গা রামছড়া এলাকার দরিদ্র মুন্নি তুরিও জানান, প্রধানমন্ত্রীর আমাদেরকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। সহায় সম্বলহীন দূর্গম এইসব এলাকার এসব মানুষজন কৃতজ্ঞতা বলে জানান।