[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ফ্রেন্ডশিপ ক্রিকেট ক্লাবঅংশগ্রহণমূলক প্রশাসনই টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি: দীঘিনালায় নতুন ইউএনওসাম্য হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ির রামগড় কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভরামগড়ে পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিতসাম্য হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় প্রতিবাদ সমাবেশরাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে জেলেদের মাঝে ৫২টি ছাগল বিতরণআমাগো পুলিশ জেঠারা কঠোর হইয়া রোলার চালাইলে এইসব পিষ্ট হইতে বেশী সমুয় যাইবে না, চিন্তায় আছি….পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোর দিকে নজর দিতে হবেসাবেক ফুটবলার আনাই মগিনীকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে অস্থায়ী নিয়োগঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সকলে মিলেমিশে থাকতে হবে
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোর দিকে নজর দিতে হবে

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত উপজেলাগুলোর লক্ষ লক্ষ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এসব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং সেবকরা তাদের কাজ করলেও মানুষের অভিযোগের যেন অন্ত নেই। ডাক্তারের স্বল্পতা, নার্স, টেকনিশিয়ান এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর রোগীর সেবার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ষরঞ্জাম পর্যাপ্ত না থাকা ও সেবাগ্রহীতাদের অবহেলায় মুমূর্ষরোগীদের তাৎক্ষনিক চিকিৎসা পেতে চরম বেঘাত ঘটে চলেছে। প্রতিদিনই কোন না কোন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরতদের বিষয়ে অভিযোগ আপত্তি থাকছেই। তার মধ্যে ঔষধ স্বল্পতা সহ একটি থাকলে আরেকটির অভাব। আবার কোথাও কোথাও দালালের চক্রে রোগীরা আর্থিক, মানসিক এবং শাররীকভাবে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। রোগী বা তাদের স্বজনদের বাঁচাতে অর্থের দিকে না থাকালেও তারা যে হয়রানি স্বীকার হয়েই যাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর কোথাও কোথাও মানসম্মত সেবা না পেয়ে তারা দ্বারস্থ হচ্ছেন পাবলিক হাসপাতাল বা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোর দিকে। এতে করে দর-দুরান্ত উপজেলার জনসাধারণ একেবারে চতুর্দিকেই হয়রানির স্বীকার হচ্ছেনতো হচ্ছেনই।

দেখা যায়, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত জনবল সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত খাগড়াছড়ির মনিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এতে করে মানিকছড়ি উপজেলার প্রায় ৭৭ হাজার মানুষের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তি লক্ষ্মীছড়ি, গুইমারা ও রামগড় উপজেলাসহ প্রায় লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। হাসপাতাল সূত্রও জানাচ্ছেন মনিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গত ২০২১ সালের ৮ মে অবকাঠামো উন্নয়নে পাশাপাশি ৩১ শয্যা হাসপাতাল থেকে ৫০ শয্যার হাসপাতালের অনুমোদন দেয়া হয়। আর অনুমোদনের প্রায় চার বছর অতিবাহিত হলেও ৫০ শয্যা হাসপাতালের জনবল নিয়োগের কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। তাছাড়া ঘাটতি রয়েছে ৩১ শয্যা হাসপাতালের প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় জনবলেও। ৩১ শয্যা হাসপাতালে ১৩ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও কর্মরত রয়েছে মাত্র ৪ জন, ২৫ জন নার্সের স্থলে রয়েছে ১১ জন, ৩জনের মধ্যে ১জন ওয়ার্ড বয়। সবমিলিয়ে ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে সর্বমোট ১২৩ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ৪৪ জন।

ঠিক এভাবেই পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অধিকাংশ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর অবস্থা প্রায় একই। ফলে মানুষ অসুস্থ হয়ে গেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সমুখী হয়েও সেবার কাজ পর্যাপ্ত হয়না। কোন কোন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ডাক্তার তিনিই চিকিৎসক আবার তিনিই রোগীর ভর্তিকারক হিসেবেই দায়িত্ব পালন করছেন। যার ফলে হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারমধ্যে অব্যবস্থাপনা, পর্যাপ্ত তদারকির অভাব, অভ্যন্তরে অপরিচ্ছন্নতা, ঔষধ সংকট ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশন, নার্সদের দুর্ব্যবহারসহ নানা সমস্যা ও সংকটের কথা তুলে ধরেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা। রোগীর প্রান বাঁচাতে তার আত্মীয়স্বজনরা অনেকটা বাধ্য হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সর্বস্ব দিয়ে অন্যত্র চলে যেতে হচ্ছে। দেখা যায় কোন কোন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্য সেবায় ভোগান্তির কথা স্বীকার করছেন দায়িত্বরত চিৎিসক এবং নার্সরাও। আমরাও চাই পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা সঠিক এবং নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোর দিকে নজর দিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগ ও মন্ত্রণালয় দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।