[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
যা মনে হইতেছে সরকারি খাদ্য গুদামের দরজা জানালা ভাঙ্গাচোড়া, না হইলে ঘরের ইন্দুর বেড়া কাটিতেছে বলিয়াই মনে হইতেছে, চিন্তায় আছি…বান্দরবানের থানচি হাসপাতালেও দূর করতে হবে চিকিৎসক সংকটরাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ লেক ভিউ গার্ডেনকাপ্তাইয়ে শহীদ মিনারে “আলোয় আলোয় স্মৃতি সমুজ্জ্বল” অনুষ্ঠিতখাগড়াছড়ির রামগড়ে বিএনপি’র আনন্দ মিছিলআধুনিক খাগড়াছড়ির রূপকার ওয়াদুদ ভুঁইয়াকে বিজয়ী করতে হবেদীঘিনালায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উঠান বৈঠকলংগদুতে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার, বীজ ও চারা বিতরণরামগড় কৃষি অফিসের উদ্যোগে ফলজ চারা বিতরণলংগদুতে শিক্ষা কর্মকর্তা এমকে ইমাম উদ্দিন এর বিদায় সংবর্ধনা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তে আবারো স্থলমাইন বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবকের পা বিচ্ছিন্ন

॥ মু. মুবিনুল হক মুবিন, নাইক্ষ্যংছড়ি ॥
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে তুমব্রু পশ্চিমকুল সংলগ্ন মিয়ানমারের “লাল কাইন্দা”এলাকায় স্থলমাইন বিস্ফোরণে ইউনুছ (২৫) নামের এক রোহিঙ্গা চোরাকারবারি ডান ‘পা’ উপড়ে গুরুতর আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে তুমব্রু পশ্চিমকুল সীমান্ত পিলার ৩৩–৩৪ এর মধ্যবর্তী জায়গায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহত যুবক উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এজাহার হোসেনের ছেলে ইউনুছ, তিনি সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছিল চোরাই পণ্য পাচার সংক্রান্তে। এতে একটি স্থলমাইন বিস্ফোরিত হলে তার ডান পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ইউনুছ ওপারে চোরাই পণ্য দিয়ে আসার সময় ইয়াবা নিয়ে আয়ছিল বলে ধারণা করেন । সে তুমব্রু-ঘুমধুম ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের মজুরী ভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো বলে সুত্রে জানা গেছে।।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, সীমান্তের এপার থেকেও স্পষ্ট শোনা গেছে। চিৎকার শুনে সীমান্ত এলাকা থেকে দুই যুবক এগিয়ে গিয়ে আহত ইউনুছকে উদ্ধার করে দ্রুত উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত দিয়ে দেশীয় কিছু পণ্য পাচারকালে আরাকান আর্মির নির্ধারিত পথ এড়িয়ে অন্য পথে প্রবেশের চেষ্টা করায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের দাবি, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আরাকান আর্মি স্থলমাইন পুঁতে রাখে, যা সীমান্তবর্তী জনপদের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ও নজরদারি আরও জোরদার করা হবে। আহত ব্যক্তির ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে।