[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তিন তরুণের স্বপ্নের ১৫ লক্ষ টাকার মাশরুমরাঙ্গামাটি পৌরসভাকে নাগরিক বান্ধব ও জবাবদিহিমূলক হতে হবেটাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইন উপলক্ষে বাঘাইছড়িতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিতবাঘাইহাট জোনের উদ্যোগে হতদরিদ্র অর্ধশতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণলংগদুতে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভাথানচিতে জেন্ডার সমতায় সাফল্যের কাজ করে যাচ্ছে বিএনকেএসরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা বহিষ্কারবান্দরবানের রোয়াংছড়িতে জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচীর সভাবান্দরবানের লামায় অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসননির্যাতিত নারী ও শিশুর পাশে আছে পুলিশ: বান্দরবান পুলিশ সুপার
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

থানচিতে জেন্ডার সমতায় সাফল্যের কাজ করে যাচ্ছে বিএনকেএস

॥ চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি ॥
নারী সচেতনতা বৃদ্ধিসহ শিক্ষার প্রসার ও বিভিন্ন খেলাধুলার থেকে শুরু করে কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ—সব ক্ষেত্রেই নারীরা প্রাধান্য দিয়ে বান্দরবানের থানচিতে জেন্ডার সমতা নারী পুরুষ সমান অধিকারের নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলিপাড়া নারী কল্যাণ সমিতি (বিএনকেএস)। তাদের প্রচেষ্টা নারী শিক্ষার প্রসার, ক্ষমতায়ন, এবং সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয়রা বলেছেন, সম্প্রতি থানচি মিনি স্টেডিয়ামের ডিয়াকোনিয়া বাংলাদেশ সহযোগিতায় বিএনকেএস এনজিও সংস্থার আয়োজনে স্কুলভিত্তিক বালিকা ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এই ধরনের আয়োজন শুধু খেলাধুলায় নয়, বরং নারীর ক্ষমতায়ন ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ পাবে। নারীরা এখন শুধু ঘরোয়া কাজে সীমাবদ্ধ নেই। তারা বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পুরুষের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।

শিক্ষার্থী ছাইমেনু মারমা, লিপি ত্রিপুরা ও ডখিংসাই মারমাসহ শিক্ষার্থীরা বলেছেন, সমাজে এখন নারী সচেতনতা বৃদ্ধির উচ্ছ্বসিত ফলে আরও সচেতন ও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে তাদের। সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ মানসিকতাও বদলেছে। তারা শুধু প্রাথমিক নয়, উচ্চশিক্ষার দিকেও ঝুঁকছে, শিক্ষা লাভের সুযোগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে বহুগুণে।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, নারীরা এখন আর শুধু গৃহিণী নয়। তারা এখন উদ্যোক্তা, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে কৃষি—সব ক্ষেত্রেই তারা নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে। পুরুষদের পাশাপাশি তারা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সুযোগ পেলে তারা কেবল সমাজের বোঝা নয়, বরং তার সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারে।

স্থানীয় সচেতনমহল বলেছেন, পাহাড়ের নারী পুরুষ সমান তালে অমূলক পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে সরকারি বেসরকারি ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থাগুলো নিরলস প্রচেষ্টা। তাদের নারী শিক্ষা এখন আর কোনো স্বপ্ন নয়, বরং বাস্তবতা। মেয়েরা এখন শুধু ঘরের কাজে নয়, বরং বিভিন্ন পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করছে। সচেতন সমাজের এখন নারী ও পুরুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমান অধিকারের চলছে। নারী শিক্ষার প্রসার, কর্মসংস্থানে অংশগ্রহণ—সব ক্ষেত্রেই নারীরা নিজেদের অবস্থান তৈরি করা চেষ্টার করছে। সঠিক উদ্যোগ এবং সচেতনতা থাকলে নারী-পুরুষের সমতা অর্জন করা সম্ভব।

বলিপাড়া নারী কল্যাণ সমিতি (বিএনকেএস) এর উপ-পরিচালক উবানু মারমা জানান, আমরা সমতা জন্য লড়াই করে যাচ্ছি, সমতা মানে এই নয় যে, পুরুষরা এগিয়ে যাবে, নারীরা পিছনে থাকবে। আমরা সবাইকে দিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। নারী তাদের কিছু ক্ষেত্রে আছে চ্যালেঞ্জ, তবুও তা দূর করতে কাজ করে যাচ্ছি।