রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে কাজ
॥ মোঃ আলমগীর হোসেন, লংগদু ॥
রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলা সদর হতে বাইট্টপাড়া পর্যন্ত ব্যস্ততম এই সড়কটির প্রশস্ত করনের কাজ করে চলেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রকৌশল শাখা। তবে সড়কের মাঝখানে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই কাজ করাতে স্তানীয় জনসাধারণ বিষয়টিকে হাস্যকর বলে জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ এই নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা দুর্ঘটানর আশংখা করছেন।
এ বিষয়ে প্রতিবাদ উঠেছে সোসাল মিডিয়া ফেসবুকেও। যানবাহন চলাচলে যেকোন মূহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। স্থানীয়রা জানান, ব্যস্ততম এই সড়কে পরিকল্পনাহীন কাজ দেখে হতভম্ব। তাঁদের প্রশ্ন কান্ডজ্ঞানহীন ভাবে কাজ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল লংগদু উপজেলা শাখা। সড়কের মাঝখানেই বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই কাজ করতে তাদের কি বিবেকে একবারও স্মরণ হয়নি। বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে কোন ধরনের আলোচনা ছাড়াই তারা কাজ করেই গেল। এখানে নিয়ম অনিয়মের প্রশ্ন আসছে না বিষটিকে যে কোন শ্রেণীর মানুষই হাস্যকর বলেই জানিয়েছেন। এটি অপসারনের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতেও আবেদন জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। সচেতন মহল বলেছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলদের দয়িত্বহীনতার কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এখন স্বভাবতই খুঁটি সরাতে গেলে সড়কের ক্ষতি হবে যা মেরামতে পূঃনবার সরকারি অর্থের অপচয় ঘটবে, তাই এর দায়িত্ব কে নেবে। এ ধরনের পরিস্থিতি যাহাতে কোথাও আর না হয় সেটাই লক্ষ্য রাখতে হবে।
খুঁটির বিষয়ে এলজিইডির লংগদু উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আলম বলেন, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিগত দশ মাস আগে থেকে একাধিকবার বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠির মাধ্যমে খুঁটি সরানোর ব্যপারে অবহিত করার পরও এখন পর্যন্ত সড়কের মধ্যে খুঁটি গুলো রয়ে গেছে। অন্য দিকে প্রশাসনিক কাজের পর ঠিকাদার কাজটি করার অনুমোতি পেলেও বাধ্য হয়ে খুঁটি রেখেই কাজ করতে হয়েছে কেননা ঠিকাদারের কাজের মেয়াদও শেষ হওয়ার পথে। জনস্বার্থে সড়কের কাজ চলমান থাকলেও এখন এসব খুঁটি কাজের ব্যঘাত ঘটাবে।
এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের খাগড়াছড়ি নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল আলীম (আলো) বলেন, ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিপ্তরের রাঙ্গামাটি নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছি, দ্রুত সময়ে দুই অধিদপ্তরের সমন্বয়ে খুঁটি সরানোর কাজ শুরু করা হবে। এছাড়াও আমাদের দীঘিনালা আবাসিক প্রকৌশলী নজরুল ইসলামকে কাজের ইস্টিমেট তৈরী করে আমার হাতে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কফিল উদ্দীন মাহমুদ বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগকে একাধিক বার উপজেলা প্রকৌশলী বিষয়টি অবগত করলেও তারা এখনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে ইতিমধ্যে আমিও বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে কথা বলেছি, আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক থেকে বিদ্যুৎ এর খুঁটি গুলো সরিয়ে নেওয়া হবে।