[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
নারীবান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবেশান্তি সম্প্রতি ও উন্নয়নে রামগড় ৪৩ বিজিবি’র মানবিক সহায়তা প্রদানবাঘাইছড়ির সাজেক সড়কে ৮ঘন্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিকখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের নিরাপত্তা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিতদীঘিনালায় পার্টনার ফিন্ড স্কুল কংগ্রেস’র কৃষক সমাবেশনিহত ছাত্র উক্যাচিং মারমার পরিবারের খোঁজ নিলেন তারেক রহমানখাগড়াছড়ির রামগড়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও সনদ প্রদানবান্দরবানের লামার মিরিঞ্জা কটেজে গলায় ফাঁস দিয়ে পর্যটকের মৃত্যুঋতুপর্ণা’র মায়ের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রানলয়ের অর্থিক সহায়তা প্রদানরাজস্থলীর বাঙ্গালহালিয়াতে উক্য চিং মারমার সৎকার সম্পন্ন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে এক হাজার পরিবার

॥ কাপ্তাই উপজেলা প্রতিনিধি ॥
একসপ্তাহ যাবত রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেরায়ও ভারী বর্ষণ হচ্ছে। ইতিমধ্যে পাহাড় ধসে বেশকিছু ঘরবাড়ি ও গাছপালা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে রয়েছে রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাইয়ের ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন এর লগগেইট, ঢাকাইয়া কলোনি, ব্যাঙছড়ি, চিৎমরম বসবাসরত ৫শ পরিবার।

এদিকে উপজেলা শিলছড়ি সড়কের পাশে, ওয়াগ্গা মুড়ালী পাড়া, তম্বয়পাড়া, চন্দ্রঘোনা বারঘোনিয়া, কলেজ রোড, রাইখালী, ডংনালা, কারিগর পাড়াসহ প্রায় এক হাজারেরও বেশি পরিবার পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে। যেকোন মূহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরা। ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ হতে সর্তক করে দেওয়া হচ্ছে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিকটবর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে। গত সোমবার (১ জুন) উপজেলার ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন এর ৫ নং ওয়ার্ডের ঢাকাইয়া কলোনির ১৪ টি পরিবার কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ।

তিনি আরোও জানান, আশ্রয় কেন্দ্রে আসা লোকদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছেন। নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে মাইকিং করা হয়েছে। কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ জানান, অতি বর্ষণের ফলে এই এলাকায় অতীতে পাহাড় ধ্বসে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তাই আমরা তাদেরকে অনেক আগে থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য অনুরোধ করে আসছি। এরপরেও অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঘরে থেকে যায়।সহজে কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চায়না।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমান আলী জানান, লগগেইট এবং ঢাকাইয়া কলোনিতে ৫শ পরিবারের বসবাস। অধিকাংশ পরিবার পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকিতে বসবাস করে আসছে।এলাকার সচেতন লোকজন জানান দীর্ঘ বছর যাবত কাপ্তাইকে মৌজা ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে আসছে। আজ মৌজা বাস্তবায়ন হলে পাহাড়ের ঢালু ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকত না। কিন্ত এখন পযন্ত মৌজা বাস্তবায়ন না হওয়ার দরুণ পাহাড়ের ঢালুতে ঝুঁকি নিয়ে লোকজন বসবাস করে আসছে। বর্ষা মৌসুম আসলে প্রশাসনের পক্ষ হতে তোরজোর শুরু করে পাহাড়ের ঢালুতে বসবাসকারীদের নিয়ে নিরাপদে সড়ে আসতে। বর্ষা শেষ হলে আর কেউ কারো খবর রাখেনা।