সাম্য হত্যায় খাগড়াছড়ির রামগড়ে মানববন্ধন, এটি পরিকল্পিত সহিংসতা
॥ মোঃ মাসুদ রানা, রামগড় ॥
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অন্যতম সাহসী নেতা শারিয়ার আলম শাম্য-কে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রামগড়ে কালো ব্যাজ ধারণ ও মানববন্ধন। বৃহস্প্রতিবার ১৫ সে সকাল ১১টায় রামগড় সরকারি কলেজের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদল।
উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন এর সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচির সঞ্চালনায় ছিলেন কলেজ ছাত্রদলের নেতা আজিজুল হক রোমন। মানববন্ধনে বক্তব্যে রামগড় পৌর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক মোঃ নুরুল ইসলাম রাজু বলেন, শাম্য হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং এ ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলো জেলা ছাত্রদলের সদস্য ও পৌর ছাত্রদল সাবেক সদস্য সচিব শেখ দাউদুল ইসলাম, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক জাহিদুল নিশাত, সদস্য সচিব জাহিদ অন্তর, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য একরাম হোসেন, আল-আমিন সহ উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মী বৃন্দ।
মানববন্ধনে ব্যক্তব্যে নেতার বলেন, আজ ছাত্রদলের লাশ যেন সস্তা হয়ে গেছে। কিছুদিন আগেই আমাদের সহযোদ্ধা পারভেজ নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন, তার বিচার এখনো সম্পন্ন হয়নি। সেই রক্ত শুকানোর আগেই আরেকটি তাজা প্রাণ আমাদের প্রিয় নেতা সাম্যকে হত্যা করা হলো। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি পরিকল্পিত সহিংসতা। তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল দেশের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন। আমরা সহ্য করে যাচ্ছি, কারণ আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু এই সহ্যের বাঁধ ভেঙে গেলে ছাত্রদল যদি লাঠি হাতে তুলে নেয়, তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। এই অবস্থা আমরা চাই না, কিন্তু আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ছাত্রদলের রক্ত বৃথা যাবে না।
বক্তারা নিহত সাম্য ও পারভেজের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনতে হবে, অন্যথায় ছাত্রদল রাজপথে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে। এ সময় রামগড় উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এবং হাতে কালো ব্যাজ পরে নীরব প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।