রোয়াংছড়িতে কমিউনিটি ভিত্তিক জলবায়ু সহনশীনতা ও নারীর ক্ষমতায়নের গণ-সমাবেশ
॥ হ্লাছোহ্রী মারমা, রোয়াংছড়ি ॥
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে অ্যাম্বেসি অব সুইডেন অর্থায়নে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন সহযোগিতায় বাস্তাবায়ন সংস্থার গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন (গ্রাউস) উদ্যোগের কমিউনিটি ভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচী (সিআরইএ) প্রকল্প নারীর গৃহস্থালি কাজের, বাল্যবিবাহ বন্ধ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে ২০২৫) সকাল ১১.০০ ঘটিকায় রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদ টাউন হলরুমে ক্রিয়া প্রকল্প ব্যবস্থাপক মংবাথুই মারমা সঞ্চালনায় প্রকল্প কো-অর্ডিনেটর অম্লান চাকমা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ এহসানুল হক, রোয়াংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শুব্রত দাশ। গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠানে অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন গ্রাউস সংস্থার একাউন্টস এন্ড এডমিন অফিসার হৈমন্তী চাকমা, ক্রিয়া প্রকল্পের উন্নয়ন কর্মী সুমনা তঞ্চঙ্গ্যা, আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের ২’শতাধিক কিশোরী দলের নেতা ও সদস্যসহ।
নারীর গৃহস্থালি কাজের, বাল্যবিবাহ বন্ধন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গণ-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ক্রিয়া প্রকল্পের বটতলী পাড়া ইয়ুথ দলের সাধারণ সম্পাদক মিনাদেবী তঞ্চঙ্গ্যা, ওয়াগয় পাড়া কিশোরী দলের দলনেতা নিকারানী তঞ্চঙ্গ্যা, বটতলী পাড়া কিশোরী দলের সদস্য শ্রীমন্তি তঞ্চঙ্গ্যা, বিজয় পাড়া নারী দলের সাধারণ সম্পাদক বেবী তঞ্চঙ্গ্যা, জামাচন্দ্র পাড়া নারী দলের কোষাধ্যক্ষ সেলিনা তঞ্চঙ্গ্যা, জামাচন্দ্র পাড়া নারী দলের সাধারণ সম্পাদক জুরদেবী তঞ্চঙ্গ্যা।
এসময়ের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতিক আছে নিজেদের সমাজ ব্যবস্থার জন্য প্রথা বা আইন আছে বাল্যবিবাহ ও বিচ্ছেদ হলে গ্রাম প্রধানরা বিচার করে থাকেন। রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী বাল্য বিবাহ হলে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর দিয়ে বাল্য বিবাহরোদ করতে হবে। তিনি আরো বলেন জলবায়ু সহনশীলতার জন্য ২০ বছর আগে যে গাছপালা ছিল সেগুলো কর্তন করার পর বর্তমানে নদী বা ঝিড়িতে পানি কমে যাচ্ছে প্রাকৃতিক হারাচ্ছে। সকলের মিলে বনজ,ফলজ গাছ লাগাতে হবে।