পাহাড়ী দাদুর দুরবীণ হইতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’র নিকট খোলা চিঠি-৪১
মনে হইতেছে জিরো টলারেন্সে গিয়া গড়াইবে,দূনীতির মামলায় প্রত্যাহারের কোন সুপারিশ চলিবে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মা’ পত্রের শুরুতেই আমি পাহাড় চুড়া, টিলা-নালার অভাগা, পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব লাঠি দ্বারা চলিত পাহাড়ী দাদুর হাজার কুঠি আদাব, নমস্কার ও সালাম গ্রহন করিবেন। আশা করি মহান সৃষ্টি কর্তার অপার কৃপায় সোনার বাংলার প্রায় দেড় ডজন কুঠি মানুষ অ-মানুষ লইয়া আপনি কোন রকুম দিন যাপন করিতেছেন। আমিও অবাধ্য জীবানু করোনার অত্যাচার, তিন পাহাড়ী জেলার ষোল লাখের অধিক নর-নারী লইয়া পাহাড়ের তলায়, নালায়, চিপায়, কাপ্তাই হ্রদের ধারে, উপরে টং বানাইয়া, জানপরান হাতে লইয়া, মুক্তিপন আর চাঁন্দা দিয়া, মাথা ফাঠাইয়া, ব্রাশ ফায়ার খাইয়া, লুটপাঠ আর ঠেলা গুতোর পাহাড় পর্বতে গড়াগড়ি করিয়া, খাইয়া না খাইয়া কোন রকুমের বাঁচিয়া থাকিয়া এই পোড়াকপাইল্লা, অধম, হতভাগা, বেকুব পাহাড়ী দাদুর ভাঙ্গা দুরবীণ হইতে আপুনার দরবারে কিছু জানাইতে, পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবিতে, ভাবাইতে, আগাইতে, ফাঁফিয়া, হাঁপিয়া, কাঁপিয়া, আইজ পর্যন্ত ৪১ নম্বর চিঠিখানা লিখিয়াছি। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড়ের এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুব দাদু’র খোলা চিঠিখানা আপুনি একটু সময় দিয়া পড়িবেন, পাহাড় নিয়া ভালামন্দ বিচার বিশ্লেষণ করিবেন, আগাইবেন, হ¹ল দিক ঠিক রাখিয়া সুক্ষ্ম চিন্তায় পাহাড় শাসনের সুক্ষ্ম ব্যবস্থাপত্র বানাইবেন। যাউ¹া, এইবার পর আলোচনা হইলো….
পরম শ্রদ্ধেয় মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা মা’জননীগো আমি অভাগা পাহাড়ের চুড়ায় থাকিয়া পাহাড় সমতল হ¹ল কোনার খবরাখবর লইয়া আপুনার দরবারে প্রতি এক পক্ষে লিখিয়া যাইতেছি, তয় মা’গো দূর্বিফাঁকে পড়িয়া মইধ্যে মইধ্যে চোখে ঝাপসাও দেখি। মা’রে পার্বত্য চট্টগ্রামেও সন্ত্রাসীরা আধিপত্য, চাঁন্দাপথ্য, ঘায়েলপথ্য, দখলপথ্যসহ নানান অপকর্মপথ্যের বিস্তার লইয়া বন্দুকের নলায় খালি ফটর ফটর করিয়া মানুষ মারিতে ওস্তাদ। পর্বতের বহু ওস্তাদ দলাদলী বলাবলি লইয়া পাহাড়েতো জীবন সাঙ্গের গননায় খালি যোগই হইতেছে। ক’দিন বিরতি থাকিয়া আবার ঢুঁস করিয়া ফুটায়। মা’গো চরম নরম ভক্তের অধিকারী সন্ত্রাসীগোর লাগাতার অত্যাচারে অসহায় দাদু-দিদিরা পিষ্ট হইতেই আছে, বৈদ্য ওজাতেও ফলাফল শুন্য। অভাগারা রাইত দিন সৃষ্টিকর্তারে জবিতে জবিতে, চোখের জল ফালাইতে ফালাইতে, বুক চাপড়াইতে-চাপড়াইতে জানপরান হেই আছে হেই নাই। উপরে করুনাময় সৃষ্টিকর্তারে, নীচে আপুনি মমতাময়ী, রাজনৈতিক বিজ্ঞ, অকুতোভয় শাসন কর্তা, বিশ^ নেতা’র দরবারে দুইহাত তুলিয়া খালি মিনতি জানাইতেছে। মা’গো দয়া করিয়া পাহাড় পর্বতের মানুষ বাঁচাইতে, আকামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা লইতে হ¹ল কাজের মইধ্যেও একটু টাইম দেন, তিন পাহাড় পর্বত লইয়া ভাবেন, গবেষণা করেন, এইসবের হেতু কি, কলকাঠির পিছনে কারা চিহ্নিত করেন।
মা’গো একে পুরাতন রাখিয়া দুই পাহাড়ের জেলা পুরিষদে ক্ষমতার বদল হইয়াছে। আমাগো মাদার ডিস্ট্রিক্টের অংসুই দাদুতো লম্বা লাইনের গাড়ির বহর লইয়া পুরিষদে যোগদান করিয়াছেন। স্বাস্থ্য বিধির বালাই নাই হইলেও নেতাকর্মীর শো-ডাউনের ঢলে পুরিষদ ভবনেও কম্পনও ছিল। মা’গো পাহাড়ের বিজ্ঞ দাদু বহুতে কহিলো তিন পুরিষদের একে অন্তত চাকমা জাতিগুষ্টি হইতে চেয়ারমন করিলে গোস্সার সুযোগ হইতো না। তয় মা’রে খেয়াল রাখিতে হইবে দরজা লেপিয়া ভিতরে যাহাতে ছাপিয়া না যায়। বৃষ দাদুর বেলাতেতো না লেপিয়া না মুছিয়াও গিয়াছে। তাইনের গেল উন্নয়ন প্রকল্প খুঁজিয়া লওনেরও দরকার। মাদার ডিস্ট্রিক্টের পুরিষদ মেম্বর লইয়া প্রশ্ন উঠিয়াছে দলের সমর্থন বাড়িতেছে নাকি ধরিয়া রাখিতে কষ্ট হইবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে আপুনার দলের অগোছালো সিদ্ধান্ত দাদু-দিদিগোর সমর্থন মনে হইতেছে জিরো টলারেন্সে গিয়া গড়াইবে।
মা’গো বান্দরবান পাহাড়ে ম্রো জাতিগুষ্টিরে বাঁচাইতে আপুনার কি উদ্যোগ হেইখানের আদিবাসীরা জানিতে চাহে। ক্ষুদ্র এই জাতিরে আদি নিবাস হইতে উচ্ছেদে লুটেরা পুঁজিপতির দলতো কোমড়ে গামছা বাঁধিয়াছে। এইসব বন্ধ করিতে ভুমি মন্ত্রী দাদুরে কড়া ওয়ার্ডার করিবেন। ঐ পাহাড়েরও তলে তলে নাটের গুরু লটের গুরুর দল শক্ত করিয়া খুঁটি গাড়াইয়াছে। মা’গো খাগড়াছড়ি পাহাড়েও তলে তলে বহুতে তল্পিতল্পা লইয়া নাকি ভারতে ঠেকিতেছে। শরনার্থীগোর তথ্য তালাস লওনের নাকি অভিভাবক নাই। বহুত শরনার্থী নাকি খাইয়া না খাইয়া জীবন চালাইয়া যাইতেছে। টাস্কফোর্স থাকিলেও তাইনেগোর ভালামন্দ খবর লইতে কাহারো হুঁস নাই।
মা’রে আপুনার ঘরেও বাইরের ইঁদুর লাইন ধরিয়া বাসা বাঁধিয়াছে। আমাগো পাহাড়ের মাদার ডিস্ট্রিক্টেও আওয়ামীলীগ সহ অংগ সংগঠনে নাকি অনুপ্রবেশ দল ভারি হইয়াছে। খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগেরই মেয়াদ নাই ফষ্টিনষ্টি করিয়া উপজেলাসহ কলেজ শাখা গঠন লইয়া প্রকৃত বঞ্চিতরা লাঠিসোঁটাসহ রাস্তায় নামিয়াছে। অভাগারাতো কহিলো হেইখনেও নাকি বিএনপি-জামায়ত ঢুকিয়াছে। মা’রে মেয়াদ না থাকিলে পন্যে হোক আর বরেণ্য হোক গনার বাইরে চলিয়া যায়। তয় সিস্টার ডিস্ট্রিক্ট খাগড়াছড়িতে এইসব কি হইতেছে কুজেন দাদুরে কুইশান করিবেন।
মা’রে পাহাড়ের বিজ্ঞ জনেরা কহিলো পৌরসভা নির্বাচনের আগে তিন পাহাড়ের লুটেরা গুষ্টির দুই-চার জোড়া টান দেন। আমাগো দুদুক কমিটির এক দাদুও তাই কহিলো। বহুতের বিরুদ্ধে নালিশে নালিশে ফাইলও মোটা হইয়াছে, বহুতে ঘাটে ঘাটে মালিশ চালাইতেছে। শত্রু পক্ষ অনুপ্রবেশ হইয়া লম্ব লম্বা শুঁই চালাইতেছে। দলের পল্লা ভারি করিতে হইলে যারা অন্যের দ্ধারা প্রভাবিত হইয়া নেতৃত্ব দিতাছে তাঁগোর লেজ গুটাইতে আদেশ করেন। তিন পাহাড়েও তালিমালির বিষয় আশয় খোঁজ লইতে সেতু দাদুরে আদেশ দিবেন। পৌরসভা নির্বাচনে অযোগ্য-লুটেরাদের জায়গা বন্ধ করিতে আদেশ করিবেন।
মা’জননীগো স্বাধীনতা বিরোধী দেশদ্রোহী চক্রতো পাকাপোক্তের জানান দিয়াছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুরে হত্যা করিয়া ক্ষান্ত হয় নাই এই বাংলা হইতে জাতির জনকের ছবিও মুছিয়া ফেলিতে চাহে। স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, ইতিহাস ঐতির্হ্যের বিরুদ্ধে তজ্জনী প্রদর্শন করিয়াছে। প্রতিবাদ করিলেই চলিবে না এই ঘৃন্যিত গুষ্টির বোজা সোজা করিতে চক্ষু লাল করিতে হইবে। সোনার বাংলা হইতে বঙ্গবন্ধুরে যারা মুছিয়া ফেলিতে ঔদত্য দেখাইতেছে এই তল্পী তল্পা ওয়ালাগোর পিছনের নাটের গুরুদেরও টানিয়া বাহির করিতে আদেশ করিবেন। মা’গো এই বার দেশের সুর্যসন্তানগোর তালিকা করিতে জোর লাগান। বুদ্ধিজীবি হতার বিচার শেষ করনের দরকার। দেশে ওসি প্রদীপের মত পুলিশ সদস্যের আর জন্ম না হয় সেই ব্যবস্থাই লইতে আদেশ করিবেন।
মা’গো গরিবেরে জইন্য দেয়া আপুনার ঘর লইয়াও দূনীতি। নাটোরের ইউপি চেয়ারমন লাবু ঘর দিবে বলিয়া ঘুষ লইয়া শেষ মেষ ঘর দেয় নাই। ফাটা কপাইল্লারা ফাটাই থাকে। এই চোর ডাকাইতরাই সোনার বাংলারে শেষ করিতেছে। লুটেরার দলের লাইনের গোদাতো শেষই হইতেছেনা। মার্কেট খেকো দেলুর খপ্পরে পড়িয়া ফকির হইয়াছে নয়শত এগার ব্যবসায়ী। মানারাত ভার্সিটি লইয়া ভাবনের দরকার। আল দাদুওতো কহিলো মানব পাচারের অর্থ জঙ্গীগোর হাতে গড়াইতেছে। দেশের টাকা লুটকারী সেলিম প্রধান দাদুগোর লেজগোজ টানিতে দেশের বিশিষ্টজনেরাও তাগাদা দিয়াছে। হাইকোর্টও সাফ জানাইয়া দিয়াছেন দূনীতির মামলায় প্রত্যাহারের কোন সুপারিশ চলিবে না। মনে হইতেছে পরিবেশ অনুকুলে দিয়াছে।
মা’গো দেশব্যপী নারীর সম্ভ্রমহানির ঘটনায় বহুত মা-বোন ঘুঁঘড়িয়া কান্দিতেছে। দেশের রাজধানী হইতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরা ধর্ষণ নির্যাতনের শিকার হইতেই আছে। এমুন কোন দিন সপ্তাহ নাই ধর্ষণ হইতেছেনা। মা’রে এইভাবে নারী ধর্ষণ ঘটনাতো দেশের সুনাম রক্ষা করণ মুশকিল হইয়া যাইবে। বিশ্বের দরবারেও রাষ্ট্রের সম্ভ্রম হানি হইতেছে। দেশে নারী ধর্ষণ ঘটনার লাগামা টানিয়া ধরিতে ৭২ ঘন্টার মইধ্যে বিচার শেষ করিতে কড়া ওয়ার্ডার দেন। দেশের পুত্রিকা লইয়া বসিলেই খালি দেখা যায় নারী ধর্ষণ ঘটনার নানান কিছিমের লজ্জ্যা। মা’রে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির থাকন, খাওন, ঘুমাউনের জায়গা দিয়া উল্টো আকাম কুকাম করিয়া দেশের শান্তি নষ্ট করিয়া যাইতেছে। মিয়ানমারের এই পালের গোদা ফিরাইয়া দিতে দ্রুত কাজ চাইলাইয়া যান। একদিকে চাপিলে অন্যদিকে ফাঁপিয়া উঠিতেছে। চোর ডাকাইতের হিসাবেতো গোল্ডেন মনির যোগ হইয়াছে। ভয় হইতেছে হিরা, চুনি পান্নাও রহিয়াছে কিনা। এইসব মহা ডাকাতের দলরে ডান্ডাবেরি পড়াইয়া দেশে ফোকাস করিতে ওয়ার্ডার করেন।
মা’গো দেশে বেঈমানের সংখ্যার যেন শেষ নাই। যে পিতা স্বাধীনতা, ভাষা, খাবার, থালা-বাসন, কাঁথা কম্বল, জীবন জিবীকাসহ রাষ্ট্র পরিচালনার অধিকার প্রতিষ্ঠা করিয়াছে তাঁর ভাস্কর্য লইয়া চক্রান্ত। এই চক্রান্তকারীর দলতো তলে তলে লম্বা মনে হইতেছে। কলকাটির পিছনে কারা একটু ঘুটা দেন। আপুনিওতো কহিলেন বঙ্গমাতা জাগোরে রান্নাবান্না করিয়া খাওয়াইয়াছেন বঙ্গবন্ধু হত্যার পিছনে তাঁগোরও ইন্ধন রহিয়াছে। শয়তানের গুষ্টি আচমকা ঘটনা ঘটাইতে প্রস্তুত। বেঈমানদের বিষদাঁত ভাঙ্গিতে পিছনে থাকনের সুযোগ নাই। ট্রেনের কোচ সদাই লইয়াও দূনীতি, টাকা নাকি লন্ডনে। মা’রে ভন্ডদের সরাইতে দ্রুত ব্যবস্তা লইতে ওয়ার্ডার করেন।
মা’গো চাঁটগার কিশোর গ্যাংকতো অপ্রতিরোধ্য, যোগ হইয়াছে কিশোরীও। অপরাধ চালাইতে নানান কৌশল ফন্দি আটাইয়া নগর দাদু-দিদিগোর ঘুম হারাম করিতেছে। খুলশীতে কলেজ ছাত্রীকে কৌশলে ধর্ষণ করিয়াছে দুই বন্ধু। ইয়াবার বিনিময়ে অস্ত্রও পাচার হইতেছে। নগরেতো তলে তলে পুকুর দীঘিও গিলিয়া খাইতেছে। সিসিসি’র সুজন দাদুতো শক্ত করিয়া চালাইতেছে রোগী সেবায় ব্যর্থ হইলে বেসরকারী হাসপাতাল ক্লিনিক বন্ধ করিবে। এই উদ্যোগ করোনার প্রকোপের সময় লইলে বহু দাদু-দিদি হয়তো বাঁচিয়াও যাইতো। ৬১ বধ্যভুমির খবর কারো কাছেই নাই মনে হইতেছে। এমপি বদির সন্তান দাবি লইয়া আদালতে যুবকের নালিশে শেষ মেষ ডিএনএ টেষ্ট। মা’গো এই হইলো চরিত্রহীন নেতাগোর কান্ড কারখানা। চটপটি বিক্রেতা আলা উদ্দিনের ঘারে শত্রুর মামলা বেচারাতো যা কামাইতেছে হ¹লই কোর্টের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরিতে ঘুরিতে ফতুর হইতেছে।
মা’গো পরম করুণাময় সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আপনিতো ভালা-মন্দে আপুনার উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী লইয়া দেশ পরিচালনা করিয়া যাইতেছেন। তয় মা’গো আপনি হ¹ল উন্নয়ন দ্রুত গতিতে চালাইলেও দেশ গেরামের দাদু-দিদিরাতো রাক্ষস খোক্ষসের পল্লায় পড়িয়াছে তারমইধ্যে যোগ হইয়াছে বিশ্বশক্তিধর করোনা। হুট করিয়া হৃদমাজারে ধরে আর মারিয়াই ছাড়ে। এমনিতে কুটি কুটি দাদু-দিদিরা মানব সৃষ্ট অত্যাচার, নারী-নির্যাতন, ধর্ষন-হত্যা, দূর্নীতি আর মাদকের ছোবলে পিষ্ট। মা’রে মানবতাবিরোধীগোর এইসব কাইজ কাম বধ্ করিতে আপুনার নেতা-নেত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, ডিসি, এসপি, আইনশৃংখলা বাহিনী, গুরিন্দা বাহিনীরে কড়া ওয়ার্ডার অব্যাহত রাখিবেন।
মা’জননীগো তলে বলে শত্রুরাও উঁকি ঝুঁকি মারিতেছে। আপনার মতন বিজ্ঞ মা’রে জ্ঞান দেয়া আমার মতন লাঠি দ্ধারা চলিত পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব পাহাড়ী দাদুর জ্ঞান কতঠুকুই বা কাজে লাগিবে, কথা হইলো আপনার সবদিকেতো শত্রু আর শত্রু। হজাগ থাকিবেন, মানবতাবিরোধীদের ঘায়েল করিতে হার্ট লাইনে যাইবেন। মা’রে আইজও আর বেশী লম্বা করিতে চাহি না। আয়রন, সিলভার, গোল্ডেন বুলেটে আবদ্ধ পাহাড় চুড়া লইয়া এই অভাগার বুকের পাঁজরে বহুত ক্ষোভ, দুঃখ বেদনা জন্মিয়া রহিয়াছে, খোলাসা করিয়া আপনার দরবারে দু-চার কলম লেখিয়া পাবলিকের উপকার করিতে পারিলে জীবনের পরপারে যাইয়াও শান্তি। আইজ যা লিখিয়াছি কোন ভুলভ্রান্তি হইলে মনে কষ্ট দিলে এই অভাগা পোড়াকপাইল্লা, অধম, বেকুবরে ক্ষমা করিবেন। মা’রে প্রতি এক পক্ষে আপনার নিকট লিখা এই বেকুবের খোলা চিঠিখানা একটু সময় হাতে লইয়া পড়িবেন। আপনি ও দেশের ১৭ কুঠি দাদু-দিদির জন্য আর্শিবাদ, দোয়া রইল, সবদিকে দৃষ্টি রাখিবেন, স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখিবেন, ভালা থাকিবেন। আইজ এই পর্যন্ত।
ইতি,
আপনারই কুঠি কুঠি দাদু-দিদির পোড়াকোপাইল্লা, অধম, বেকুব
পাহাড়ী দাদু
গ্রন্থনা এস.এস.বি.এম, তারিখ- ২০ ডিসেম্বর, ২০২০ খ্রীঃ