[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুস, মিলাদ ও পুরস্কার বিতরণপানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) পালিতকাপ্তাইয়ে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা ও ভিক্টিম সাপোর্ট বিষয়ক সভারাজস্থলীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপনথানচিতে বংয়ক হেডম্যান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনচন্দ্রঘোনায় ধ্রব সংস্কৃতি পরিষদের বিজয়ীদের মাঝে সনদ বিতরণহুন্ডা আর গুন্ডা ভাড়া করে নির্বাচন ঠান্ডা করার চিন্তা বাদ দেন: অ্যাড. মোখতারমাইনীমুখ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি- হাসেম, সম্পাদক- আলাউদ্দিনকাপ্তাই-এ ২২৭জন কার্ডধারীদের মাঝে চাল বিতরণ১৭২ কোটি টাকায় লামায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের কাজ শুরু
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসক

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
বিষধর সাপে কামড়ানো মৃত্যু পথযাত্রী রোগী চাইনসোয়ে মার্মা (২২) লামা হাসপাতালের ডাক্তারদের চিকিৎসায় এই যাত্রায় বেঁচে গেলেন। লামা হাসপাতালের ডাঃ শোভন দত্ত, ডাঃ মোঃ সোলেমান, মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ ফরহাদ উদ্দিন এবং দায়িত্বরত নার্সদের যৌথ প্রয়াসে ছেলেটির জীবন রক্ষা পায়। সে আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের (রেপারপাড়া মন্নান মেম্বার পাড়া সংলগ্ন) থোয়াইনচিং হেডম্যান পাড়ার উচিমং মার্মার ছেলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শোভন দত্ত জানান, রোগীর পরিবার জানতোই না তাকে সাপে কামড় দিয়েছে। রাত ২টায় থেকে গলায় ব্যথা ও বার বার অবচেতন হয়ে যাচ্ছিল। মুর্মূর্ষ অবস্থায় বুধবার (৪ জুন ২০২৫ইং) সকাল ৭টায় তাকে লামা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার তাকে ভর্তি দেয়। সকাল ১০টায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ সোলেমান রুটিন ডিউটিতে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থা ও উপস্বর্গ দেখে বুঝতে পারেন তাকে সাপে কেটেছে। পরে রোগীর পরিবারকে তার বিছানার আশপাশে খুঁজে দেখতে বলে। পরে রোগীর বিছানার বালিশের নিচে চাইনসোয়ে মার্মাকে কামড়ানো বিষধর সাপটি মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তারপর আমরা সাপে কাটার চিকিৎসা শুরু করি। ততক্ষণে তার হৃদপিন্ড প্রায় ৭০% বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ ফরহাদ উদ্দিন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা একজন এনেস্থেসিওলজিস্ট। তিনি রোগীকে সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দেয়ার ১০ মিনিট পর হার্ড চালু হয়। সাথে সাথে ইন্টিউবেশন (লাইভ সাপোর্ট) দেয়া হয়। সে আমাদের কাছে পরিপূর্ণ আইসিও সেবা পেয়েছে। পরে তাকে অ্যান্টিভেনোম, অ্যাড্রেনালিন, এট্রোপিন দেয়া হয়। মাত্র একজন সাপে কামড়ানো রোগীর অ্যান্টিভেনোম ছিল হাসপাতালে। যা দিয়ে আমরা চিকিৎসা করেছি। হাসপাতালে সাপে কামড়ানো নতুন রোগী আসলে অ্যান্টিভেনোম না থাকায় আমরা চিকিৎসা করতে পারবোনা।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ সোলেমান জানান, লামা উপজেলা হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা এই প্রথম দেয়া হয়েছে। যদিও রোগীর বিপদমুক্ত তারপরেও উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে লাইভ সার্পোটে চট্টগ্রাম রেফার করছি। তিনি আরো বলেন, দুঃখের বিষয় হল আমরা সাপের কামড়ের চিকিৎসা দিতে গেলে তার পরিবারের লোকজন না বুঝে বাধা দেয়। তাকে সিপিআর ও ইন্টিউবেশন দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে অনেক বুঝিয়ে এবং রোগী যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছিল তখন চিকিৎসা করার সুযোগ দেয়। রোগীর চিকিৎসার উন্নতি দেখে স্বজনরা আনন্দিত।