ধর্মপ্রিয় আন্তর্জাতিক বিদির্শন ভাবনা কেন্দ্র পূনঃ র্নির্মাণে এগিয়ে আসুন
পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি বৌদ্ধ অঞ্চল হিসেবে দেশের সর্বজনের নিকট ব্যাপক পরিচিত। দেশের বৃহত্তমত এ অঞ্চলটি বুদ্ধ ধর্ম প্রচার প্রসারে এবং গবীর অরন্যে কঠোর ধ্যান সাধনার মধ্য দিয়ে অনেক বৌদ্ধ ভিক্ষুর আবির্ভাব হয়েছে তেমনি বৌদ্ধ ধর্মকে লালন পালনে স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায় তথা তাঁদের সমাজ ধর্ম প্রচার এবং সমাজকে রক্ষার জন্য সেইসব সাধক ভিক্ষু এবং ভিক্ষু সংঘকেও লালন পালন করে আসছে। এভাবেই পার্বত্য চট্টগ্রামে তথা বাংলাদেশের বৌদ্ধ সমাজের অন্যতম পূজনীয় আর্য্য শ্রাবক সাধনানন্দ মাহস্থবীর বনভান্তের আবির্ভাব ঘটে। তিনি কঠোর সাধনার পর বুদ্ধের অনুশাসনে বৌদ্ধ সমাজকে ধর্মের লালন পালনে তথা সকল মানব সম্পদের এবং তাঁদের রক্ষায় উজ্জল নক্ষত্রের প্রতিক সাধনানন্দ মাহস্থবীর বনভান্তে।
এবার তাঁরই অনুসারী দেব মানব পুজ্য অরণ্য বিহারী,শ্মশানচারী, ত্রি-চীবরধারী পাংশুকুলিক ধূতাঙ্গ সাধক ড. এফ দীপংকর মাহাথের এর আভির্ভাব ঘটে এই পার্বত্য চট্টগ্রামেই। তাঁর ধ্যান সাধনার প্রথম স্থানই হলো রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইচড়িস্থ ধুপপানিছড়ার গহিন অরন্যে। যেখানে মানুষের গমন করা দুঃসাধ্য। আর সেই দুঃসাধ্যস্থানেই সাত বছর ধ্যান সাধনা করে বুদ্ধের শাসন এবং বৌদ্ধ সমাজকে রক্ষা ও ধর্ম প্রচারে আরেক নক্ষত্র ধূতাঙ্গ সাধক ড. এফ দীপংকর মাহাথের এর আবির্ভাব হলো। স্থানীয় বৌদ্ধ সমাজের মানুষ তাঁকে লালন পালন এবং পূন্য অর্জনে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে এখনও কাটছে। ঠিক সেভাবেই তিনি আরেক উপজেলা জুরাইছড়ি উপজেলার বৌদ্ধ সমাজের মানুষও তাঁকে লালন পালনে এগিয়ে রয়েছে। এরই মধ্যে যোগ হয়েছে বান্দরবানস্থ আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহার ও সেখানকার বৌদ্ধ সমাজ।
অথচ বাঁধ সেঁধেছে সমাজের অধার্মিক কিছু সংখ্যক মানুষ। এই বৌদ্ধ ভিক্ষু ধুতাঙ্গ সাধককে যারা লালন পালন করছে তাদের উপর চলে আসে নানা নির্যাতন, অত্যাচার। তাঁকে বিতারনের আদেশও দেয়া হয়েছে। এইসব ঘটনা নিয়ে সেখানে যোগ করা হয়েছে রাজনৈতিক হীন স্বার্থ। আর সেই স্বার্থ ব্যবহার করে যারা নিজের উপকার ভেবেছে সেসব হলো নগন্য। কিন্তু সত্যি হলো এই যে, সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তে যেভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষকে ধর্মীয় শাসন দিয়ে আঁগলে ধরে রেখেছিলেন তাঁর মত আর যাহাতে কেউ উঠে না আসুক। ধর্মীয় শক্তি নিয়ে বৌদ্ধ সমাজ যাহাতে এগিয়ে না আসতে পারে। হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নকারীরা তাদের সবগুলো পাকাপোক্ত করতেই গত ১৫ মে ২০২০ ইং বিলাইছড়ির ধুপশীলস্থ ‘ধর্মপ্রিয় আন্তর্জাতিক বিদির্শন ভাবনা কেন্দ্রটি’ বুদ্ধমুর্তিসহ রাতে পুড়িয়ে দেয়। এই কাজ করতে যারা উৎসাহ যুগিয়েছে, পরোক্ষভাবে ক্ষেপিয়েছে তারা কি ভেবেছে, তারা কাকে পুড়িয়েছে, কোন সমাজকে পুড়িয়েছে। তারা আর কেউই নয় তারা হলো, বুদ্ধের শাসন বিরোধী, বৌদ্ধ সমাজ ও ধর্ম লালন পালন বিরোধী তাই তারা বুদ্ধের মুর্তি, বাণী এবং পূর্ন্যার্থী মানব সমাজকে পুড়িয়েছে পোড়াতে সাহস যুগিয়েছে। তথাপি পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে হীনস্বার্থ চরিতার্থে জড়িতরাই এই হীন কাজ করেছে এবং করিয়েছে।
সেখানে আজকের বৌদ্ধ সমাজ সকল অত্যাচার, নিপীড়ন, নির্যাতন ভুলে গিয়ে সেই সাথে তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়ে সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের অন্যতম অনুসারী ধূতাঙ্গ সাধক ড. এফ দীপংকর মহাথেরকে যেমন ফিরে পেতে চায়, তেমনি তাঁদের শ্রমদ্ধার নির্মিত বিহারটিও পূঃন নির্মাণ চায়। কারন স্বার্থ একটাই বুদ্ধ এবং বৌদ্ধ ধর্মকে ও তাঁদের নতুন প্রজম্মের সুঃখ-শান্তি লালন পালনের জন্য। তাই তারা ‘ধর্মপ্রিয় আন্তর্জাতিক বিদির্শন ভাবনা কেন্দ্রটি’ পূঃন নির্মাণ চায়। আসুন শান্তির জন্য বৌদ্ধ ধর্মকে লালন পালনের জন্য এটি নির্মাণে সকলই এগিয়ে যাই।