উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না: বিজিবি রাজনগর জোন কমান্ডার
॥ মোঃ আলমগীর হোসেন, লংগদু ॥
পার্বত্য এলাকায় সম্প্রীতি নষ্ট, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের কোন প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এলাকার উন্নয়নে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের পাশে থাকবে বিজিবি। খানে কেউ শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। বুধবার (৪জুন) সকাল ১০টায় স্থানীয় হেডম্যান, কারবারী, চেয়ারম্যান, মেম্বার, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভায় লংগদু উপজেলার বিজিবি’র রাজনগর জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ নাহিদ হাসান, পিএসপি সভাপতি’র বক্তব্যে এ কথা বলেন।
রাজনগর জোন (৩৭ বিজিবি)-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় রাজনগর জোনের মেডিকেল অফিসার, ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাষ্টারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, হেডম্যান-কারবারী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি’র অধীণ এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় এবং পাহাড়ি ও বাঙালি জনগণের মধ্যে সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়াও, বর্ষা মৌসুমে সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যা মোকাবেলার প্রস্তুতি, সীমান্তবর্তী এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে গবাদি পশু চোরাচালান ও চামড়া পাচার রোধ, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত অতিথিরা মুক্ত আলোচনা ও মতপ্রকাশের মাধ্যমে রাজনগর জোনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সমসাময়িক নানা সমস্যা তুলে ধরেন এবং বিজিবির সহযোগিতা কামনা করেন। বিজিবি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা, চাঁদাবাজি, অপহরণ বা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংঘটিত হলে সাথে সাথে নিকটস্থ বিজিবি ক্যাম্পকে অবহিত করার জন্য জোন কমান্ডার উপস্থিত সকলকে পরামর্শ প্রদান করেন।
মতবিনিময় শেষে জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ নাহিদ হাসান, পিএসপি জোনের দায়িত্বপূর্ন এলাকার অনগ্রসর ০৭টি স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সম্প্রীতি ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মাসিক অনুদান প্রদান করেন এবং হেডম্যান ও কারবারীদের মাঝে ঈদের শুভেচ্ছা সহ উপহার বিতরণ করেন।
বিজিবির এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে উপস্থিত সকলে বলেন, নিয়মিত এই ধরণের মতবিনিময় সভা এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা ও পাহাড়ি-বাঙ্গালিদের মধ্যে সম্প্রীতির উন্নয়ন আরও কার্যকরী, সুসংগঠিত এবং জনবান্ধব করে তুলবে।