॥ মোঃ আলমগীর হোসেন, লংগদু ॥
রাঙ্গামাটিরর লংগদু উপজেলা ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জেলা পরিষদ আটারকছড়া-মেরুং শুল্কফাড়িতে সরকারি দেওয়া টোল এর তুলনায় দ্বিগুণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জেলা পরিষদ কতৃক নিধারিত টোলের পরিমাণের চেয়ে প্রায় প্রতিটি পন্যের উপর দ্বিগুন বা তার চেয়েও বেশি নেওয়া হয় বিভিন্ন শ্রেনীর ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে টোল আদায় রসিদ বই এবং তাদের দেওয়া টোলের পরিমাণ তালিকায় বেশি নেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। এখানে দেখা যায় প্রতিটি ধানের বড় গাড়ি সরকারি নির্ধারিত আছে ৯০০টাকা অথচ তাদের মুড়ি বইয়ে দেখা যায় তারা নিয়েছেন ১৫০০টাকা এভাবে প্রতিটি পণ্যের গাড়িতেই দুইগুনেরও বেশি নেওয়ার সত্যতা মিলেছে।
এব্যাপারে ট্রাক ড্রাইভার হায়দার আলী বলেন, খাগড়াছড়ির জেলা পরিষদ ইজারা থেকে এরা অনেক বেশি নেয়। খাগড়াবাড়ি জেলা পরিষদ যেখানের ধানের গাড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা নেয় সেখানে তারা দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা নেয় যা একধরনের যুলুম। এমনকি আগে যারা ডাক নিয়েছিল তারাও ৬০০ টাকা নিতো। এদিকে এক ধান ব্যবসায়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন আমরা ছোট-খাটো ব্যবসা করে চলি আটারকছড়া শুল্কফাড়তে অতিরিক্ত ইজারা দিতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ভিতর পার্টিকেও চাদাঁ দিতে হয়, সবাইকে দিতে দিতে আমাদের আর কিছু থাকেনা।
এব্যাপারে টোল কালেকশনের দায়িত্বে থাকা বিষু চাকমা বলেন, আমি চাকরি করি আমার মালিক (ইজারাদার) যেভাবে তালিকা দিয়েছে আমরা সেভাবেই নেই। তবে তালিকা অনুযায়ী অনেকে দেয় আবার অনেকে কিছু কম দিলেও নেই। কালেকশানের দায়িত্বে থাকা আব্দুল করিম বলেন, আমরা চাকরি করি আমাদের ইজারাদার (মালিক) সেভাবে তালিকা দিয়েছে আমরা সেভাবেই নিচ্ছি। এখানের আমাদের দোষ কি?
এদিকে ইজারাদার উর্মি চাকমা, স্বামী: সব্যসাচী চাকমার মোবাইল নাম্বারে কল করলে আরজ আলী সুমন নামে একজন কল রিসিভ করেন। পরে আরজ আলী সুমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি উর্মি চাকমার লাইসেন্স ব্যবহার করে শুল্ক ফাড়ির ডাক নিয়েছি তাই ওখানে আমার নাম্বার দেওয়া আছে। আর অতিরিক্ত ইজারা আদায়ের ব্যপারে তিনি বলেন আটারকছড়া শুল্কফাড়ি আমার দায়িত্বে নাই এটি রাঙিপাড়ার দিদার ভাই নিয়েছেন।
তার কথামত বর্তমান ইজারাদার দিদারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমারা জুলাই মাস থেকে ডাক নিয়েছি এখানো জেলা পরিষদের চার্ট পাইনি তাই আগে যেভাবে নিয়েছেন সেভাবেই নিচ্ছে। তবে সোখানে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে চার্ট দেওয়া আছে এটা কে দিয়েছে সে জানেনা, এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন আমরা কয়েক জনে শেয়ারে নিয়েছি তবে আমি কয়েকদিন এলাকাতে ছিলাম না তাই বেশি নিয়েছে কিনা জানিনা। তবে তিনি জেলা পরিষদ কতৃক দেওয়া চার্টের বেশি নেওয়া যাবে না বলে স্বিকার করেন।
এদিকে লংগদু উপজেলার দায়িত্বে থাকা জেলা পরিষদ সদস্য মিনহাজ মুরশিদ বলেন জেলা পরিষদ থেকে যে চার্ট দেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী টোল নিতে হবে কোনভাবে বেশি নেওয়া যাবে না। যদি বেশি নিয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।