[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের আলীকদমে ভ্রমণে এসে নিখোঁজ শুভ’র ১৩ দিনেও সন্ধান মেলেনিযেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় সেখানেই যেন আলোর নিচে অন্ধকারবান্দরবানের থানচিতে এবার গ্রামে ফিরল বম জনগোষ্ঠীর আরো এক পরিবারবান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র সরঞ্জামসহ ৯ জন আটক, জনমনে স্বস্তি‘কারিগরি শিক্ষা নিলে বিশ্বজুড়ে কর্ম মিলে’ কাপ্তাই এ সেমিনার অনুষ্ঠিতচিকিৎসক সংকটে বান্দরবানের থানচি হাসপাতালে সেবা বঞ্চিত মানুষখাগড়াছড়িতে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিতলংগদু সেনা জোনের উদ্যোগে সহিংসতা প্রতিরোধে কর্মশালাথানচিতে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাসিত লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনারখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় কালোজাম কেজি ১শত ৪০ টাকা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

প্রাকৃতিক দূর্যোগ যে কোন মুহুর্তে, প্রশাসনের সাথে জনগনকেও সতর্ক থাকতে হবে

পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা এবং উপজেলাগুলোর প্রত্যন্ত অঞ্চল অতিশয় পাহাড়ি অঞ্চল। এখানে সমতল ভুমির চাইতে পাহাড়ের অংশই বেশী। জনসাধারণ পাহাড়ের পাদদেশে, ঢালুতে বা অনেকটাতে খাদে বাসাবাড়ি করে দিন যাপন করে আসছে। সবাই জানেন যে এসব একেবারে ঝুঁকিপূর্ণ তার পরও এভাবেই বসবাস করছে মানুষ। প্রতিবছর বৃষ্টির সময় বা ভারি বৃষ্টি হলে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যস্ত হয়ে পড়ে মানুষ বাঁচাতে। কেননা এসময়ই পাহাড়ের পাদদেশে বা খাদে বসবাসকারীদের জীবনের ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়। মানুষ উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিন যাপন করে। রাতে অনেকেরই চোখে ঘুম থাকেই না, ভয় এটাই যে, কখন পাহাড় ধ্বসে পড়ছে কিনা। তাছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের ঘুমও যেন হারাম হয়ে যায় এ সময়ের মধ্যে যে, এসব মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে বা বিপদ থেকে মুক্ত রাখতে। বিপগ্রস্তদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন আশ্রয় কেন্দ্র।

এখন বৃষ্টি বাদলের দিন। গত কদিন ধরেই টানা বৃষ্টি পড়ে আসছে। কখনো দফায় দফায় আবার কখনো অবিরাম। তাই প্রশাসনের এখন ব্যস্ত সময় যাচ্ছে পাহাড়ের পাদদেশে এবং খাদে বসবাসকারীদের বিপদ এবং জীবন রক্ষার কাজে। জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট, জনপ্রতিনিধি, সেচ্ছাসেবি সংগঠন এবং সচেতন মহল ইতিমধ্যেই জনসচেতনতার কাজ শুরু করেই দিয়েছেন পাহাড়ের পাদদেশে এবং খাদে ও ঢালুতে বসবাসকারীদের রক্ষা করতে। আমাদের রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ মারুফ রীতিমত তাঁর ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে নিয়ে জনসচেতনতার কাজে নেমে পড়েছেন। তিনি ইতিমধেই পাহাড়ের পাদদেশে, ঢালুতে এবং খাদে বসবাসকারী মানুষদের সরিয়ে নিতে, তাদেরকে বিপদ এড়াতে বিভিন্ন দিক নির্দেশনার কাজ করে যাচ্ছেন। এবং তিনি তাঁর অন্য দশটি উপজেলার নিয়মিত খোঁজও রাখছেন। তাঁর অধীনস্থ ম্যাজিস্ট্রেটদের সার্বিক খোঁজ খবর এবং বিপদগ্রস্ত মানুষদের বাঁচাতে নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

তবে আমাদের পাহাড়ী অঞ্চলে বিপদগ্রস্তভাবে যারা বসবাস করছেন তাঁদের সজাগ থাকা দরকার। পাহাড়ের ঢালুতে, পাদেেদশ বা খাদে বসবাস করারও নিয়ম মেনে চলা দরকার। অর্থাৎ পাহাড়কে পাহাড়ের মতই রেখে মাটির ক্ষয় বা না কেটে বসবাস করা। আমদের পাহাড়ীরা পাহাড়েও বাসাবাড়ি করে, তবে তাঁরা পাহাড় কেটে নয় বরং মজবুত ব্যবস্থার মধেও বাসাবাড়ি করছেন। কেউ কেউতো মাচং করে থাকছেন। এক্ষেত্রে ভারি বৃষ্টিতে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটলেও অন্তত মানুষ প্রান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। তাই প্রশাসনের দিকনির্দেশনা গুলোকে মানতে হবে এবং পাহাড়ে বসবাসকারীদেরও উচিৎ প্রশাসনকে সহযোগীতা করা। আমরাও লক্ষ্য করিছি যে, সরকারের নিয়ম এবং ভবন তৈরীর ধারাগুলো (বিল্ডিং কোড) না মেনেই অনেকটা প্রতিযোগীতামূলকভাবে বাসা-বাড়ি করেই যাচ্ছে মানুষ। কিন্তু সরকারি নিয়ম এবং ভবন তৈরীর ধারাগুলো (বিল্ডিং কোড) অবশ্যই মানতে হবে। এসব না মানলে বিপদ লেগেই থাকবে। প্রত্যেকের ভাবা দরকার যে পার্বত্য এলাকায় যদি কোন ধরনের ভুমিকম্প বা বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ হয় তাহলে আমাদের কি পরিস্থিতে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। তাই বিপদ আসার আগেই কিংবা বড় বিপদে পতিত হওয়ার আগেই আমাদের ভাবতে হবে। প্রত্যেকের সুন্দর জীবন ধারনের জন্য নিয়ম নীতিও মানতে হবে। রাজনৈতিক দৃষ্টিতে নয়, প্রতিযোগীতার মনোভাবেও নয়, প্রকৃতিকে বাঁচাতে প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে বাঁচতে হলে সকলকেই একযোগেই কাজ করতে হবে।